alt

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই করা নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন দেশটির একটি আদালত। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনের সিয়াটলের একজন ফেডারেল বিচারক এ আদেশ দেন।

মার্কিন বার্তাসংস্থা সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিচারক জন সি. কফেনার এই আদেশের ফলে ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়া ১৪ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। তিন দিন আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নির্বাহী আদেশ জারি করার পর ওয়াশিংটন, অ্যারিজোনা, ইলিনয় ও ওরেগন রাজ্য থেকে মামলা করা হয়।

বিচারক বলেন, এটি একটি স্পষ্টতই অসাংবিধানিক আদেশ। ট্রাম্প প্রশাসনের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো আইনজীবী কীভাবে এ ধরনের আদেশকে সাংবিধানিক বলে নিশ্চিত করতে পারেন, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। অন্যদিকে, হোয়াইট হাউজের সংবাদ সম্মেলনে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।

এর আগে সোমবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়েই জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করার নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি।

ওই আদেশ অনুযায়ী, ১৯ ফেব্রুয়ারির পর অবৈধভাবে বা শিক্ষা-পর্যটনসহ সাময়িক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে সন্তান জন্ম দিলে শিশুকে মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। এমনকি যেসব মা বৈধভাবে কিন্তু সাময়িক উদ্দেশ্যে (যেমন পর্যটন, শিক্ষার্থী বা সাময়িক কর্মী) যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন, তাদের সন্তানরাও নাগরিকত্ব পাবেন না যদি বাবাও অনাগরিক হন। তবে মা-বাবার কেউ মার্কিন নাগরিক হলে সন্তান জন্মের পরই মার্কিন নাগরিক বলে স্বীকৃতি পাবে।

আদেশে সই করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তার এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তিনি জানান, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর এবং তার বিশ্বাস, এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনগত যুক্তি আছে।

ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের পর মামলা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি অঙ্গরাজ্য, দুটি শহর ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বেশ কয়েকটি সংগঠন। এরপর আদেশটি সাময়িক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিলেন আদালত।

সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত ৫০ ভারতীয় তরুণ: উন্নত জীবনের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চলছে শাটডাউন, বন্ধ হচ্ছে খাদ্য সহায়তা

ছবি

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন হেলিকপ্টার ও যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

ছবি

জ্বালানি সংকটে মালিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

ছবি

চীনা পণ্যে বাড়তি শুল্ক বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র!

ছবি

শীতে আরও ভয়াবহ হতে পারে গাজার পরিস্থিতি

ছবি

কারা যোগ দিয়েছেন, কী হতে পারে

ছবি

পাকিস্তানে আবার বাড়ছে দারিদ্র্যের হার

ছবি

কানাডার ওপর আরও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প

ছবি

জাতিসংঘ এখন কাজ করছে না, নিরাপত্তা পরিষদ অকার্যকর: লুলা

ছবি

জোটের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান আনোয়ার ইব্রাহিমের

ছবি

আরেকটি শান্তি চুক্তির সাক্ষী হলেন ট্রাম্প

ছবি

পালাতে পালাতে ক্লান্ত গাজার মানুষ

ছবি

শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে যুদ্ধ: আফগানিস্তানকে হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

ছবি

শুল্কবিরোধী বিজ্ঞাপনে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, কানাডার পণ্যে বাড়ালেন আরও শুল্ক

ছবি

কম্বোডিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করবেন থাই প্রধানমন্ত্রী

ছবি

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত

ছবি

বিরোধীদের ‘মুসলিম’ পরিচয় এনে কটাক্ষের জবাব যেভাবে দিচ্ছেন জোহরান

ছবি

আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানে টমেটোর কেজি ৬০০ রুপি

ছবি

ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম রণতরী, ‘যুদ্ধাবস্থা তৈরির’ অভিযোগ ভেনেজুয়েলার

ছবি

ট্রাম্প-জিনপিং শীর্ষ সম্মেলনের আশা ম্লান

ছবি

কোনো নতুন আক্রমণ হবে ‘আরেকটি ব্যর্থতা’: ইরান

ছবি

সহিংস বিক্ষোভে প্রাণহানি, টিএলপিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো পাকিস্তান

ছবি

ঝুঁকি মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোকে বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা কমাতে হবে

ছবি

যুদ্ধবিরতির পরও গাজার মানুষের ক্ষুধার যন্ত্রণা দূর হচ্ছে না

ছবি

একের পর এক অঞ্চল দখল করছে মায়ানমার জান্তা, কেন পিছু হটছে বিদ্রোহীরা

ছবি

ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠক কেন ভেস্তে গেল, ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী

ছবি

রাশিয়ার দুটি প্রধান তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

আসিয়ান সম্মেলন এড়িয়ে যাচ্ছেন মোদি, যাবেন না মালয়েশিয়া

ছবি

চীনের সহায়তায় হারানো এলাকা পুনর্দখলে নিচ্ছে মায়ানমার সেনাবাহিনী

ছবি

বিশ্বের জন্য বড় হুমকি হয়ে আসছে ম্যালেরিয়া

ছবি

পাকিস্তান-তালেবান উত্তেজনায় অনিশ্চিত জীবন আফগান শরণার্থীদের

ছবি

রাশিয়ার দুই তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি

‘কয়েক প্রজন্ম ধরে’ চলবে গাজায় স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে ১০ মাসে পাঁচ লাখ অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার

ছবি

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

tab

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন বাতিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই করা নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন দেশটির একটি আদালত। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনের সিয়াটলের একজন ফেডারেল বিচারক এ আদেশ দেন।

মার্কিন বার্তাসংস্থা সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিচারক জন সি. কফেনার এই আদেশের ফলে ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশ কার্যকর হওয়া ১৪ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। তিন দিন আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নির্বাহী আদেশ জারি করার পর ওয়াশিংটন, অ্যারিজোনা, ইলিনয় ও ওরেগন রাজ্য থেকে মামলা করা হয়।

বিচারক বলেন, এটি একটি স্পষ্টতই অসাংবিধানিক আদেশ। ট্রাম্প প্রশাসনের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো আইনজীবী কীভাবে এ ধরনের আদেশকে সাংবিধানিক বলে নিশ্চিত করতে পারেন, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। অন্যদিকে, হোয়াইট হাউজের সংবাদ সম্মেলনে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।

এর আগে সোমবার (২০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়েই জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করার নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি।

ওই আদেশ অনুযায়ী, ১৯ ফেব্রুয়ারির পর অবৈধভাবে বা শিক্ষা-পর্যটনসহ সাময়িক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে সন্তান জন্ম দিলে শিশুকে মার্কিন নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। এমনকি যেসব মা বৈধভাবে কিন্তু সাময়িক উদ্দেশ্যে (যেমন পর্যটন, শিক্ষার্থী বা সাময়িক কর্মী) যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন, তাদের সন্তানরাও নাগরিকত্ব পাবেন না যদি বাবাও অনাগরিক হন। তবে মা-বাবার কেউ মার্কিন নাগরিক হলে সন্তান জন্মের পরই মার্কিন নাগরিক বলে স্বীকৃতি পাবে।

আদেশে সই করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যেহেতু দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, তার এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তিনি জানান, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর এবং তার বিশ্বাস, এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনগত যুক্তি আছে।

ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের পর মামলা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি অঙ্গরাজ্য, দুটি শহর ও নাগরিক অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বেশ কয়েকটি সংগঠন। এরপর আদেশটি সাময়িক স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিলেন আদালত।

সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

back to top