পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তার সাজা ঘোষণা করা হবে আগামী সোমবার।
শনিবার দুপুরে শিয়ালদহের অতিরিক্ত দায়রা জজ অনির্বাণ দাস এই রায় ঘোষণা করেন। গত বছরের আগস্টে কলকাতায় তরুণ চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা গোটা ভারতকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনায় বিচার দাবিতে মাসের পর মাস বিক্ষোভ ও আন্দোলন হয়।
কি ঘটেছিল সেই রাতে?
নিহত চিকিৎসক ৮ আগস্ট টানা ৩৬ ঘণ্টার ডিউটি শেষে রাতে খাবার খেয়ে পালমোনোলজি বিভাগের সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে যান।
পরদিন সকালে তার সহকর্মীরা ওই হলে তার অর্ধনগ্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ এটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল। তবে পরিবারের অভিযোগ এবং জনগণের প্রতিবাদের মুখে পুলিশ ধর্ষণ ও হত্যার মামলা দায়ের করে।
ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব নেয়।
নিহত চিকিৎসকের পরিবার অভিযোগ করে যে সিবিআই শুধু সঞ্জয় রায়কেই অভিযুক্ত করছে, অথচ এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। তবে তারা স্বীকার করেন, সঞ্জয় দোষী, তবে সে একমাত্র নয়।
এই মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন নিহত চিকিৎসকের বাবা, সিবিআই ও কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং নিহতের সহপাঠীরা।
কলকাতা পুলিশ তদন্তের সময় ঘটনাস্থল থেকে বায়োলজিক্যাল ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছিল। পরে সিবিআই তদন্ত শেষে সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
গত ১১ নভেম্বর আদালত চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। মাত্র ৯ সপ্তাহের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হলো।
তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। তবে অভিযোগপত্রে তাদের নাম রাখা হয়নি, ফলে তারা জামিন পেয়েছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে গত পাঁচ মাসে নজিরবিহীন প্রতিবাদ হয়েছে। ১৪ আগস্ট ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচি পালন করা হয় কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। সেদিনই আরজি কর হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর হয়।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহরে প্রতিদিন মিছিল হয়েছে। আন্দোলনের কারণে সল্টলেক স্টেডিয়ামে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ বাতিল করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের থামাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি ও অনশন করেন। প্রথমে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশন’ শুরু হয়, যা দুর্গাপূজার সময়ও চলে। কিছু অনশনকারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তার সাজা ঘোষণা করা হবে আগামী সোমবার।
শনিবার দুপুরে শিয়ালদহের অতিরিক্ত দায়রা জজ অনির্বাণ দাস এই রায় ঘোষণা করেন। গত বছরের আগস্টে কলকাতায় তরুণ চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা গোটা ভারতকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এই ঘটনায় বিচার দাবিতে মাসের পর মাস বিক্ষোভ ও আন্দোলন হয়।
কি ঘটেছিল সেই রাতে?
নিহত চিকিৎসক ৮ আগস্ট টানা ৩৬ ঘণ্টার ডিউটি শেষে রাতে খাবার খেয়ে পালমোনোলজি বিভাগের সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে যান।
পরদিন সকালে তার সহকর্মীরা ওই হলে তার অর্ধনগ্ন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ এটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল। তবে পরিবারের অভিযোগ এবং জনগণের প্রতিবাদের মুখে পুলিশ ধর্ষণ ও হত্যার মামলা দায়ের করে।
ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব নেয়।
নিহত চিকিৎসকের পরিবার অভিযোগ করে যে সিবিআই শুধু সঞ্জয় রায়কেই অভিযুক্ত করছে, অথচ এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। তবে তারা স্বীকার করেন, সঞ্জয় দোষী, তবে সে একমাত্র নয়।
এই মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন নিহত চিকিৎসকের বাবা, সিবিআই ও কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং নিহতের সহপাঠীরা।
কলকাতা পুলিশ তদন্তের সময় ঘটনাস্থল থেকে বায়োলজিক্যাল ও ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছিল। পরে সিবিআই তদন্ত শেষে সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
গত ১১ নভেম্বর আদালত চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। মাত্র ৯ সপ্তাহের মধ্যে রায় ঘোষণা করা হলো।
তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। তবে অভিযোগপত্রে তাদের নাম রাখা হয়নি, ফলে তারা জামিন পেয়েছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে গত পাঁচ মাসে নজিরবিহীন প্রতিবাদ হয়েছে। ১৪ আগস্ট ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচি পালন করা হয় কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। সেদিনই আরজি কর হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর হয়।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শহরে প্রতিদিন মিছিল হয়েছে। আন্দোলনের কারণে সল্টলেক স্টেডিয়ামে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ বাতিল করা হয়।
বিক্ষোভকারীদের থামাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি ও অনশন করেন। প্রথমে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশন’ শুরু হয়, যা দুর্গাপূজার সময়ও চলে। কিছু অনশনকারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।