alt

ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই গাজায় ব্যাপক বিক্ষোভ ফিলিস্তিনিদের

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় হামাস-বিরোধী বৃহত্তম বিক্ষোভে শত শত মানুষ অংশ নিয়েছেন -এএফপি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। নিরলস এই হামলায় প্রতিদিনই ঘটছে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা। এমন অবস্থায় ভূখণ্ডটিতে বিক্ষোভ করেছেন শত শত ফিলিস্তিনি। গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার দাবিতে এই বিক্ষোভ করেছেন তারা। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় হামাস-বিরোধী বৃহত্তম বিক্ষোভে শত শত মানুষ অংশ নিয়েছেন। তারা স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীর ভূখণ্ডের শাসন ক্ষমতা থেকে সরে আসার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন।

তবে মুখোশধারী হামাস যোদ্ধারা যাদের মধ্যে কেউ কেউ বন্দুক এবং কেউ কেউ লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন এবং জোরপূর্বক ছত্রভঙ্গ করে দেন। বিক্ষোভকারীদের হামাসবিরোধী স্লোগানও দিতে শোনা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামাসের সমালোচনাকারী কর্মীদের ব্যাপকভাবে শেয়ার করা বেশ কিছু ভিডিওতে মঙ্গলবার উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার রাস্তায় যুবকদের মিছিল করতে দেখা গেছে। ভিডিওতে তাদেরকে “বেরিয়ে যাও, বেরিয়ে যাও, বেরিয়ে যাও, হামাস বেরিয়ে যাও” স্লোগান দিতে শোনা যায়।

তবে হামাসপন্থি সমর্থকরা ফিলিস্তিনের স্বাধীরতাকামী এই সশস্ত্র দলটিকেই সমর্থন করেছেন। তারা বিক্ষোভের তাৎপর্যকে খাটো করে দেখেছেন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিশ্বাসঘাতক বলে অভিযোগ করেছেন। অবশ্য হামাস এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। বিবিসি বলছে, গাজার আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের বন্দুকধারীরা ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানোর একদিন পর উত্তর গাজায় এই বিক্ষোভ শুরু হয়, যার ফলে ইসরায়েল বেইত লাহিয়ার বিশাল অংশ খালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ওই এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল সম্প্রতি গাজায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করেছে এবং নারী ও শিশুসহ শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। মূলত যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য একটি নতুন মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত মূল চুক্তি পরিত্যাগ করার অভিযোগ এনেছে হামাস। গত ১৮ মার্চ বিমান হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে শত শত ফিলিস্তিনি নিহত এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

বিক্ষোভকারীদের একজন বেইত লাহিয়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ দিয়াব। যুদ্ধে তার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এক বছর আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনি তার ভাইকে হারিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা কারও জন্য, যে কোনও দলের এজেন্ডা বা বিদেশি রাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য মরতে রাজি নই।” তিনি বলেন, “হামাসকে পদত্যাগ করতে হবে এবং শোকাহতদের কণ্ঠস্বর শুনতে হবে, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে যে কণ্ঠস্বর উঠে আসছে এটিই সবচেয়ে সত্যবাদী কণ্ঠস্বর।” বিক্ষোভের ভিডিও ফুটেজে বিক্ষোভকারীদের “হামাসের শাসন নিপাত যাক, মুসলিম ব্রাদারহুডের শাসন নিপাত যাক” বলে চিৎকার করতে দেখা গেছে।

এদিকে, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এলাকাটি দ্রুত খালি না করলে হামলা করা হবে বলেও ‘চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি’ দিয়েছে দখলদার বাহিনী। ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র আভিখাই আদরায়ে সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, জাবালিয়া এলাকায় বসবাসকারী গাজার সব নাগরিকের জন্য এটি হামলার আগের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা। তিনি ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণের ‘পরিচিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে’ চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আভিখাই আদরায়ে এর আগেও উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুনের বাসিন্দাদের জন্য একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও গাজা উপত্যকাকে খালি করে ফিলিস্তিনিদের মিসর, জর্ডান ও অন্যান্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। যা মুসলিম, আরব বিশ্বসহ বিশ্বনেতাদের তোপের মুখে পড়ে। এরই মধ্যে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। সোমবার এক এক্স পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান।

বিবিসি বলছে, ২০০৭ সাল থেকে হামাস গাজার শাসন ক্ষমতায় রয়েছে। এর এক বছর আগে ফিলিস্তিনি নির্বাচনে হামাস জয়লাভ করে এবং তারপর নানা না ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে গাজার শাসনভার নিজের হাতে রাখে গোষ্ঠীটি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে রাস্তায় এবং অনলাইনে হামাসের প্রকাশ্য সমালোচনা বেড়েছে। যদিও এখনও এমন কিছু লোক আছেন যারা হামাসের তীব্র অনুগত এবং এই গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন কতটা সরে গেছে তা সঠিকভাবে পরিমাপ করা কঠিন। অবশ্য যুদ্ধের অনেক আগে থেকেই হামাসের বিরোধিতা ছিল, যদিও প্রতিশোধের ভয়ে বিরোধীদের বেশিরভাগই লুকিয়ে থাকতেন বলে দাবি করেছে বিবিসি।

