তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান বিরোধী ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল দেশটি। বিক্ষোভের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইস্তাম্বুলের সিটি হলের বাইরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পথে নেমেছেন।
শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের হটাতে ইস্তানবুলের পুলিশের টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়েছে। বিবিসি বলছে, রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির (সিএইচপি) সদস্য ইমামোগলু দেশটির আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। গত বুধবার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে ইমামোগলুসহ ১০৬জনকে আটক করে দেশটির পুলিশ। এই ঘটনার পর দেশটির পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্টের অভিযোগে আরও কয়েক ডজন লোককে গ্রেপ্তার করেছে। টানা দ্বিতীয়রাতের বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় এরদোয়ান অভিযোগ করেছেন যে বিক্ষোভকারীরা ‘নাটক’ করছেন। তিনি বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা এতটাই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে যে তারা আমাদের পুলিশকে আক্রমণ করার, বিচারক, প্রসিকিউটরদের হুমকি দেওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে সিএইচপির নেতা ওজগুর ওজেল বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, জনগণের বিক্ষোভ করার অধিকার আছে। সরকার একটি ক্যু’র চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া বৃহস্পতিবার সকালে এক ঘোষণায় বলেছেন, পুলিশ অনলাইন ২৬১টি সন্দেহভাজন অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার চিহ্নিত করেছে- যারা হিংসা, বিদ্বেষ ছড়াতে এবং অপরাধ করতে উসকানি দিটে কন্টেন্ট পোস্ট করেছে। বৃহস্পতিবার ইমামোগলুর এক্সে একটি বার্তা পোস্ট করা হয়। পোস্টে তুরস্ককে জাতি হিসেবে মন্দ কাজের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে দেশটির বিচার বিভাগ এবং এরদোয়ানের দলের সদস্যদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানানো হয়। ইমামোগলু বলেছেন, সময় এসেছে কথা বলার।
এর আগে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, জনপ্রিয় বিরোধী নেতা ইমামোগলু আটকের ঘটনা গণতন্ত্র নিয়ে তুরস্কে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এর জেরে ইস্তাম্বুলসহ অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ চলছে। সমালোচকেরা এই দমন-পীড়ন গত বছর স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের উল্লেখযোগ্য পরাজয়ের পর এরদোয়ানের দুই দশকের বেশি সময় ধরে শাসনকাল দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তবে নতুন এই বিক্ষোভের ফলে এরদোয়ান চাপে পড়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান বিরোধী ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল দেশটি। বিক্ষোভের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইস্তাম্বুলের সিটি হলের বাইরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো হাজার হাজার বিক্ষোভকারী পথে নেমেছেন।
শুক্রবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের হটাতে ইস্তানবুলের পুলিশের টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছুড়েছে। বিবিসি বলছে, রিপাবলিকান পিপল’স পার্টির (সিএইচপি) সদস্য ইমামোগলু দেশটির আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। গত বুধবার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে ইমামোগলুসহ ১০৬জনকে আটক করে দেশটির পুলিশ। এই ঘটনার পর দেশটির পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক পোস্টের অভিযোগে আরও কয়েক ডজন লোককে গ্রেপ্তার করেছে। টানা দ্বিতীয়রাতের বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় এরদোয়ান অভিযোগ করেছেন যে বিক্ষোভকারীরা ‘নাটক’ করছেন। তিনি বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা এতটাই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে যে তারা আমাদের পুলিশকে আক্রমণ করার, বিচারক, প্রসিকিউটরদের হুমকি দেওয়ার মতো অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে সিএইচপির নেতা ওজগুর ওজেল বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, জনগণের বিক্ষোভ করার অধিকার আছে। সরকার একটি ক্যু’র চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া বৃহস্পতিবার সকালে এক ঘোষণায় বলেছেন, পুলিশ অনলাইন ২৬১টি সন্দেহভাজন অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার চিহ্নিত করেছে- যারা হিংসা, বিদ্বেষ ছড়াতে এবং অপরাধ করতে উসকানি দিটে কন্টেন্ট পোস্ট করেছে। বৃহস্পতিবার ইমামোগলুর এক্সে একটি বার্তা পোস্ট করা হয়। পোস্টে তুরস্ককে জাতি হিসেবে মন্দ কাজের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে দেশটির বিচার বিভাগ এবং এরদোয়ানের দলের সদস্যদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানানো হয়। ইমামোগলু বলেছেন, সময় এসেছে কথা বলার।
এর আগে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, জনপ্রিয় বিরোধী নেতা ইমামোগলু আটকের ঘটনা গণতন্ত্র নিয়ে তুরস্কে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এর জেরে ইস্তাম্বুলসহ অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ চলছে। সমালোচকেরা এই দমন-পীড়ন গত বছর স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের উল্লেখযোগ্য পরাজয়ের পর এরদোয়ানের দুই দশকের বেশি সময় ধরে শাসনকাল দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। তবে নতুন এই বিক্ষোভের ফলে এরদোয়ান চাপে পড়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।