ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে ‘আরও এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার’ নির্দেশ দিয়েছে তাদের সেনাবাহিনীকে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, হামাসের হাতে থাকা সব জিম্মি মুক্ত না হলে গাজার অংশবিশেষ চিরতরে দখল করে নেওয়া হতে পারে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, “জীবিত ও মৃত—সব জিম্মি না ফেরা পর্যন্ত গাজায় স্থল অভিযান আরও তীব্র হবে।”
তিনি বলেন, “হামাস যতবার সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে, ততই তারা গাজার ভূখণ্ড হারাবে।”
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় এখনও অন্তত ২৪ জন জীবিতসহ ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা স্থবির থাকায় তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়েছে
চলতি বছরের জানুয়ারিতে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির যে প্রথম ধাপ কার্যকর হয়েছিল, তা ভঙ্গুর অবস্থায় থেকেও কিছু সময় ধরে কার্যকর ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ইসরায়েল নতুন করে বিমান ও স্থল হামলা শুরু করলে সেটির স্থায়িত্ব শেষ হয়ে যায়।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এর জন্য হামাসকেই দায়ী করছে। তাদের দাবি, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামাস বলছে, তারা ‘গুরুত্ব সহকারে ও দায়িত্বের সঙ্গে’ মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইসরায়েলের নতুন প্রস্তাবকে তারা “চুক্তি এড়ানোর প্রচেষ্টা” হিসেবে দেখছে।
‘ভূখণ্ড হারানোর হুমকি’ ও ট্রাম্পের পরিকল্পনা
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেন, গাজার বেসামরিক জনগণের জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘স্বেচ্ছায় স্থানান্তর পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নেও ইসরায়েল আগ্রহী।
এই পরিকল্পনার আওতায় গাজার দুই মিলিয়ন ফিলিস্তিনিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া এবং অঞ্চলটি পুনর্গঠন করার প্রস্তাব রয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং হামাস উভয়ই এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের ভাষায়, “গাজা বিক্রির জন্য নয়।”
জাতিসংঘের উদ্বেগ
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNRWA-এর কর্মকর্তা স্যাম রোজ গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে “ভয়াবহ ও উদ্বেগজনক” বলেছেন।
“আমরা এখানে প্রতিদিনই মর্মান্তিক ঘটনা দেখছি,” বলেন তিনি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডরোথি শিয়া বলেন, “হামাস যদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিত, তাহলে এই মৃত্যুগুলো এড়ানো যেত।”
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, দখলকৃত অঞ্চল থেকে বেসামরিকদের জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ এবং এটি জাতিগত নিধনের শামিল হতে পারে।
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
ইসরায়েল গাজা ভূখণ্ডে ‘আরও এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার’ নির্দেশ দিয়েছে তাদের সেনাবাহিনীকে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এই নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, হামাসের হাতে থাকা সব জিম্মি মুক্ত না হলে গাজার অংশবিশেষ চিরতরে দখল করে নেওয়া হতে পারে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, “জীবিত ও মৃত—সব জিম্মি না ফেরা পর্যন্ত গাজায় স্থল অভিযান আরও তীব্র হবে।”
তিনি বলেন, “হামাস যতবার সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে, ততই তারা গাজার ভূখণ্ড হারাবে।”
ইসরায়েলের দাবি, গাজায় এখনও অন্তত ২৪ জন জীবিতসহ ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা স্থবির থাকায় তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।
দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়েছে
চলতি বছরের জানুয়ারিতে কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির যে প্রথম ধাপ কার্যকর হয়েছিল, তা ভঙ্গুর অবস্থায় থেকেও কিছু সময় ধরে কার্যকর ছিল। কিন্তু সম্প্রতি ইসরায়েল নতুন করে বিমান ও স্থল হামলা শুরু করলে সেটির স্থায়িত্ব শেষ হয়ে যায়।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র এর জন্য হামাসকেই দায়ী করছে। তাদের দাবি, হামাস যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
হামাস বলছে, তারা ‘গুরুত্ব সহকারে ও দায়িত্বের সঙ্গে’ মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইসরায়েলের নতুন প্রস্তাবকে তারা “চুক্তি এড়ানোর প্রচেষ্টা” হিসেবে দেখছে।
‘ভূখণ্ড হারানোর হুমকি’ ও ট্রাম্পের পরিকল্পনা
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ বলেন, গাজার বেসামরিক জনগণের জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘স্বেচ্ছায় স্থানান্তর পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নেও ইসরায়েল আগ্রহী।
এই পরিকল্পনার আওতায় গাজার দুই মিলিয়ন ফিলিস্তিনিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া এবং অঞ্চলটি পুনর্গঠন করার প্রস্তাব রয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং হামাস উভয়ই এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের ভাষায়, “গাজা বিক্রির জন্য নয়।”
জাতিসংঘের উদ্বেগ
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা UNRWA-এর কর্মকর্তা স্যাম রোজ গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে “ভয়াবহ ও উদ্বেগজনক” বলেছেন।
“আমরা এখানে প্রতিদিনই মর্মান্তিক ঘটনা দেখছি,” বলেন তিনি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডরোথি শিয়া বলেন, “হামাস যদি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নিত, তাহলে এই মৃত্যুগুলো এড়ানো যেত।”
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, দখলকৃত অঞ্চল থেকে বেসামরিকদের জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ এবং এটি জাতিগত নিধনের শামিল হতে পারে।