সোভিয়েত ইউনিয়ন ছাড়ার তিন দশকের বেশি সময় পর রাশিয়ার বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে সরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া। এজন্য শনিবার থেকে দুই দিনের প্রস্তুতি পর্ব শুরু করেছে বাল্টিকের এ তিন দেশ।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এসব দেশের বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, অতি দুর্যোগময় আবহাওয়ার পূর্বাভাস ভেবে তারা যেন বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলো পুরোপুরি চার্জ দেওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানি মজুদ করে রাখেন। অনেক এলাকার বাসিন্দাদের লিফট ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কিছু এলাকায় বন্ধ থাকতে পারে সড়ক বাতিও।
‘গ্রিড পরিবর্তন’ উপলক্ষে গতকাল লিথুয়ানিয়ার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে বিশেষভাবে বানানো বড় একটি ঘড়িতে শেষ মুহূর্তের সময় গণনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইইউ প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাশিয়ার গ্রিড থেকে আলাদা হয়ে যাবে দেশগুলো, যা তাদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে মস্কোর সঙ্গে সংযুক্ত রেখেছিল।
বেলারুশ, রাশিয়া, ইস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়াকে নিয়ে গঠিত ‘ব্রেল’ পাওয়ায় গ্রিড মস্কোই নিয়ন্ত্রণ করত। বিষয়টি সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর জন্য একটা দুর্বলতা হিসেবে দেখা হত, যারা বর্তমানে ন্যাটোর সদস্য। এসব দেশ অবশ্য ২০২২ সালেই রাশিয়া থেকে বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ করে দেয়। শনিবার সকালে সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর তিনটি দেশ গ্রিডের সংযোগে পরীক্ষা চালায়, যা ইউরোপিয়ান গ্রিড থেকে পোলান্ড হয়ে এসেছে।
লিথুয়ানিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী জাইগিমান্তাস ভাইসিনাস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমরা এখন রাশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইলের হাতিয়ার হিসেবে বিদ্যুৎব্যবস্থার ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছি।”
গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাল্টিক রিসার্চ ইউনিটের অধ্যাপক ডেভিড স্মিথ মনে করেন, “এটা রাশিয়ার ওপর থেকে জ্বালানি নির্ভরতা কমানোর ১০ থেকে ২০ বছরের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফসল। বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো যখন ইইউ ও ন্যাটোতে যোগ দিলো, তখন থেকেই তাদেরকে সবাই ‘জ্বালানি দ্বীপ’ হিসেবে মূল্যায়ন করে।
এসব দেশ এতদিন পর্যন্তও রাশিয়া ও বেলারুশের বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল ছিল, যা এখন পুরোপুরি ভেঙে পড়ল।”
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া পুরো দমে অভিযান শুরু করলে বাল্টিক দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে, যাদের সঙ্গে রাশিয়ার প্রায় ৮৭৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। মূলত তখন থেকেই বাল্টিক সাগরে বিদ্যুৎ সরবরাহের তার এবং পাইপলাইনে বিভিন্ন নাশকতা ঘটে। তখন অনেকে আশঙ্কা করেন, বিদ্যুৎ খাতে ইইউয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ার ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে মস্কো এসব নাশকতা করে থাকতে পারে।
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সোভিয়েত ইউনিয়ন ছাড়ার তিন দশকের বেশি সময় পর রাশিয়ার বিদ্যুৎ গ্রিড থেকে সরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া। এজন্য শনিবার থেকে দুই দিনের প্রস্তুতি পর্ব শুরু করেছে বাল্টিকের এ তিন দেশ।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এসব দেশের বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, অতি দুর্যোগময় আবহাওয়ার পূর্বাভাস ভেবে তারা যেন বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলো পুরোপুরি চার্জ দেওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানি মজুদ করে রাখেন। অনেক এলাকার বাসিন্দাদের লিফট ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কিছু এলাকায় বন্ধ থাকতে পারে সড়ক বাতিও।
‘গ্রিড পরিবর্তন’ উপলক্ষে গতকাল লিথুয়ানিয়ার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে বিশেষভাবে বানানো বড় একটি ঘড়িতে শেষ মুহূর্তের সময় গণনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইইউ প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাশিয়ার গ্রিড থেকে আলাদা হয়ে যাবে দেশগুলো, যা তাদের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে মস্কোর সঙ্গে সংযুক্ত রেখেছিল।
বেলারুশ, রাশিয়া, ইস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়াকে নিয়ে গঠিত ‘ব্রেল’ পাওয়ায় গ্রিড মস্কোই নিয়ন্ত্রণ করত। বিষয়টি সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোর জন্য একটা দুর্বলতা হিসেবে দেখা হত, যারা বর্তমানে ন্যাটোর সদস্য। এসব দেশ অবশ্য ২০২২ সালেই রাশিয়া থেকে বিদ্যুৎ কেনা বন্ধ করে দেয়। শনিবার সকালে সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর তিনটি দেশ গ্রিডের সংযোগে পরীক্ষা চালায়, যা ইউরোপিয়ান গ্রিড থেকে পোলান্ড হয়ে এসেছে।
লিথুয়ানিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী জাইগিমান্তাস ভাইসিনাস বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমরা এখন রাশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক ব্ল্যাকমেইলের হাতিয়ার হিসেবে বিদ্যুৎব্যবস্থার ব্যবহার বন্ধ করে দিচ্ছি।”
গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাল্টিক রিসার্চ ইউনিটের অধ্যাপক ডেভিড স্মিথ মনে করেন, “এটা রাশিয়ার ওপর থেকে জ্বালানি নির্ভরতা কমানোর ১০ থেকে ২০ বছরের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার ফসল। বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো যখন ইইউ ও ন্যাটোতে যোগ দিলো, তখন থেকেই তাদেরকে সবাই ‘জ্বালানি দ্বীপ’ হিসেবে মূল্যায়ন করে।
এসব দেশ এতদিন পর্যন্তও রাশিয়া ও বেলারুশের বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল ছিল, যা এখন পুরোপুরি ভেঙে পড়ল।”
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া পুরো দমে অভিযান শুরু করলে বাল্টিক দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা বাড়তে থাকে, যাদের সঙ্গে রাশিয়ার প্রায় ৮৭৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। মূলত তখন থেকেই বাল্টিক সাগরে বিদ্যুৎ সরবরাহের তার এবং পাইপলাইনে বিভিন্ন নাশকতা ঘটে। তখন অনেকে আশঙ্কা করেন, বিদ্যুৎ খাতে ইইউয়ের দিকে ঝুঁকে পড়ার ‘প্রতিশোধ’ হিসেবে মস্কো এসব নাশকতা করে থাকতে পারে।