alt

ব্রিকসের মুদ্রা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের আক্রমণ

ডলারের আধিপত্য বজায় রাখতে চীন-রাশিয়াসহ ব্রিকস দেশগুলোকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

প্রতি শুক্রবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও সতর্কবার্তা দিয়েছেন ব্রিকস জোটের দেশগুলোকে। তিনি জানিয়েছেন, যদি ব্রিকস দেশগুলো ডলারের আধিপত্য কমিয়ে অন্য কোনো মুদ্রা বাণিজ্যে সামনে আনে, তবে তাদের রপ্তানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলারের আধিপত্যকে বজায় রাখার জন্য তার কঠোর অবস্থান প্রকাশ করে।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে শুক্রবার দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “ব্রিকস দেশগুলো যদি ডলারকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তা চুপচাপ দেখে যাবে না। তাদের উচিত বুঝে নেওয়া, সেই সময় শেষ হয়ে গেছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্রিকস দেশগুলো, বিশেষ করে চীন ও রাশিয়া, দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের আধিপত্য কমানোর চেষ্টা করছে, তবে ট্রাম্প এর বিরুদ্ধে একাধিকবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

পূর্বে, ২০২৩ সালের নভেম্বরেও তিনি ব্রিকসকে সতর্ক করেছিলেন। তার বক্তব্যে তিনি একথাও বলেছেন যে, “এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ যে ব্রিকস দেশগুলো নতুন কোনো শক্তিশালী মুদ্রার পৃষ্ঠপোষকতা না দেয়, যেটি মার্কিন ডলারের স্থান দখল করতে পারে। অন্যথায় তাদের ১০০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে।”

ট্রাম্পের সতর্কবার্তা ছিল আরও তীব্র, যেখানে তিনি বলেছেন যে, “ব্রিকস জোটের দেশগুলো যদি মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়, তবে তাদের কোনো পণ্য মার্কিন বাজারে বিক্রি করার আশা থাকবে না।” তিনি আরও বলেছেন, “যেসব দেশ এই ধরনের চেষ্টা করবে, তাদের জন্য শুল্কের মাধ্যমে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে, এবং আমেরিকা তাদের বিদায় জানাবে।”

ব্রিকস জোটের সদস্য সংখ্যা এখন ১০টি, যা অন্তর্ভুক্ত করেছে ইন্দোনেশিয়াকে। তবে, এই জোট এখনও একটি একক মুদ্রা নিয়ে ঐক্যমত অর্জন করতে পারেনি। যদিও তারা নিজেদের মধ্যে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে কোনো কমন মুদ্রা প্রবর্তন করতে তাদের মধ্যে দ্বিধা রয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলার এখনও বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। গত বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে মার্কিন ডলারের প্রভাব অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় অনেক বেশি। তাই, ট্রাম্পের বার্তা এককথায় স্পষ্ট যে, তিনি ডলারের আধিপত্যকে টিকিয়ে রাখতে চান।

এখন প্রশ্ন হলো, ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে? অর্থনীতিবিদদের মতে, শুল্ক আরোপের ফলে শুধু বিদেশী বাণিজ্যের ওপর নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে, যেসব শিল্প আমদানি করা কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল, তাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

বিশ্বব্যাপী ডলারের আধিপত্যের বিপক্ষে একাধিক দেশ এবং প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। তবে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের মতো পদক্ষেপ এই পরিবর্তনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি প্রচেষ্টা। তবে, এই পদক্ষেপের সুফল বা বিপদ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্লেষকরা সন্দিহান, কারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনো মুদ্রা প্রতিষ্ঠিত হলে তা মার্কিন অর্থনীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

ব্রিকস জোটের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই হুমকি এবং ডলারের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য তার পদক্ষেপে এখন বিশ্বজুড়ে একটি বড় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ছবি

দিল্লি বিস্ফোরণে কাশ্মীর-সংযোগ খতিয়ে দেখছে ভারতীয় পুলিশ

ছবি

ল্যাটিন আমেরিকায় নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা

ছবি

পশ্চিম তীরে মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশ্বসম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা

ছবি

গাজায় বাহিনী গঠনের মার্কিন প্রস্তাবে আপত্তি চীন-রাশিয়ার

ছবি

আমাজনের উল্টো আচরণ

ছবি

ট্রাম্প কেন পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করাতে পারছেন না?

ছবি

২৩০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে এক সেন্টের মুদ্রা উৎপাদন

ছবি

জলবায়ু সংকট আসলে স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে রাশিয়া: ম্যাখোঁ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন

ছবি

আফগানিস্তানের প্রতি ১০ পরিবারের ৯টিই অনাহার বা ঋণে জর্জরিত

ছবি

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদে বিস্ফোরণ, কাকতালীয় নাকি ষড়যন্ত্র

ছবি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জারা: মামদানির নির্বাচনী প্রচারে নেপথ্য কুশলী

ছবি

ভেনেজুয়েলা যেকোনও মার্কিন সামরিক আগ্রাসন মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি

চীনের কার্বন নিঃসরণ কখনও কম, কখনও স্থিতিশীল

ছবি

মার্কিন হামলার শঙ্কায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিভাবান মানুষ নেই, তাই বিদেশি টানতে আগ্রহী ট্রাম্প

ছবি

সম্মেলনস্থলে ঢুকে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অস্থিরতা, অপসারণের আশঙ্কায় স্টারমার

ছবি

শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ অনিশ্চিত, বিভক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে গাজা

