চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ার রাজধানী হোহহট এ মাসে শিশুর দেখভাল-সংক্রান্ত বেশকিছু ভাতা ঘোষণা করেছে এবং নতুন মায়েদের সুবিধার্থে প্রতিদিন বিনা মূল্যে এক কাপ দুধ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
গত সোমবার সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, চীনের ২০টিরও বেশি প্রাদেশিক প্রশাসন শিশু যত্ন ভাতা চালু করেছে। নীতিনির্ধারকরা তরুণ দম্পতিদের বিয়ে ও সন্তান নেয়ার জন্য উৎসাহিত করতে এসব ভাতা চালুর দিকে জোর দিচ্ছেন। ২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমেছে, আর বিয়ের সংখ্যা কমেছে এক-পঞ্চমাংশ, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পতন। ফলে চীন এক নজিরবিহীন জনসংখ্যাগত সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। মূলত ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কঠোর এক সন্তান নীতির প্রভাব, দ্রুত নগরায়ণ এবং উচ্চ ব্যয়ের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে দম্পতিদের তিনটি পর্যন্ত সন্তান নেয়ার অনুমতি দেয়া হলেও জন্মহার বাড়ছে না।
চলতি মাসের শুরুতে চীনের বার্ষিক সংসদীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং জন্মহার বাড়াতে শিশু যত্ন ভাতা ও বিনা মূল্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ঘোষণা দেন। গত রবিবার প্রকাশিত অভ্যন্তরীণ ভোক্তা খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষকে শিশু যত্ন ভাতা ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
হোহহট নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম সন্তানের জন্য এককালীন ১০ হাজার ইউয়ান (প্রায় ১ হাজার ৩৮৩ মার্কিন ডলার) দেওয়া হবে। দ্বিতীয় সন্তানের জন্য পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রতি বছর ১০ হাজার ইউয়ান করে দেওয়া হবে। তৃতীয় সন্তানের জন্য বার্ষিক ১০ হাজার ইউয়ান দেওয়া হবে, যা সন্তানের ১০ বছর বয়স পর্যন্ত চালু থাকবে। এই ভাতার পরিমাণ স্থানীয় অধিবাসীদের বার্ষিক গড় আয়ের প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া, ‘এক কাপ দুধ মাতৃত্বকালীন যত্ন কর্মসূচি’ নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যার আওতায় ১ মার্চের পর সন্তান জন্ম দেয়া সব মা প্রতিদিন বিনা মূল্যে এক কাপ দুধ পাবেন।
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ার রাজধানী হোহহট এ মাসে শিশুর দেখভাল-সংক্রান্ত বেশকিছু ভাতা ঘোষণা করেছে এবং নতুন মায়েদের সুবিধার্থে প্রতিদিন বিনা মূল্যে এক কাপ দুধ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশ জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। খবর রয়টার্সের।
গত সোমবার সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, চীনের ২০টিরও বেশি প্রাদেশিক প্রশাসন শিশু যত্ন ভাতা চালু করেছে। নীতিনির্ধারকরা তরুণ দম্পতিদের বিয়ে ও সন্তান নেয়ার জন্য উৎসাহিত করতে এসব ভাতা চালুর দিকে জোর দিচ্ছেন। ২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো চীনের জনসংখ্যা কমেছে, আর বিয়ের সংখ্যা কমেছে এক-পঞ্চমাংশ, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পতন। ফলে চীন এক নজিরবিহীন জনসংখ্যাগত সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। মূলত ১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কঠোর এক সন্তান নীতির প্রভাব, দ্রুত নগরায়ণ এবং উচ্চ ব্যয়ের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে দম্পতিদের তিনটি পর্যন্ত সন্তান নেয়ার অনুমতি দেয়া হলেও জন্মহার বাড়ছে না।
চলতি মাসের শুরুতে চীনের বার্ষিক সংসদীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং জন্মহার বাড়াতে শিশু যত্ন ভাতা ও বিনা মূল্যে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ঘোষণা দেন। গত রবিবার প্রকাশিত অভ্যন্তরীণ ভোক্তা খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষকে শিশু যত্ন ভাতা ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
হোহহট নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম সন্তানের জন্য এককালীন ১০ হাজার ইউয়ান (প্রায় ১ হাজার ৩৮৩ মার্কিন ডলার) দেওয়া হবে। দ্বিতীয় সন্তানের জন্য পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রতি বছর ১০ হাজার ইউয়ান করে দেওয়া হবে। তৃতীয় সন্তানের জন্য বার্ষিক ১০ হাজার ইউয়ান দেওয়া হবে, যা সন্তানের ১০ বছর বয়স পর্যন্ত চালু থাকবে। এই ভাতার পরিমাণ স্থানীয় অধিবাসীদের বার্ষিক গড় আয়ের প্রায় দ্বিগুণ। এছাড়া, ‘এক কাপ দুধ মাতৃত্বকালীন যত্ন কর্মসূচি’ নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যার আওতায় ১ মার্চের পর সন্তান জন্ম দেয়া সব মা প্রতিদিন বিনা মূল্যে এক কাপ দুধ পাবেন।