ছবি

হংকংয়ে আগুনে নিহত বেড়ে ১২৮, উদ্ধার তৎপরতা চলছে

ছবি

ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তথ্য দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ, অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প

ছবি

আসামে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করে ‘বিতর্কিত’ বিল পাস

ছবি

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় এখনো গণহত্যা চলছে

ছবি

ট্রাম্প প্রশাসনের নজর এখন গ্রিন কার্ডধারীদের দিকে

ছবি

সৌদি আরব কেন ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ছে না

ছবি

হোয়াইট হাউজের কাছে ২ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য গুলিবিদ্ধ, হামলাকারী আফগান আটক

গিনি-বিসাউয়ের সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা নিল সেনারা, প্রেসিডেন্ট আটক

ছবি

পাকিস্তানের আদিয়ালা জেলেই আছেন ইমরান খান, সুস্থ আছেন: কর্তৃপক্ষ

ছবি

রাশিয়াবান্ধব চুক্তি হতে হবে,না হলে যুদ্ধ চালাবেন পুতিন

ছবি

অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে আবার কেন চীন–ভারত মুখোমুখি

ছবি

মামদানির ট্র্যানজিশন টিমে স্থান পেলেন ৯ বাংলাদেশি

ছবি

শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পর্যালোচনা করছে ভারত

ছবি

আফগানিস্তানের তালেবানের কাছে আর প্রত্যাশার কিছু নেই: পাকিস্তানের

ছবি

পুতিনের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে ট্রাম্পের বিশেষ দূতের বৈঠক

ছবি

বোলসোনারোকে ২৭ বছরের কারাভোগ শুরুর নির্দেশ

ছবি

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে গতি এলেও পাল্টাপাল্টি হামলা বেড়েছে

ছবি

শীতের মধ্যে গৃহহীন ফিলিস্তিনিদের নতুন দুর্ভোগ বন্যা

ছবি

চীন কি আরব আমিরাতে সামরিক ঘাঁটি বানাচ্ছে, কী বলছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

সৌদি আরবে খোলা হচ্ছে নতুন দুই মদের দোকান

ছবি

আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালালো পাকিস্তান, নিহত ১০

ছবি

কূটনৈতিক অচলাবস্থার মুখে রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক

ছবি

বিপজ্জনক অচলাবস্থায় রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া, সংঘর্ষের আশঙ্কা

ছবি

ট্রাম্পের বয়কটেও যৌথ ঘোষণাপত্র গৃহীত, চীনের নজরকাড়া উপস্থিতি

ছবি

ইসরায়েলকে উপেক্ষা করে কেন সৌদির মন পেতে চেষ্টা করছেন ট্রাম্প

ছবি

জাপানে সামরিকবাদ মতাদর্শ পুনরায় ফিরতে দেবে না চীন

ছবি

পাকিস্তানের সিন্ধু অঞ্চল একদিন ভারতের অংশ হতে পারে: রাজনাথ সিং

ছবি

ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়তে চায় জার্মানি

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় শ্রবণশক্তি হারিয়েছে গাজার ৩৫ হাজার শিশু

ছবি

আলোচনায় অগ্রগতির ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের

ছবি

ট্রাম্পকে খুশি করতে গাজায় সেনা পাঠিয়ে কী বিপদ পড়বে পাকিস্তান

ছবি

যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে জেনিভায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেইন, ইউরোপ

ছবি

গৃহবন্দী ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারে যে কারণে আটক হলেন

ছবি

ফ্রান্সে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

ছবি

ঘূর্ণিঝড় ফিনা: অস্ট্রেলিয়ার নর্দান টেরিটরিতে হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন

tab

ইসরায়েলি হামলার মধ্যেই গাজায় ব্যাপক বিক্ষোভ ফিলিস্তিনিদের

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় হামাস-বিরোধী বৃহত্তম বিক্ষোভে শত শত মানুষ অংশ নিয়েছেন -এএফপি

বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। নিরলস এই হামলায় প্রতিদিনই ঘটছে বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা। এমন অবস্থায় ভূখণ্ডটিতে বিক্ষোভ করেছেন শত শত ফিলিস্তিনি। গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার দাবিতে এই বিক্ষোভ করেছেন তারা। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় হামাস-বিরোধী বৃহত্তম বিক্ষোভে শত শত মানুষ অংশ নিয়েছেন। তারা স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠীর ভূখণ্ডের শাসন ক্ষমতা থেকে সরে আসার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন।

