যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যেখানে অন্তত ৪০৪ জন নিহত এবং ৫৬২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে চালানো এই হামলায় হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল, তবে নিহতদের অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজার উত্তরাঞ্চল, গাজা সিটি, দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস ও রাফাহসহ একাধিক স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রোজার মাস হওয়ায় অনেকেই সেহেরি খাওয়ার সময় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। অন্তত ২০টি যুদ্ধবিমান গাজার আকাশে উড়তে দেখা গেছে।
হামলার পর গাজার বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন, কেউ কেউ হাসপাতালে আহত স্বজনদের খুঁজছেন।
এদিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সাক্ষ্য গ্রহণের কথা থাকলেও ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির’ কারণে তা স্থগিত করা হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানানো এবং মধ্যস্থতাকারীদের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এই হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী।
হামলার জন্য ইসরায়েলকে বিশ্বাসঘাতক বলে অভিযুক্ত করেছে হামাস। তারা বলছে, এই হামলার মাধ্যমে গাজায় থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের ‘অজানা পরিণতির’ মুখে ফেলেছে দেশটি।
মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আলোচনার চেষ্টা চলছিল। যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্ব ১ মার্চ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এটি মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল, যেখানে জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের শর্ত ছিল। তবে আলোচনায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মতবিরোধ থাকায় কোনো সমাধান হয়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর ইসরায়েলের সামরিক প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ৪৮,০০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
গাজার ২১ লাখ মানুষ বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে, ৭০ শতাংশেরও বেশি ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য, পানি, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যেখানে অন্তত ৪০৪ জন নিহত এবং ৫৬২ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে চালানো এই হামলায় হামাস নেতাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল, তবে নিহতদের অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজার উত্তরাঞ্চল, গাজা সিটি, দেইর আল-বালাহ, খান ইউনিস ও রাফাহসহ একাধিক স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রোজার মাস হওয়ায় অনেকেই সেহেরি খাওয়ার সময় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। অন্তত ২০টি যুদ্ধবিমান গাজার আকাশে উড়তে দেখা গেছে।
হামলার পর গাজার বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন, কেউ কেউ হাসপাতালে আহত স্বজনদের খুঁজছেন।
এদিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সাক্ষ্য গ্রহণের কথা থাকলেও ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির’ কারণে তা স্থগিত করা হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানানো এবং মধ্যস্থতাকারীদের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এই হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে হামাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী।
হামলার জন্য ইসরায়েলকে বিশ্বাসঘাতক বলে অভিযুক্ত করেছে হামাস। তারা বলছে, এই হামলার মাধ্যমে গাজায় থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিদের ‘অজানা পরিণতির’ মুখে ফেলেছে দেশটি।
মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আলোচনার চেষ্টা চলছিল। যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্ব ১ মার্চ শেষ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র এটি মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিল, যেখানে জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের শর্ত ছিল। তবে আলোচনায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মতবিরোধ থাকায় কোনো সমাধান হয়নি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর ইসরায়েলের সামরিক প্রতিক্রিয়ায় গাজায় ৪৮,০০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
গাজার ২১ লাখ মানুষ বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে, ৭০ শতাংশেরও বেশি ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য, পানি, স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।