alt

লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মরুভূমিতে দুটি গণকবর থেকে প্রায় ৫০ জন অভিবাসী ও শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি হয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করা মানুষদের জন্য এটি আরেকটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে দেশটির নিরাপত্তা অধিদপ্তর জানিয়েছেয়, গত শুক্রবার কুফরা শহরের একটি খামারে পাওয়া প্রথম গণকবরে ১৯ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে।

কুফরার নিরাপত্তা চেম্বারের প্রধান মোহামেদ আল-ফাদিল জানান, দ্বিতীয় গণকবরটি শহরের একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রে অভিযান চালানোর পর পাওয়া যায়। সেখানে অন্তত ৩০টি মরদেহ ছিল।

তিনি আরও বলেন, জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বিবরণ অনুযায়ী, ওই স্থানে প্রায় ৭০ জনকে দাফন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা এখনো ওই এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।

লিবিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে অভিবাসী ও শরণার্থীদের সহায়তাকারী দাতব্য সংস্থা ‘আল-আব্রিন’ জানিয়েছে, গণকবরে পাওয়া কিছু ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার পর সেখানে পুঁতে ফেলা হয়।

লিবিয়ায় এর আগেও শরণার্থীদের গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকারী আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসীদের জন্য দেশটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত। গত বছর রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণে শুয়াইরিফ অঞ্চলে অন্তত ৬৫ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

লিবিয়ায় গত এক দশকের বেশি সময় ধরে অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে মানবপাচারকারীরা দেশটির ছয়টি প্রতিবেশী দেশ— চাদ, নাইজার, সুদান, মিসর, আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়ার সীমান্ত দিয়ে অভিবাসী ও শরণার্থীদের পাচার করে আসছে।

জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় শরণার্থীদের প্রতি ভয়াবহ নিপীড়ন ও নির্যাতনের নথিভুক্ত বিবরণ প্রকাশ করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক শ্রম, মারধর, ধর্ষণ ও নির্যাতন। অনেক ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্যও অত্যাচার চালানো হয়।

যেসব অভিবাসী লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করার সময় আটক হন, তাদের সরকার পরিচালিত আটককেন্দ্রে রাখা হয়। সেখানেও তারা একই ধরনের নির্যাতনের শিকার হন বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের মাধ্যমে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যার পর দেশটিতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারগুলোর মধ্যে বিভক্ত রয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম লিবিয়ায় আলাদা সরকার শাসন করছে, যাদের পেছনে রয়েছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ও বিদেশি শক্তির সমর্থন।

ছবি

মামদানির প্রশাসনে কাজ করতে ৫০ হাজার আবেদন

ছবি

গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

ছবি

এপস্টেইন–ক্লিনটন সম্পর্কসহ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশ ট্রাম্পের, নজরদারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ

ছবি

জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯

ছবি

ক্ষমা চেয়েও রক্ষা হচ্ছে না বিবিসির, মামলা করছেন ট্রাম্প

ছবি

মূল্যস্ফীতির শঙ্কায় খাদ্যদ্রব্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

ছবি

চীন সীমান্তে নতুন বিমানঘাঁটি চালু করল ভারত

ছবি

নীরবে যুদ্ধোত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস

ছবি

দিল্লি বিস্ফোরণে কাশ্মীর-সংযোগ খতিয়ে দেখছে ভারতীয় পুলিশ

ছবি

ল্যাটিন আমেরিকায় নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা

ছবি

পশ্চিম তীরে মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশ্বসম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা

ছবি

গাজায় বাহিনী গঠনের মার্কিন প্রস্তাবে আপত্তি চীন-রাশিয়ার

ছবি

আমাজনের উল্টো আচরণ

ছবি

ট্রাম্প কেন পুতিনকে যুদ্ধ থামাতে রাজি করাতে পারছেন না?