তবে মুখোশধারী হামাস যোদ্ধারা যাদের মধ্যে কেউ কেউ বন্দুক এবং কেউ কেউ লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন এবং জোরপূর্বক ছত্রভঙ্গ করে দেন। বিক্ষোভকারীদের হামাসবিরোধী স্লোগানও দিতে শোনা যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামাসের সমালোচনাকারী কর্মীদের ব্যাপকভাবে শেয়ার করা বেশ কিছু ভিডিওতে মঙ্গলবার উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার রাস্তায় যুবকদের মিছিল করতে দেখা গেছে। ভিডিওতে তাদেরকে “বেরিয়ে যাও, বেরিয়ে যাও, বেরিয়ে যাও, হামাস বেরিয়ে যাও” স্লোগান দিতে শোনা যায়।

তবে হামাসপন্থি সমর্থকরা ফিলিস্তিনের স্বাধীরতাকামী এই সশস্ত্র দলটিকেই সমর্থন করেছেন। তারা বিক্ষোভের তাৎপর্যকে খাটো করে দেখেছেন এবং অংশগ্রহণকারীদের বিশ্বাসঘাতক বলে অভিযোগ করেছেন। অবশ্য হামাস এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। বিবিসি বলছে, গাজার আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের বন্দুকধারীরা ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানোর একদিন পর উত্তর গাজায় এই বিক্ষোভ শুরু হয়, যার ফলে ইসরায়েল বেইত লাহিয়ার বিশাল অংশ খালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ওই এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।

প্রায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল সম্প্রতি গাজায় সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করেছে এবং নারী ও শিশুসহ শত শত ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। মূলত যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর জন্য একটি নতুন মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। অন্যদিকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত মূল চুক্তি পরিত্যাগ করার অভিযোগ এনেছে হামাস। গত ১৮ মার্চ বিমান হামলার মাধ্যমে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে শত শত ফিলিস্তিনি নিহত এবং হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

বিক্ষোভকারীদের একজন বেইত লাহিয়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ দিয়াব। যুদ্ধে তার বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং এক বছর আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিনি তার ভাইকে হারিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা কারও জন্য, যে কোনও দলের এজেন্ডা বা বিদেশি রাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য মরতে রাজি নই।” তিনি বলেন, “হামাসকে পদত্যাগ করতে হবে এবং শোকাহতদের কণ্ঠস্বর শুনতে হবে, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে যে কণ্ঠস্বর উঠে আসছে এটিই সবচেয়ে সত্যবাদী কণ্ঠস্বর।” বিক্ষোভের ভিডিও ফুটেজে বিক্ষোভকারীদের “হামাসের শাসন নিপাত যাক, মুসলিম ব্রাদারহুডের শাসন নিপাত যাক” বলে চিৎকার করতে দেখা গেছে।

এদিকে, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এলাকাটি দ্রুত খালি না করলে হামলা করা হবে বলেও ‘চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি’ দিয়েছে দখলদার বাহিনী। ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র আভিখাই আদরায়ে সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, জাবালিয়া এলাকায় বসবাসকারী গাজার সব নাগরিকের জন্য এটি হামলার আগের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা। তিনি ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণের ‘পরিচিত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে’ চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আভিখাই আদরায়ে এর আগেও উত্তর গাজার বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুনের বাসিন্দাদের জন্য একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও গাজা উপত্যকাকে খালি করে ফিলিস্তিনিদের মিসর, জর্ডান ও অন্যান্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার একটা পরিকল্পনা তুলে ধরেন। যা মুসলিম, আরব বিশ্বসহ বিশ্বনেতাদের তোপের মুখে পড়ে। এরই মধ্যে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন মার্কিন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। সোমবার এক এক্স পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান।

বিবিসি বলছে, ২০০৭ সাল থেকে হামাস গাজার শাসন ক্ষমতায় রয়েছে। এর এক বছর আগে ফিলিস্তিনি নির্বাচনে হামাস জয়লাভ করে এবং তারপর নানা না ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে গাজার শাসনভার নিজের হাতে রাখে গোষ্ঠীটি। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে রাস্তায় এবং অনলাইনে হামাসের প্রকাশ্য সমালোচনা বেড়েছে। যদিও এখনও এমন কিছু লোক আছেন যারা হামাসের তীব্র অনুগত এবং এই গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন কতটা সরে গেছে তা সঠিকভাবে পরিমাপ করা কঠিন। অবশ্য যুদ্ধের অনেক আগে থেকেই হামাসের বিরোধিতা ছিল, যদিও প্রতিশোধের ভয়ে বিরোধীদের বেশিরভাগই লুকিয়ে থাকতেন বলে দাবি করেছে বিবিসি।

back to top