বিদ্যুৎ সরবরাহে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দুই দিন পর যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বিমানবন্দর হিথ্রোতে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে পুরোদমে ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম লন্ডনের হেইস এলাকায় নর্থ হাইড সাবস্টেশনে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়লে হিথ্রোতে নজিরবিহীন বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয়। এতে বিমানবন্দরের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে এবং প্রায় ১২০টি ফ্লাইট বাতিল বা অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হন অন্তত দুই লাখ যাত্রী।
বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী থমাস ওল্ডবাই শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “মাঝারি আকারের একটি শহরের সমান শক্তি আমরা একসঙ্গে হারিয়েছি। আমাদের ব্যাকআপ সিস্টেম কাজ করলেও তা পুরো বিমানবন্দর চালানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।”
তিনি বলেন, “এটি কোনো ছোটখাটো সমস্যা নয়। এটি হিথ্রোর জন্য অত্যন্ত গুরুতর এবং নজিরবিহীন একটি ঘটনা।”
নাশকতা নয়, তদন্তে গুরুত্ব বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায়
মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, তারা আগুনের ঘটনায় নাশকতার কোনো প্রমাণ পায়নি। তদন্তে মূলত নজর দেওয়া হবে সাবস্টেশন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায়।
লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, ২৫ হাজার লিটার কুলিং ফ্লুইড ভর্তি একটি ট্রান্সফরমারে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে পাঠানো হয় ১০টি ফায়ার ইঞ্জিন এবং ৭০ জন দমকল কর্মী। নিরাপত্তার জন্য প্রায় ১৫০ জন বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ, হাজারো যাত্রীর দুর্ভোগ
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে আগুন লাগার পর থেকেই একে একে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ছড়িয়ে পড়ে পুরো হিথ্রোতে। ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে ছিলেন। অনেকে অন্য বিমানবন্দরে গিয়ে অপেক্ষা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ফেরার জন্য আসা এক পরিবার জানায়, হিথ্রোতে পৌঁছে তারা জানতে পারেন বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে গেছে। “আমরা শুধু চাই, সঠিকভাবে তথ্য জানানো হোক,” বলেন যাত্রী অ্যান্ড্রু শ্রী।
সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, ফিরে এসেছে কিছু ফ্লাইট
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, এয়ার কানাডা ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, তারা হিথ্রো থেকে নির্ধারিত ফ্লাইট পুনরায় চালু করেছে।
পরিবহন বিভাগ জানিয়েছে, রাতের ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে যাতে যাত্রীদের জট কমানো যায়।
জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘অফজেম’ বলেছে, তারা ঘটনার কারণ ও সম্ভাব্য শিক্ষা নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করবে।
পরিবহনমন্ত্রী হেইডি আলেকজান্ডার জানান, “আমাদের কাছে তথ্য আছে যে ব্যাকআপ এনার্জি সিস্টেমগুলো সঠিকভাবে কাজ করেছে। তবে পুরো বিমানবন্দর চালানোর মতো সক্ষমতা তাদের নেই।”
তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার পর হিথ্রো এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকা যায়।”
প্রতিদিন প্রায় ১৩০০ ফ্লাইট পরিচালনা করে হিথ্রো বিমানবন্দর। গত বছর এর টার্মিনাল দিয়ে যাতায়াত করেছে রেকর্ড ৮ কোটি ৩৯ লাখ যাত্রী।
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
বিদ্যুৎ সরবরাহে ভয়াবহ বিপর্যয়ের দুই দিন পর যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বিমানবন্দর হিথ্রোতে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে পুরোদমে ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম লন্ডনের হেইস এলাকায় নর্থ হাইড সাবস্টেশনে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়লে হিথ্রোতে নজিরবিহীন বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয়। এতে বিমানবন্দরের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে এবং প্রায় ১২০টি ফ্লাইট বাতিল বা অন্যত্র ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হন অন্তত দুই লাখ যাত্রী।
বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী থমাস ওল্ডবাই শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “মাঝারি আকারের একটি শহরের সমান শক্তি আমরা একসঙ্গে হারিয়েছি। আমাদের ব্যাকআপ সিস্টেম কাজ করলেও তা পুরো বিমানবন্দর চালানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।”
তিনি বলেন, “এটি কোনো ছোটখাটো সমস্যা নয়। এটি হিথ্রোর জন্য অত্যন্ত গুরুতর এবং নজিরবিহীন একটি ঘটনা।”
নাশকতা নয়, তদন্তে গুরুত্ব বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায়
মেট্রোপলিটন পুলিশ বলছে, তারা আগুনের ঘটনায় নাশকতার কোনো প্রমাণ পায়নি। তদন্তে মূলত নজর দেওয়া হবে সাবস্টেশন ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায়।
লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, ২৫ হাজার লিটার কুলিং ফ্লুইড ভর্তি একটি ট্রান্সফরমারে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে পাঠানো হয় ১০টি ফায়ার ইঞ্জিন এবং ৭০ জন দমকল কর্মী। নিরাপত্তার জন্য প্রায় ১৫০ জন বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধ, হাজারো যাত্রীর দুর্ভোগ
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে আগুন লাগার পর থেকেই একে একে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ছড়িয়ে পড়ে পুরো হিথ্রোতে। ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে ছিলেন। অনেকে অন্য বিমানবন্দরে গিয়ে অপেক্ষা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ফেরার জন্য আসা এক পরিবার জানায়, হিথ্রোতে পৌঁছে তারা জানতে পারেন বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে গেছে। “আমরা শুধু চাই, সঠিকভাবে তথ্য জানানো হোক,” বলেন যাত্রী অ্যান্ড্রু শ্রী।
সাময়িক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, ফিরে এসেছে কিছু ফ্লাইট
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, এয়ার কানাডা ও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, তারা হিথ্রো থেকে নির্ধারিত ফ্লাইট পুনরায় চালু করেছে।
পরিবহন বিভাগ জানিয়েছে, রাতের ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে যাতে যাত্রীদের জট কমানো যায়।
জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘অফজেম’ বলেছে, তারা ঘটনার কারণ ও সম্ভাব্য শিক্ষা নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করবে।
পরিবহনমন্ত্রী হেইডি আলেকজান্ডার জানান, “আমাদের কাছে তথ্য আছে যে ব্যাকআপ এনার্জি সিস্টেমগুলো সঠিকভাবে কাজ করেছে। তবে পুরো বিমানবন্দর চালানোর মতো সক্ষমতা তাদের নেই।”
তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনার পর হিথ্রো এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকা যায়।”
প্রতিদিন প্রায় ১৩০০ ফ্লাইট পরিচালনা করে হিথ্রো বিমানবন্দর। গত বছর এর টার্মিনাল দিয়ে যাতায়াত করেছে রেকর্ড ৮ কোটি ৩৯ লাখ যাত্রী।