ছবি

২৩০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে এক সেন্টের মুদ্রা উৎপাদন

ছবি

জলবায়ু সংকট আসলে স্বাস্থ্য সংকট: ডব্লিউএইচও

ছবি

মহাকাশে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করছে রাশিয়া: ম্যাখোঁ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন

ছবি

আফগানিস্তানের প্রতি ১০ পরিবারের ৯টিই অনাহার বা ঋণে জর্জরিত

ছবি

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদে বিস্ফোরণ, কাকতালীয় নাকি ষড়যন্ত্র

ছবি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জারা: মামদানির নির্বাচনী প্রচারে নেপথ্য কুশলী

ছবি

ভেনেজুয়েলা যেকোনও মার্কিন সামরিক আগ্রাসন মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি

চীনের কার্বন নিঃসরণ কখনও কম, কখনও স্থিতিশীল

ছবি

মার্কিন হামলার শঙ্কায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিভাবান মানুষ নেই, তাই বিদেশি টানতে আগ্রহী ট্রাম্প

ছবি

সম্মেলনস্থলে ঢুকে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অস্থিরতা, অপসারণের আশঙ্কায় স্টারমার

ছবি

শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ অনিশ্চিত, বিভক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে গাজা

ছবি

দিল্লির বিস্ফোরণে দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না: মোদী

ছবি

দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৯ জন

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি’ চায় ইরান

ছবি

জোহরান মামদানির কাজে কীভাবে ট্রাম্প বাগড়া দিতে পারেন

শুল্কের বিরোধীরা ‘মূর্খ’, রাজস্ব থেকে মার্কিনদের ২০০০ ডলার ‘লভ্যাংশ’ দেয়া হবে: ট্রাম্প

ছবি

বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি ট্রাম্পের, ক্ষমা চাইলেন সমির শাহ

ছবি

বিবিসি এখন বিশৃঙ্খল, নেতৃত্বহীন প্রতিষ্ঠান: সাবেক কর্মকর্তা অলিভার

ছবি

সৌদি আরবের সর্বোচ্চ সম্মাননা বাদশাহ আব্দুল আজিজ মেডেল পেলেন পাকিস্তানের শীর্ষ জেনারেল

tab

লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় মরুভূমিতে দুটি গণকবর থেকে প্রায় ৫০ জন অভিবাসী ও শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি হয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করা মানুষদের জন্য এটি আরেকটি ভয়াবহ ট্র্যাজেডি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে দেশটির নিরাপত্তা অধিদপ্তর জানিয়েছেয়, গত শুক্রবার কুফরা শহরের একটি খামারে পাওয়া প্রথম গণকবরে ১৯ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে।

কুফরার নিরাপত্তা চেম্বারের প্রধান মোহামেদ আল-ফাদিল জানান, দ্বিতীয় গণকবরটি শহরের একটি অভিবাসী আটককেন্দ্রে অভিযান চালানোর পর পাওয়া যায়। সেখানে অন্তত ৩০টি মরদেহ ছিল।

তিনি আরও বলেন, জীবিত উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বিবরণ অনুযায়ী, ওই স্থানে প্রায় ৭০ জনকে দাফন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কর্মকর্তারা এখনো ওই এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন।

লিবিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে অভিবাসী ও শরণার্থীদের সহায়তাকারী দাতব্য সংস্থা ‘আল-আব্রিন’ জানিয়েছে, গণকবরে পাওয়া কিছু ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার পর সেখানে পুঁতে ফেলা হয়।

লিবিয়ায় এর আগেও শরণার্থীদের গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টাকারী আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসীদের জন্য দেশটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত। গত বছর রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণে শুয়াইরিফ অঞ্চলে অন্তত ৬৫ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

লিবিয়ায় গত এক দশকের বেশি সময় ধরে অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে মানবপাচারকারীরা দেশটির ছয়টি প্রতিবেশী দেশ— চাদ, নাইজার, সুদান, মিসর, আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়ার সীমান্ত দিয়ে অভিবাসী ও শরণার্থীদের পাচার করে আসছে।

জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় শরণার্থীদের প্রতি ভয়াবহ নিপীড়ন ও নির্যাতনের নথিভুক্ত বিবরণ প্রকাশ করে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক শ্রম, মারধর, ধর্ষণ ও নির্যাতন। অনেক ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের জন্যও অত্যাচার চালানো হয়।

যেসব অভিবাসী লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা করার সময় আটক হন, তাদের সরকার পরিচালিত আটককেন্দ্রে রাখা হয়। সেখানেও তারা একই ধরনের নির্যাতনের শিকার হন বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

২০১১ সালে ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের মাধ্যমে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যার পর দেশটিতে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারগুলোর মধ্যে বিভক্ত রয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম লিবিয়ায় আলাদা সরকার শাসন করছে, যাদের পেছনে রয়েছে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী ও বিদেশি শক্তির সমর্থন।

back to top