যুদ্ধবিরতির মধ্যেই নতুন করে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (১৮ মার্চ) মধ্যরাতে গাজার খান ইউনিস, রাফা, গাজা নগরী ও দেইর আল-বালাহসহ বিভিন্ন এলাকায় বিমান ও ড্রোন হামলা চালানো হয়**।
নিহত অন্তত ৪০৪ জন, আহত ৫৬২ জন। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। রাতের অন্ধকারে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষদের চিৎকারে কেঁপে ওঠে গাজা।
কেন এই হামলা?
ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে**।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, হামাসের বিরুদ্ধে আরও বড় সামরিক অভিযান চালানো হবে**।
হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে, গাজায় হামলার আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেছেন**।
ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, “হামাস, হুতি, ইরানসহ যারা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি, তাদের অবশ্যই এর মূল্য দিতে হবে।”
হামাস ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ আখ্যা দিয়েছে হামাস। তারা বলছে, “গাজায় ভয়াবহ গণহত্যা চলছে, বিশ্ববাসীকে এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে হবে।”
ইসরায়েলের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, কাতার, সৌদি আরব, জর্ডান, ইরান ও মিসর**।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “গাজার জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে হবে এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।”
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কীভাবে ভাঙল?
১৯ জানুয়ারি মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
২ মার্চ যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হলে রমজান ও ইহুদিদের পাসওভার উৎসবের কথা বিবেচনা করে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়।
তবে সোমবার রাতে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নতুন করে হামলা শুরু করে।
‘হাতে হাতে শিশুর ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ’
গাজার মারাম হুমাইদ বলেন, “আমার মেয়ে গভীর ঘুমে ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। আতঙ্কে সে চিৎকার করে বলে—‘বাবা, মা, কী হচ্ছে?’ আমরা কিছু বলতে পারছিলাম না।”
আরেক বাসিন্দা আহমেদ আবু রিজক*বলেন, “বোমার শব্দে আমরা ভীত হয়ে পড়ি। শিশুরা ভয়ে কুঁকড়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখি, অভিভাবকরা তাঁদের ছিন্নভিন্ন শিশুদের মরদেহ কোলে নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন।”
গাজার মোমেন কোরেইকেহ বলেন, “এই হামলায় আমার পরিবারের ২৬ জন নিহত হয়েছে।”
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের শঙ্কা?
ইসরায়েলের হামলার পর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করেছে।
এই হামলার কারণে কাতার ও মিসর যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থগিত করেছে।
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই নতুন করে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সোমবার (১৮ মার্চ) মধ্যরাতে গাজার খান ইউনিস, রাফা, গাজা নগরী ও দেইর আল-বালাহসহ বিভিন্ন এলাকায় বিমান ও ড্রোন হামলা চালানো হয়**।
নিহত অন্তত ৪০৪ জন, আহত ৫৬২ জন। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। রাতের অন্ধকারে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষদের চিৎকারে কেঁপে ওঠে গাজা।
কেন এই হামলা?
ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে**।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানায়, হামাসের বিরুদ্ধে আরও বড় সামরিক অভিযান চালানো হবে**।
হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে, গাজায় হামলার আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেছেন**।
ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, “হামাস, হুতি, ইরানসহ যারা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি, তাদের অবশ্যই এর মূল্য দিতে হবে।”
হামাস ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ আখ্যা দিয়েছে হামাস। তারা বলছে, “গাজায় ভয়াবহ গণহত্যা চলছে, বিশ্ববাসীকে এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে হবে।”
ইসরায়েলের এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, কাতার, সৌদি আরব, জর্ডান, ইরান ও মিসর**।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “গাজার জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে হবে এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।”
যুদ্ধবিরতি চুক্তি কীভাবে ভাঙল?
১৯ জানুয়ারি মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
২ মার্চ যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হলে রমজান ও ইহুদিদের পাসওভার উৎসবের কথা বিবেচনা করে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়।
তবে সোমবার রাতে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে নতুন করে হামলা শুরু করে।
‘হাতে হাতে শিশুর ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহ’
গাজার মারাম হুমাইদ বলেন, “আমার মেয়ে গভীর ঘুমে ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। আতঙ্কে সে চিৎকার করে বলে—‘বাবা, মা, কী হচ্ছে?’ আমরা কিছু বলতে পারছিলাম না।”
আরেক বাসিন্দা আহমেদ আবু রিজক*বলেন, “বোমার শব্দে আমরা ভীত হয়ে পড়ি। শিশুরা ভয়ে কুঁকড়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখি, অভিভাবকরা তাঁদের ছিন্নভিন্ন শিশুদের মরদেহ কোলে নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন।”
গাজার মোমেন কোরেইকেহ বলেন, “এই হামলায় আমার পরিবারের ২৬ জন নিহত হয়েছে।”
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংঘাতের শঙ্কা?
ইসরায়েলের হামলার পর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করেছে।
এই হামলার কারণে কাতার ও মিসর যুদ্ধবিরতির আলোচনা স্থগিত করেছে।