একটি বানরের কারণে পুরো শ্রীলঙ্কা বিদ্যুৎহীন হয়েছে। শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জয়াকোদি এই অভিযোগ করেছেন। রোববার বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে পুরো দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, সবকিছু স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। তবে মেডিকেল স্থাপনা ও পানি পরিশোধন কেন্দ্রগুলোতে যেন আগে বিদ্যুৎ ফিরে তাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতির জন্য শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জয়াকোদি এক বানরকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, একটি বানর আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে আসে। এতে করে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। সিলন বিদ্যুৎ বোর্ড (সিইবি) জানিয়েছে, কলম্বোর দক্ষিণে একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে হানা দেয় একটি বানর। তবে এর বেশিকিছু বলা হয়নি। সিইবি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বীপজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট পুনরুদ্ধারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার চালু করতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য কলম্বো পোস্ট জানায়, পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিকভাবে বিদ্যুৎ–সংযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সে ক্ষেত্রে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আর পানি পরিশোধন কেন্দ্রগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জয়াকোদি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে আসে একটি বানর। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।’
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। কেউ কেউ কর্তৃপক্ষের সমালোচনাও করছেন। এক্স পোস্টে মারিও নাওফেল নামের একজন লেখেন, ‘কলম্বোয় একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে বিপর্যয় সৃষ্টির পর পাজি বানরটি দেশের পুরো গ্রিডে ধস নামিয়েছে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘একটি বানর পূর্ণাঙ্গ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। অবকাঠামো নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে?’ শ্রীনি আর নামের আরেকজন ব্যবহারকারী এক্সে লেখেন, ‘অতীতে বানরের ব্যবসার অভিজ্ঞতা রয়েছে শ্রীলঙ্কার।’ পোস্টে তিনি একটি হনুমানের ছবিও যুক্ত করে দেন। স্থানীয় পত্রিকা ডেইলি মিররের প্রধান সম্পাদক জামিলা হুসেইন বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে বানরের দলের লড়াই হওয়ায় পুরো দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা শুধু শ্রীলঙ্কাতেই ঘটতে পারে।’
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
একটি বানরের কারণে পুরো শ্রীলঙ্কা বিদ্যুৎহীন হয়েছে। শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জয়াকোদি এই অভিযোগ করেছেন। রোববার বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে পুরো দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, সবকিছু স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। তবে মেডিকেল স্থাপনা ও পানি পরিশোধন কেন্দ্রগুলোতে যেন আগে বিদ্যুৎ ফিরে তাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতির জন্য শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জয়াকোদি এক বানরকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, একটি বানর আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে আসে। এতে করে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। সিলন বিদ্যুৎ বোর্ড (সিইবি) জানিয়েছে, কলম্বোর দক্ষিণে একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে হানা দেয় একটি বানর। তবে এর বেশিকিছু বলা হয়নি। সিইবি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্বীপজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট পুনরুদ্ধারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ আবার চালু করতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে। দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য কলম্বো পোস্ট জানায়, পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিকভাবে বিদ্যুৎ–সংযোগ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। সে ক্ষেত্রে দেশটির স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান আর পানি পরিশোধন কেন্দ্রগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কুমারা জয়াকোদি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ সরবরাহের ট্রান্সফরমারের সংস্পর্শে আসে একটি বানর। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে।’
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। কেউ কেউ কর্তৃপক্ষের সমালোচনাও করছেন। এক্স পোস্টে মারিও নাওফেল নামের একজন লেখেন, ‘কলম্বোয় একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে বিপর্যয় সৃষ্টির পর পাজি বানরটি দেশের পুরো গ্রিডে ধস নামিয়েছে।’ তিনি আরও লেখেন, ‘একটি বানর পূর্ণাঙ্গ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। অবকাঠামো নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে?’ শ্রীনি আর নামের আরেকজন ব্যবহারকারী এক্সে লেখেন, ‘অতীতে বানরের ব্যবসার অভিজ্ঞতা রয়েছে শ্রীলঙ্কার।’ পোস্টে তিনি একটি হনুমানের ছবিও যুক্ত করে দেন। স্থানীয় পত্রিকা ডেইলি মিররের প্রধান সম্পাদক জামিলা হুসেইন বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে বানরের দলের লড়াই হওয়ায় পুরো দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা শুধু শ্রীলঙ্কাতেই ঘটতে পারে।’