ডলারের আধিপত্য বজায় রাখতে চীন-রাশিয়াসহ ব্রিকস দেশগুলোকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প
প্রতি শুক্রবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও সতর্কবার্তা দিয়েছেন ব্রিকস জোটের দেশগুলোকে। তিনি জানিয়েছেন, যদি ব্রিকস দেশগুলো ডলারের আধিপত্য কমিয়ে অন্য কোনো মুদ্রা বাণিজ্যে সামনে আনে, তবে তাদের রপ্তানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলারের আধিপত্যকে বজায় রাখার জন্য তার কঠোর অবস্থান প্রকাশ করে।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে শুক্রবার দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “ব্রিকস দেশগুলো যদি ডলারকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তা চুপচাপ দেখে যাবে না। তাদের উচিত বুঝে নেওয়া, সেই সময় শেষ হয়ে গেছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্রিকস দেশগুলো, বিশেষ করে চীন ও রাশিয়া, দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের আধিপত্য কমানোর চেষ্টা করছে, তবে ট্রাম্প এর বিরুদ্ধে একাধিকবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
পূর্বে, ২০২৩ সালের নভেম্বরেও তিনি ব্রিকসকে সতর্ক করেছিলেন। তার বক্তব্যে তিনি একথাও বলেছেন যে, “এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ যে ব্রিকস দেশগুলো নতুন কোনো শক্তিশালী মুদ্রার পৃষ্ঠপোষকতা না দেয়, যেটি মার্কিন ডলারের স্থান দখল করতে পারে। অন্যথায় তাদের ১০০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে।”
ট্রাম্পের সতর্কবার্তা ছিল আরও তীব্র, যেখানে তিনি বলেছেন যে, “ব্রিকস জোটের দেশগুলো যদি মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়, তবে তাদের কোনো পণ্য মার্কিন বাজারে বিক্রি করার আশা থাকবে না।” তিনি আরও বলেছেন, “যেসব দেশ এই ধরনের চেষ্টা করবে, তাদের জন্য শুল্কের মাধ্যমে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে, এবং আমেরিকা তাদের বিদায় জানাবে।”
ব্রিকস জোটের সদস্য সংখ্যা এখন ১০টি, যা অন্তর্ভুক্ত করেছে ইন্দোনেশিয়াকে। তবে, এই জোট এখনও একটি একক মুদ্রা নিয়ে ঐক্যমত অর্জন করতে পারেনি। যদিও তারা নিজেদের মধ্যে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে কোনো কমন মুদ্রা প্রবর্তন করতে তাদের মধ্যে দ্বিধা রয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলার এখনও বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। গত বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে মার্কিন ডলারের প্রভাব অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় অনেক বেশি। তাই, ট্রাম্পের বার্তা এককথায় স্পষ্ট যে, তিনি ডলারের আধিপত্যকে টিকিয়ে রাখতে চান।
এখন প্রশ্ন হলো, ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে? অর্থনীতিবিদদের মতে, শুল্ক আরোপের ফলে শুধু বিদেশী বাণিজ্যের ওপর নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে, যেসব শিল্প আমদানি করা কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল, তাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।
বিশ্বব্যাপী ডলারের আধিপত্যের বিপক্ষে একাধিক দেশ এবং প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। তবে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের মতো পদক্ষেপ এই পরিবর্তনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি প্রচেষ্টা। তবে, এই পদক্ষেপের সুফল বা বিপদ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্লেষকরা সন্দিহান, কারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনো মুদ্রা প্রতিষ্ঠিত হলে তা মার্কিন অর্থনীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
ব্রিকস জোটের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই হুমকি এবং ডলারের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য তার পদক্ষেপে এখন বিশ্বজুড়ে একটি বড় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ডলারের আধিপত্য বজায় রাখতে চীন-রাশিয়াসহ ব্রিকস দেশগুলোকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
প্রতি শুক্রবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও সতর্কবার্তা দিয়েছেন ব্রিকস জোটের দেশগুলোকে। তিনি জানিয়েছেন, যদি ব্রিকস দেশগুলো ডলারের আধিপত্য কমিয়ে অন্য কোনো মুদ্রা বাণিজ্যে সামনে আনে, তবে তাদের রপ্তানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলারের আধিপত্যকে বজায় রাখার জন্য তার কঠোর অবস্থান প্রকাশ করে।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে শুক্রবার দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “ব্রিকস দেশগুলো যদি ডলারকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তা চুপচাপ দেখে যাবে না। তাদের উচিত বুঝে নেওয়া, সেই সময় শেষ হয়ে গেছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্রিকস দেশগুলো, বিশেষ করে চীন ও রাশিয়া, দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের আধিপত্য কমানোর চেষ্টা করছে, তবে ট্রাম্প এর বিরুদ্ধে একাধিকবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
পূর্বে, ২০২৩ সালের নভেম্বরেও তিনি ব্রিকসকে সতর্ক করেছিলেন। তার বক্তব্যে তিনি একথাও বলেছেন যে, “এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ যে ব্রিকস দেশগুলো নতুন কোনো শক্তিশালী মুদ্রার পৃষ্ঠপোষকতা না দেয়, যেটি মার্কিন ডলারের স্থান দখল করতে পারে। অন্যথায় তাদের ১০০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে।”
ট্রাম্পের সতর্কবার্তা ছিল আরও তীব্র, যেখানে তিনি বলেছেন যে, “ব্রিকস জোটের দেশগুলো যদি মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়, তবে তাদের কোনো পণ্য মার্কিন বাজারে বিক্রি করার আশা থাকবে না।” তিনি আরও বলেছেন, “যেসব দেশ এই ধরনের চেষ্টা করবে, তাদের জন্য শুল্কের মাধ্যমে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে, এবং আমেরিকা তাদের বিদায় জানাবে।”
ব্রিকস জোটের সদস্য সংখ্যা এখন ১০টি, যা অন্তর্ভুক্ত করেছে ইন্দোনেশিয়াকে। তবে, এই জোট এখনও একটি একক মুদ্রা নিয়ে ঐক্যমত অর্জন করতে পারেনি। যদিও তারা নিজেদের মধ্যে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে কোনো কমন মুদ্রা প্রবর্তন করতে তাদের মধ্যে দ্বিধা রয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলার এখনও বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। গত বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে মার্কিন ডলারের প্রভাব অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় অনেক বেশি। তাই, ট্রাম্পের বার্তা এককথায় স্পষ্ট যে, তিনি ডলারের আধিপত্যকে টিকিয়ে রাখতে চান।
এখন প্রশ্ন হলো, ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে? অর্থনীতিবিদদের মতে, শুল্ক আরোপের ফলে শুধু বিদেশী বাণিজ্যের ওপর নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে, যেসব শিল্প আমদানি করা কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল, তাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।
বিশ্বব্যাপী ডলারের আধিপত্যের বিপক্ষে একাধিক দেশ এবং প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। তবে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের মতো পদক্ষেপ এই পরিবর্তনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি প্রচেষ্টা। তবে, এই পদক্ষেপের সুফল বা বিপদ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্লেষকরা সন্দিহান, কারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনো মুদ্রা প্রতিষ্ঠিত হলে তা মার্কিন অর্থনীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
ব্রিকস জোটের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই হুমকি এবং ডলারের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য তার পদক্ষেপে এখন বিশ্বজুড়ে একটি বড় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।