গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাবে তেল আবিবে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করার দাবি করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে, আর বাকিগুলো জনমানবহীন এলাকায় পড়েছে।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া নতুন হামলায় এখন পর্যন্ত ২০০ শিশুসহ কমপক্ষে ৫৯১ জন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার থেকে গাজার দক্ষিণে রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরু করেছে। সেনারা সেখানে "সন্ত্রাসী অবকাঠামো" ধ্বংস করার দাবি করেছে।
এছাড়াও, গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে বিভক্ত করতে ‘আংশিক বাফার জোন’ তৈরির লক্ষ্যে আইডিএফ অভিযান চালাচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী একে ‘সীমিত স্থল অভিযান’ বললেও ফিলিস্তিনি পক্ষ এটিকে ব্যাপক আক্রমণ হিসেবে দেখছে।
আইডিএফ মুখপাত্র কর্নেল আভিচে আদ্রেই জানিয়েছেন, সেনারা গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে বিচ্ছিন্ন করতে নেটজারিম করিডোরে অবস্থান নিয়েছে।
নতুন সহিংসতার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। দেশটির সরকারি মুখপাত্র ডেভিড মেনসার বলেছেন, হামাস যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারীদের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
অন্যদিকে, হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করায় তারা আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে তাদের পাঁচজন কর্মী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক ও নার্স ছিলেন।
জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় তাদের একটি দপ্তর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে এক কর্মী নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি নিশ্চিত করেছেন যে, জাতিসংঘ দপ্তরে হামলায় এক ব্রিটিশ নাগরিক আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বেড়েছে। জেরুজালেম ও তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করেছে।
ইসরায়েল বলছে, হামাসের হাতে এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা বৃহস্পতিবার তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে আইডিএফ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলে প্রবেশের আগেই এটি প্রতিহত করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আহতের সংখ্যা আরও বাড়ছে।
সেখানে একজন চিকিৎসক বিবিসিকে জানিয়েছেন, বহু আহত ব্যক্তিকে সরাসরি মর্গে পাঠানো হচ্ছে, কারণ জরুরি বিভাগে তাদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখনও আসেনি।’’
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর সহিংসতা নতুন করে শুরু হয়েছে। ইসরায়েল বলছে, হামাস তাদের শর্তে রাজি না হলে হামলা আরও তীব্র হবে। অন্যদিকে, হামাস বলছে, তারা আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে।
পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে ইসরায়েল হামাসকে চাপে রাখতে সামরিক শক্তি ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাবে তেল আবিবে তিনটি রকেট নিক্ষেপ করার দাবি করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে, আর বাকিগুলো জনমানবহীন এলাকায় পড়েছে।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া নতুন হামলায় এখন পর্যন্ত ২০০ শিশুসহ কমপক্ষে ৫৯১ জন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার থেকে গাজার দক্ষিণে রাফাহ শহরে স্থল অভিযান শুরু করেছে। সেনারা সেখানে "সন্ত্রাসী অবকাঠামো" ধ্বংস করার দাবি করেছে।
এছাড়াও, গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে বিভক্ত করতে ‘আংশিক বাফার জোন’ তৈরির লক্ষ্যে আইডিএফ অভিযান চালাচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী একে ‘সীমিত স্থল অভিযান’ বললেও ফিলিস্তিনি পক্ষ এটিকে ব্যাপক আক্রমণ হিসেবে দেখছে।
আইডিএফ মুখপাত্র কর্নেল আভিচে আদ্রেই জানিয়েছেন, সেনারা গাজার উত্তর ও দক্ষিণ অংশকে বিচ্ছিন্ন করতে নেটজারিম করিডোরে অবস্থান নিয়েছে।
নতুন সহিংসতার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। দেশটির সরকারি মুখপাত্র ডেভিড মেনসার বলেছেন, হামাস যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারীদের সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।
অন্যদিকে, হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করায় তারা আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে তাদের পাঁচজন কর্মী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শিক্ষক, চিকিৎসক ও নার্স ছিলেন।
জাতিসংঘ আরও জানিয়েছে, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকায় তাদের একটি দপ্তর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেখানে এক কর্মী নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখবে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি নিশ্চিত করেছেন যে, জাতিসংঘ দপ্তরে হামলায় এক ব্রিটিশ নাগরিক আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বেড়েছে। জেরুজালেম ও তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করেছে।
ইসরায়েল বলছে, হামাসের হাতে এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে, যাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা বৃহস্পতিবার তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তবে আইডিএফ জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলে প্রবেশের আগেই এটি প্রতিহত করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আহতের সংখ্যা আরও বাড়ছে।
সেখানে একজন চিকিৎসক বিবিসিকে জানিয়েছেন, বহু আহত ব্যক্তিকে সরাসরি মর্গে পাঠানো হচ্ছে, কারণ জরুরি বিভাগে তাদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখনও আসেনি।’’
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর সহিংসতা নতুন করে শুরু হয়েছে। ইসরায়েল বলছে, হামাস তাদের শর্তে রাজি না হলে হামলা আরও তীব্র হবে। অন্যদিকে, হামাস বলছে, তারা আন্তর্জাতিক চাপের মুখেও প্রতিরোধ চালিয়ে যাবে।
পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে ইসরায়েল হামাসকে চাপে রাখতে সামরিক শক্তি ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।