ছবি

দিল্লির বিস্ফোরণে দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না: মোদী

ছবি

দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৯ জন

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি’ চায় ইরান

ছবি

জোহরান মামদানির কাজে কীভাবে ট্রাম্প বাগড়া দিতে পারেন

শুল্কের বিরোধীরা ‘মূর্খ’, রাজস্ব থেকে মার্কিনদের ২০০০ ডলার ‘লভ্যাংশ’ দেয়া হবে: ট্রাম্প

ছবি

বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি ট্রাম্পের, ক্ষমা চাইলেন সমির শাহ

ছবি

বিবিসি এখন বিশৃঙ্খল, নেতৃত্বহীন প্রতিষ্ঠান: সাবেক কর্মকর্তা অলিভার

ছবি

সৌদি আরবের সর্বোচ্চ সম্মাননা বাদশাহ আব্দুল আজিজ মেডেল পেলেন পাকিস্তানের শীর্ষ জেনারেল

ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনীতে যোগ দেবে না

ছবি

সারকোজিকে মুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ফরাসি আদালত

ছবি

মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে নৌকাডুবিতে মৃত্যু বেড়ে ১১

ছবি

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ

ছবি

নয়া দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেইটে দূষণবিরোধী বিক্ষোভ, ডজনের বেশি আটক

ছবি

একুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গার মধ্যে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু

ছবি

মামদানির নিউইয়র্ক পরিকল্পনায় বাদ সাধতে পারেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় মৃত্যু ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে, ইসরায়েলি সেনার মৃতদেহ উদ্ধার করলো হামাস

tab

ব্রিকসের মুদ্রা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের আক্রমণ

ডলারের আধিপত্য বজায় রাখতে চীন-রাশিয়াসহ ব্রিকস দেশগুলোকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

প্রতি শুক্রবার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও সতর্কবার্তা দিয়েছেন ব্রিকস জোটের দেশগুলোকে। তিনি জানিয়েছেন, যদি ব্রিকস দেশগুলো ডলারের আধিপত্য কমিয়ে অন্য কোনো মুদ্রা বাণিজ্যে সামনে আনে, তবে তাদের রপ্তানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ডলারের আধিপত্যকে বজায় রাখার জন্য তার কঠোর অবস্থান প্রকাশ করে।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যালে শুক্রবার দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “ব্রিকস দেশগুলো যদি ডলারকে পাশ কাটানোর চেষ্টা করে, তবে যুক্তরাষ্ট্র তা চুপচাপ দেখে যাবে না। তাদের উচিত বুঝে নেওয়া, সেই সময় শেষ হয়ে গেছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ব্রিকস দেশগুলো, বিশেষ করে চীন ও রাশিয়া, দীর্ঘদিন ধরেই ডলারের আধিপত্য কমানোর চেষ্টা করছে, তবে ট্রাম্প এর বিরুদ্ধে একাধিকবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

পূর্বে, ২০২৩ সালের নভেম্বরেও তিনি ব্রিকসকে সতর্ক করেছিলেন। তার বক্তব্যে তিনি একথাও বলেছেন যে, “এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ যে ব্রিকস দেশগুলো নতুন কোনো শক্তিশালী মুদ্রার পৃষ্ঠপোষকতা না দেয়, যেটি মার্কিন ডলারের স্থান দখল করতে পারে। অন্যথায় তাদের ১০০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে।”

ট্রাম্পের সতর্কবার্তা ছিল আরও তীব্র, যেখানে তিনি বলেছেন যে, “ব্রিকস জোটের দেশগুলো যদি মার্কিন ডলারকে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হয়, তবে তাদের কোনো পণ্য মার্কিন বাজারে বিক্রি করার আশা থাকবে না।” তিনি আরও বলেছেন, “যেসব দেশ এই ধরনের চেষ্টা করবে, তাদের জন্য শুল্কের মাধ্যমে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে, এবং আমেরিকা তাদের বিদায় জানাবে।”

ব্রিকস জোটের সদস্য সংখ্যা এখন ১০টি, যা অন্তর্ভুক্ত করেছে ইন্দোনেশিয়াকে। তবে, এই জোট এখনও একটি একক মুদ্রা নিয়ে ঐক্যমত অর্জন করতে পারেনি। যদিও তারা নিজেদের মধ্যে মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে কোনো কমন মুদ্রা প্রবর্তন করতে তাদের মধ্যে দ্বিধা রয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলার এখনও বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুদ্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। গত বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে মার্কিন ডলারের প্রভাব অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় অনেক বেশি। তাই, ট্রাম্পের বার্তা এককথায় স্পষ্ট যে, তিনি ডলারের আধিপত্যকে টিকিয়ে রাখতে চান।

এখন প্রশ্ন হলো, ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে? অর্থনীতিবিদদের মতে, শুল্ক আরোপের ফলে শুধু বিদেশী বাণিজ্যের ওপর নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে, যেসব শিল্প আমদানি করা কাঁচামালের ওপর নির্ভরশীল, তাদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পেতে পারে।

বিশ্বব্যাপী ডলারের আধিপত্যের বিপক্ষে একাধিক দেশ এবং প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। তবে, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের মতো পদক্ষেপ এই পরিবর্তনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি প্রচেষ্টা। তবে, এই পদক্ষেপের সুফল বা বিপদ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্লেষকরা সন্দিহান, কারণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারের পরিবর্তে অন্য কোনো মুদ্রা প্রতিষ্ঠিত হলে তা মার্কিন অর্থনীতির ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

ব্রিকস জোটের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই হুমকি এবং ডলারের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য তার পদক্ষেপে এখন বিশ্বজুড়ে একটি বড় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

back to top