নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে শুল্ক ছাড় ও কোটার আওতায় থাকা লক্ষ লক্ষ টন ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর পুনরায় ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে, যা এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে কানাডা, মেক্সিকো, ব্রাজিলসহ প্রধান সরবরাহকারী দেশগুলোর জন্য থাকা শুল্কমুক্ত কোটাসহ আগের সব ছাড় বাতিল করেছেন। এই পদক্ষেপ বিশ্ববাজারে বহুমুখী বাণিজ্য যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ট্রাম্প এক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে অ্যালুমিনিয়াম আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে সংকটে থাকা এ শিল্পকে সহায়তা করতে তিনি যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, এটি তারই সম্প্রসারণ। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে শুল্ক ছাড় ও কোটার আওতায় থাকা লক্ষ লক্ষ টন ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর পুনরায় ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে, যা এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করছিল।
এই ঘোষণাগুলো ট্রাম্পের ২০১৮ সালের সেকশন ২৩২-এর আওতায় দেওয়া জাতীয় নিরাপত্তা শুল্কের সম্প্রসারণ, যা মূলত দেশীয় ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্পকে রক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছিল। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, শুল্ক থেকে দেওয়া ছাড় এসব পদক্ষেপের কার্যকারিতা দুর্বল করে দিয়েছিল।
ট্রাম্প আরও একটি নতুন উত্তর আমেরিকান মানদণ্ড চালু করতে যাচ্ছেন, যেখানে আমদানি করা ইস্পাতকে গলিয়ে ও ঢালাই করে এবং অ্যালুমিনিয়ামকে গলিয়ে ও ছাঁচে ফেলে উৎপাদনের বাধ্যবাধকতা থাকবে। এর লক্ষ্য হলো চীনের সামান্য প্রক্রিয়াজাত ইস্পাতের আমদানি সীমিত করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ রোধ করা।
নতুন আদেশের ফলে আমদানি করা ইস্পাত দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হবে।
ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনকারীদের সহায়তা করবে এবং দেশের অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা আরও সুসংহত করবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শুল্কের এই নতুন সংস্করণ (২.০) বিদেশি পণ্যের অনিয়ন্ত্রিত আমদানির অবসান ঘটাবে, দেশীয় উৎপাদন বাড়াবে এবং ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্পকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তি ও মূল স্তম্ভ হিসেবে সুসংহত করবে।
তিনি আরও বলেন, এটি শুধু বাণিজ্যের বিষয় নয়। যুক্তরাষ্ট্র যাতে কখনোই ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য বিদেশি দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল না হয়, সেটি নিশ্চিত করাই এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য।
রোববার ট্রাম্প প্রথমবারের মতো এ বিষয়ে কথা বলেন এবং জানান, তিনি সপ্তাহের শেষ দিকে আরও পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেবেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে শুল্ক ছাড় ও কোটার আওতায় থাকা লক্ষ লক্ষ টন ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর পুনরায় ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে, যা এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর উল্লেখযোগ্যভাবে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে কানাডা, মেক্সিকো, ব্রাজিলসহ প্রধান সরবরাহকারী দেশগুলোর জন্য থাকা শুল্কমুক্ত কোটাসহ আগের সব ছাড় বাতিল করেছেন। এই পদক্ষেপ বিশ্ববাজারে বহুমুখী বাণিজ্য যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ট্রাম্প এক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে অ্যালুমিনিয়াম আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে সংকটে থাকা এ শিল্পকে সহায়তা করতে তিনি যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন, এটি তারই সম্প্রসারণ। নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে শুল্ক ছাড় ও কোটার আওতায় থাকা লক্ষ লক্ষ টন ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর পুনরায় ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে, যা এতদিন যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্তভাবে প্রবেশ করছিল।
এই ঘোষণাগুলো ট্রাম্পের ২০১৮ সালের সেকশন ২৩২-এর আওতায় দেওয়া জাতীয় নিরাপত্তা শুল্কের সম্প্রসারণ, যা মূলত দেশীয় ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্পকে রক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছিল। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, শুল্ক থেকে দেওয়া ছাড় এসব পদক্ষেপের কার্যকারিতা দুর্বল করে দিয়েছিল।
ট্রাম্প আরও একটি নতুন উত্তর আমেরিকান মানদণ্ড চালু করতে যাচ্ছেন, যেখানে আমদানি করা ইস্পাতকে গলিয়ে ও ঢালাই করে এবং অ্যালুমিনিয়ামকে গলিয়ে ও ছাঁচে ফেলে উৎপাদনের বাধ্যবাধকতা থাকবে। এর লক্ষ্য হলো চীনের সামান্য প্রক্রিয়াজাত ইস্পাতের আমদানি সীমিত করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশ রোধ করা।
নতুন আদেশের ফলে আমদানি করা ইস্পাত দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হবে।
ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনকারীদের সহায়তা করবে এবং দেশের অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা আরও সুসংহত করবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শুল্কের এই নতুন সংস্করণ (২.০) বিদেশি পণ্যের অনিয়ন্ত্রিত আমদানির অবসান ঘটাবে, দেশীয় উৎপাদন বাড়াবে এবং ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম শিল্পকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তার ভিত্তি ও মূল স্তম্ভ হিসেবে সুসংহত করবে।
তিনি আরও বলেন, এটি শুধু বাণিজ্যের বিষয় নয়। যুক্তরাষ্ট্র যাতে কখনোই ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য বিদেশি দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল না হয়, সেটি নিশ্চিত করাই এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য।
রোববার ট্রাম্প প্রথমবারের মতো এ বিষয়ে কথা বলেন এবং জানান, তিনি সপ্তাহের শেষ দিকে আরও পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেবেন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলো প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়।