জানুয়ারি মাসে মায়ানমারের ৪০টি শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। এসব হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ১৭০ জন। বুধবার ইরাবতির অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও জান্তা বাহিনী হামলা অব্যাহত রেখেছে। জান্তা বাহিনীর এসব হামলা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করেছে ইরাবতি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হামলায় হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। জান্তা বাহিনী দেশটির শহর ও গ্রাম, বাস্তুচ্যুত শিবির, স্কুল, হাসপাতালে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে মায়ানমারের জান্তার বিমান হামলা থেকে রেহাই পেয়েছে শুধুমাত্র ইয়াঙ্গুন শহর।
ইরাবতি বলছে, আরাকান আর্মি (এএ), কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কিআইএ), মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা কাচিন, শান, কারেন, মানডালায়, সাগাইংয়ে হামলা চালিয়েছে মায়ানমার জান্তা। এর আগে অ্যাসিস্টেন্স ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বর জান্তা বাহিনীর হামলায় নিহত হয় অন্তত ১০০ জন। যার মধ্যে বিমান হামলায় নিহত হয়েছিল ৪৫ জন।
তবে জানুয়ারিতে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছে ১৭০জন। যা ডিসেম্বরের তুলনায় চারগুণ বেশি। মায়ানমারের জান্তা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং বার বার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়। শুক্রবারে আবারও জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়ে জুলাই ৩১ পর্যন্ত। সেনাবাহিনীর দাবি, দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার, তাই জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়াচ্ছে তারা।
শুধু তাই নয়, জান্তা সরকার দাবি করেছে ২০২০ সালে যে নির্বাচনের মাধ্যমে আগের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, সেই নির্বাচনের ভোটার তালিকা সঠিক ছিল না। ২০২৪ সালে আদমশুমারির মাধ্যমে তারা সঠি ভোটার তালিকা তৈরি করবে। মায়ানমারের গনতন্ত্র ও মানবাধিকারভিত্তিক সংস্থা প্রগ্রেসিভ ভয়েজের প্রতিষ্ঠাতা খিন ওমার বলেন, ‘জান্তা কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য দেয়নি। ...এই প্রহসনের আদমশুমারিতে বাদ গেছে বিপুল এলাকা, জনসংখ্যার বিশাল অংশ।” বিশেষ করে বিদ্রোহীদের কব্জায় থাকা এলাকাগুলো আদমশুমারি থেকে পুরোই বাদ গেছে।
দেশটির অভিবাসন এবং জনসংখ্যা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে, মায়ানমারের মোট ৩৩০টি টাউনশিপের মাঝে মাত্র ১৪৫টি টাউনশিপের সম্পূর্ণ জনসংখ্যার আদমশুমারি করা সম্ভব হয়েছে। এ থেকে ধারণা করে নেওয়া যায়, বর্তমানে দেশটির অর্ধেকেরও কম অংশ শাসন করছে জান্তা সরকার।
জান্তা সরকার দাবি করেছে আদমশুমারি সফল হয়েছে, দেশের মানুষ খুশিমনে এতে অংশ নিয়েছে, কিন্তু খিন ওমার বলেন, বাস্তব চিত্র পুরোই উল্টো। আদমশুমারি চলাকালীন কর্মীদের সাথে ছিল সশস্ত্র সেনা। অনেক সময়েই নাগরিকদের থেকে জোরপূর্বক ব্যক্তিগত তথ্য আদায় করা হয়েছে। এ বিষয়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও আল জাজিরাকে কোনো তথ্য দেয়নি মায়ানমারের সেনা সরকার।
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
জানুয়ারি মাসে মায়ানমারের ৪০টি শহরে বিমান হামলা চালিয়েছে জান্তা বাহিনী। এসব হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ১৭০ জন। বুধবার ইরাবতির অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও জান্তা বাহিনী হামলা অব্যাহত রেখেছে। জান্তা বাহিনীর এসব হামলা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও পর্যালোচনা করেছে ইরাবতি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হামলায় হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। জান্তা বাহিনী দেশটির শহর ও গ্রাম, বাস্তুচ্যুত শিবির, স্কুল, হাসপাতালে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। তবে মায়ানমারের জান্তার বিমান হামলা থেকে রেহাই পেয়েছে শুধুমাত্র ইয়াঙ্গুন শহর।
ইরাবতি বলছে, আরাকান আর্মি (এএ), কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কিআইএ), মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) মতো বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা কাচিন, শান, কারেন, মানডালায়, সাগাইংয়ে হামলা চালিয়েছে মায়ানমার জান্তা। এর আগে অ্যাসিস্টেন্স ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বর জান্তা বাহিনীর হামলায় নিহত হয় অন্তত ১০০ জন। যার মধ্যে বিমান হামলায় নিহত হয়েছিল ৪৫ জন।
তবে জানুয়ারিতে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত হয়েছে ১৭০জন। যা ডিসেম্বরের তুলনায় চারগুণ বেশি। মায়ানমারের জান্তা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং বার বার জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়। শুক্রবারে আবারও জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়ে জুলাই ৩১ পর্যন্ত। সেনাবাহিনীর দাবি, দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা দরকার, তাই জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়াচ্ছে তারা।
শুধু তাই নয়, জান্তা সরকার দাবি করেছে ২০২০ সালে যে নির্বাচনের মাধ্যমে আগের সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, সেই নির্বাচনের ভোটার তালিকা সঠিক ছিল না। ২০২৪ সালে আদমশুমারির মাধ্যমে তারা সঠি ভোটার তালিকা তৈরি করবে। মায়ানমারের গনতন্ত্র ও মানবাধিকারভিত্তিক সংস্থা প্রগ্রেসিভ ভয়েজের প্রতিষ্ঠাতা খিন ওমার বলেন, ‘জান্তা কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য দেয়নি। ...এই প্রহসনের আদমশুমারিতে বাদ গেছে বিপুল এলাকা, জনসংখ্যার বিশাল অংশ।” বিশেষ করে বিদ্রোহীদের কব্জায় থাকা এলাকাগুলো আদমশুমারি থেকে পুরোই বাদ গেছে।
দেশটির অভিবাসন এবং জনসংখ্যা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে, মায়ানমারের মোট ৩৩০টি টাউনশিপের মাঝে মাত্র ১৪৫টি টাউনশিপের সম্পূর্ণ জনসংখ্যার আদমশুমারি করা সম্ভব হয়েছে। এ থেকে ধারণা করে নেওয়া যায়, বর্তমানে দেশটির অর্ধেকেরও কম অংশ শাসন করছে জান্তা সরকার।
জান্তা সরকার দাবি করেছে আদমশুমারি সফল হয়েছে, দেশের মানুষ খুশিমনে এতে অংশ নিয়েছে, কিন্তু খিন ওমার বলেন, বাস্তব চিত্র পুরোই উল্টো। আদমশুমারি চলাকালীন কর্মীদের সাথে ছিল সশস্ত্র সেনা। অনেক সময়েই নাগরিকদের থেকে জোরপূর্বক ব্যক্তিগত তথ্য আদায় করা হয়েছে। এ বিষয়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও আল জাজিরাকে কোনো তথ্য দেয়নি মায়ানমারের সেনা সরকার।