থাইল্যান্ড থেকে উইঘুর মুসলিমদের চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ড থেকে ৪০ জন উইঘুরকে চীনে পাঠানোর ঘটনায় দায়ী বর্তমান ও সাবেক থাই কর্মকর্তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া উইঘুরদের ফেরত পাঠাতে চীন সংশ্লিষ্ট দেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। এই তৎপরতা ঠেকাতে ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিষেধাজ্ঞার আওতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও পড়তে পারে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, চীনে ফেরত পাঠানো হলে উইঘুররা নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও থাইল্যান্ড শেষ পর্যন্ত চীনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে তাদের ফেরত পাঠায়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘চীনে উইঘুরদের ওপর নিপীড়ন বহুদিন ধরে চলছে। যারা আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের যেন জোরপূর্বক ফেরত না পাঠানো হয়, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই।’’
থাইল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, তারা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে দেশটির ওয়াশিংটন দূতাবাস মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ক্যাম্পেইন ফর উইঘুরস’ এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে একে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সহযোগীদের জন্য কঠোর বার্তা হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে চীন উইঘুরদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে এবং বলছে, উগ্রবাদ মোকাবিলায় তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
থাইল্যান্ড থেকে উইঘুর মুসলিমদের চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ড থেকে ৪০ জন উইঘুরকে চীনে পাঠানোর ঘটনায় দায়ী বর্তমান ও সাবেক থাই কর্মকর্তাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়া উইঘুরদের ফেরত পাঠাতে চীন সংশ্লিষ্ট দেশের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। এই তৎপরতা ঠেকাতে ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিষেধাজ্ঞার আওতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও পড়তে পারে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, চীনে ফেরত পাঠানো হলে উইঘুররা নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও থাইল্যান্ড শেষ পর্যন্ত চীনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে তাদের ফেরত পাঠায়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘চীনে উইঘুরদের ওপর নিপীড়ন বহুদিন ধরে চলছে। যারা আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের যেন জোরপূর্বক ফেরত না পাঠানো হয়, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই।’’
থাইল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, তারা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে দেশটির ওয়াশিংটন দূতাবাস মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ক্যাম্পেইন ফর উইঘুরস’ এই নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে একে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সহযোগীদের জন্য কঠোর বার্তা হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে চীন উইঘুরদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে এবং বলছে, উগ্রবাদ মোকাবিলায় তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।