যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ট্রাম্পের বড় রদবদলের শুরু
নতুন প্রশাসনের নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রণালয়ে বড় পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
ডেরেক হোগান, মার্শা বার্নিকাট এবং আলেইনা তেপলিৎজ—এই তিন কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে বলেছে ট্রাম্প প্রশাসনের এজেন্সি রিভিউ টিম। এদের মধ্যে মার্শা বার্নিকাট এক সময় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
প্রথম মেয়াদে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দ্রুত পরিবর্তন আনা এবং পররাষ্ট্র নীতিতে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার নজির ছিল ট্রাম্পের। দ্বিতীয় মেয়াদেও তার প্রশাসন উচ্চপদে আরও বেশি রাজনৈতিক নিয়োগ দিতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে এমন পরিবর্তন আরও দৃশ্যমান হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ট্রাম্প টিমের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “আমাদের দেশকে সবার আগে রাখার জন্য একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মনোনিবেশকারী দল প্রয়োজন। অতীতের ব্যর্থতাগুলো সংশোধন করার জন্য আমাদের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মকর্তাদের প্রয়োজন।”
ডেরেক হোগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ব্যুরো ও হোয়াইট হাউসের মধ্যে তথ্যের প্রবাহ দেখভাল করতেন।
মার্শা বার্নিকাট বর্তমানে পররাষ্ট্র দপ্তরের মহাপরিচালক এবং গ্লোবাল ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যুরোর পরিচালক হিসেবে কর্মরত। তার দপ্তর মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, দায়িত্ব বণ্টন এবং কর্মীদের ক্যারিয়ার উন্নয়নের তত্ত্বাবধান করে।
আলেইনা তেপলিৎজ দীর্ঘ তিন দশক ধরে দেশ-বিদেশে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে এই নির্দেশনার বিষয়ে তিন কর্মকর্তার কেউই কোনো মন্তব্য করেননি।
ট্রাম্প ইতোমধ্যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলকে আরও সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি নেটো মিত্রদের প্রতিরক্ষা খাতে বেশি অর্থ ব্যয়ে চাপ দেওয়ার মত নীতিও গ্রহণ করেছেন। তার এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রশাসনে অনুগত এবং রাজনৈতিকভাবে নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
নতুন প্রশাসন সহকারী সেক্রেটারিসহ উচ্চপদে আরও বেশি রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। দুটি পৃথক সূত্র জানিয়েছে, এই পদগুলোতে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়াও শুরু হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে এই পরিবর্তন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ আমলাদের বাদ দিয়ে রাজনৈতিক নিয়োগ বাড়ানোর পদক্ষেপ নতুন সংঘাতমূলক নীতির দিকে পরিচালিত করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই রদবদল তার দ্বিতীয় মেয়াদে আরও দৃঢ় এবং অপ্রচলিত পররাষ্ট্রনীতির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ট্রাম্পের বড় রদবদলের শুরু
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
নতুন প্রশাসনের নির্দেশনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তিন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রণালয়ে বড় পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
ডেরেক হোগান, মার্শা বার্নিকাট এবং আলেইনা তেপলিৎজ—এই তিন কর্মকর্তাকে পদত্যাগ করতে বলেছে ট্রাম্প প্রশাসনের এজেন্সি রিভিউ টিম। এদের মধ্যে মার্শা বার্নিকাট এক সময় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
প্রথম মেয়াদে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে দ্রুত পরিবর্তন আনা এবং পররাষ্ট্র নীতিতে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার নজির ছিল ট্রাম্পের। দ্বিতীয় মেয়াদেও তার প্রশাসন উচ্চপদে আরও বেশি রাজনৈতিক নিয়োগ দিতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে এমন পরিবর্তন আরও দৃশ্যমান হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ট্রাম্প টিমের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “আমাদের দেশকে সবার আগে রাখার জন্য একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মনোনিবেশকারী দল প্রয়োজন। অতীতের ব্যর্থতাগুলো সংশোধন করার জন্য আমাদের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মকর্তাদের প্রয়োজন।”
ডেরেক হোগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন ব্যুরো ও হোয়াইট হাউসের মধ্যে তথ্যের প্রবাহ দেখভাল করতেন।
মার্শা বার্নিকাট বর্তমানে পররাষ্ট্র দপ্তরের মহাপরিচালক এবং গ্লোবাল ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যুরোর পরিচালক হিসেবে কর্মরত। তার দপ্তর মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, দায়িত্ব বণ্টন এবং কর্মীদের ক্যারিয়ার উন্নয়নের তত্ত্বাবধান করে।
আলেইনা তেপলিৎজ দীর্ঘ তিন দশক ধরে দেশ-বিদেশে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
তবে এই নির্দেশনার বিষয়ে তিন কর্মকর্তার কেউই কোনো মন্তব্য করেননি।
ট্রাম্প ইতোমধ্যে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলকে আরও সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি নেটো মিত্রদের প্রতিরক্ষা খাতে বেশি অর্থ ব্যয়ে চাপ দেওয়ার মত নীতিও গ্রহণ করেছেন। তার এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রশাসনে অনুগত এবং রাজনৈতিকভাবে নির্ভরযোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
নতুন প্রশাসন সহকারী সেক্রেটারিসহ উচ্চপদে আরও বেশি রাজনৈতিক নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। দুটি পৃথক সূত্র জানিয়েছে, এই পদগুলোতে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়াও শুরু হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে এই পরিবর্তন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ আমলাদের বাদ দিয়ে রাজনৈতিক নিয়োগ বাড়ানোর পদক্ষেপ নতুন সংঘাতমূলক নীতির দিকে পরিচালিত করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই রদবদল তার দ্বিতীয় মেয়াদে আরও দৃঢ় এবং অপ্রচলিত পররাষ্ট্রনীতির প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারে।