রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সোমবার তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল কৃষ্ণসাগরে সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতি। বড় ধরনের যুদ্ধবিরতির আগে আংশিক যুদ্ধবিরতির বিষয় নিয়েও এগোনোর চেষ্টা করা হচ্ছিল।
গত রোববার সৌদি আরবে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়, এরপর গতকাল রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রচেষ্টাকে ‘শাটল কূটনীতি’ হিসেবে অভিহিত করেছে, যেখানে তৃতীয় পক্ষ উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইল ওলাৎজ জানিয়ে বলেন, “রিয়াদে একই হোটেলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।” কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও নিয়ন্ত্রণরেখা এবং যাচাই উদ্যোগ, শান্তি রক্ষা, এবং অঞ্চলটির স্থিতিশীলতার বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচেষ্টা জোরদার করেছেন। গত সপ্তাহে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ করেন। সৌদি আরবে উভয় পক্ষের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চালানো হচ্ছে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ পরিচালক অ্যান্ড্রু পিক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাইকেল অ্যান্টন উপস্থিত আছেন। তাঁদের আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল কৃষ্ণসাগরে সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা, যাতে ওই নৌপথে নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচল করতে পারে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে সাবেক কূটনীতিক গ্রেগরি কারাসিন এবং ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের পরিচালক সের্গেই বেসেডা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং পুতিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক বলেছেন। তবে, ইউক্রেনের মিত্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলো পুতিনের দাবিতে সন্দিহান। তাদের মতে, ২০২২ সালে ইউক্রেনের হামলার পর থেকে পুতিন কোনো ধরনের ছাড় দেয়নি।
পুতিন দাবি করেছেন, তিনি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন তবে এর জন্য ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদান থেকে বিরত থাকতে হবে এবং রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোর সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। গত তিন বছরে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, আলোচনার মূল লক্ষ্য হবে কৃষ্ণসাগরে নৌযানের নিরাপত্তা সম্পর্কিত উদ্যোগের বাস্তবায়ন সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। গত বছর রাশিয়া কৃষ্ণসাগর শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে বের হয়ে যায়, যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ সৌদি আরবে প্রতিনিধি দল নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তিনি ফেসবুকে বলেছেন, আলোচনায় জ্বালানি এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছেন, পশ্চিমা মিত্রদের উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, পুতিনের লক্ষ্য ইউরোপে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেওয়া নয়।
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সোমবার তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল কৃষ্ণসাগরে সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতি। বড় ধরনের যুদ্ধবিরতির আগে আংশিক যুদ্ধবিরতির বিষয় নিয়েও এগোনোর চেষ্টা করা হচ্ছিল।
গত রোববার সৌদি আরবে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়, এরপর গতকাল রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রচেষ্টাকে ‘শাটল কূটনীতি’ হিসেবে অভিহিত করেছে, যেখানে তৃতীয় পক্ষ উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইল ওলাৎজ জানিয়ে বলেন, “রিয়াদে একই হোটেলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে।” কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও নিয়ন্ত্রণরেখা এবং যাচাই উদ্যোগ, শান্তি রক্ষা, এবং অঞ্চলটির স্থিতিশীলতার বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচেষ্টা জোরদার করেছেন। গত সপ্তাহে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ করেন। সৌদি আরবে উভয় পক্ষের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা চালানো হচ্ছে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জ্যেষ্ঠ পরিচালক অ্যান্ড্রু পিক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাইকেল অ্যান্টন উপস্থিত আছেন। তাঁদের আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল কৃষ্ণসাগরে সামুদ্রিক যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা, যাতে ওই নৌপথে নির্বিঘ্নে জাহাজ চলাচল করতে পারে।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে সাবেক কূটনীতিক গ্রেগরি কারাসিন এবং ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের পরিচালক সের্গেই বেসেডা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং পুতিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক বলেছেন। তবে, ইউক্রেনের মিত্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলো পুতিনের দাবিতে সন্দিহান। তাদের মতে, ২০২২ সালে ইউক্রেনের হামলার পর থেকে পুতিন কোনো ধরনের ছাড় দেয়নি।
পুতিন দাবি করেছেন, তিনি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন তবে এর জন্য ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদান থেকে বিরত থাকতে হবে এবং রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোর সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। গত তিন বছরে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, আলোচনার মূল লক্ষ্য হবে কৃষ্ণসাগরে নৌযানের নিরাপত্তা সম্পর্কিত উদ্যোগের বাস্তবায়ন সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। গত বছর রাশিয়া কৃষ্ণসাগর শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে বের হয়ে যায়, যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ সৌদি আরবে প্রতিনিধি দল নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তিনি ফেসবুকে বলেছেন, আলোচনায় জ্বালানি এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষার বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেছেন, পশ্চিমা মিত্রদের উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, পুতিনের লক্ষ্য ইউরোপে যুদ্ধ ছড়িয়ে দেওয়া নয়।