ইলন মাস্ক-কেন ফিশার-বিল আকম্যান-স্ট্যানলি ড্রাকেনমিলার
এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সব শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সমর্থন পেয়ে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, অভূতপূর্ব শুল্ক আরোপের ঘটনার পর, বিশেষ করে তার প্রভাবে শেয়ারবাজারের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অনেককেই এখন সমালোচনা করতে দেখা যাচ্ছে।
এদের একজন বিল আকম্যান, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতাকে সমর্থন দেয়া শতকোটি ডলারের অধিকারী এই বিনিয়োগকারী বলছেন, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারমাণবিক যুদ্ধের শামিল।
গত বুধবারও ট্রাম্প বলেছেন, যে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি বেশি, তাদের ওপর আরও বেশি পাল্টা শুল্ক বসাবেন তিনি।
এক্সে আকম্যান লিখেছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বিনিয়োগ থমকে যাবে, ভোক্তাদের ব্যয় বন্ধ হয়ে যাবে।
তার ওপর, এর ফলে বাকি বিশ্বে আমাদের সুনাম মারাত্মক ক্ষতি হবে, যা কাটিয়ে উঠতে আমাদের বহু বছর ও দশকও লাগতে পারে।
আকম্যানের পোস্টটি এখন পর্যন্ত ১ কোটির বেশি মানুষ দেখেছে।
পোস্টে আকম্যান আরও লিখেছেন, আমরা এখন স্বেচ্ছাকৃত অর্থনৈতিক মন্দার দিকে হাঁটছি এবং ভবিষ্যতে কীভাবে আমরা রক্ষা পাবো, তা নিয়ে এখনই আমাদের ভাবা উচিত।
তার সংশয়, ‘সেই অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে কারাইবা আমাদের এখানে বিনিয়োগ করতে আসবে?’
উপসংহারে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সারা বিশ্বের ব্যবসায়ীদের আস্থা হারাচ্ছেন।
ট্রাম্প তার দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে অন্য দেশের জন্য ভিত্তি শুল্ক আরোপ করেছেন ১০ শতাংশ করে। তা কার্যকর হচ্ছে গত শনিবার থেকে। অনেক দেশের ওপর তিনি আরও উচ্চহারের শুল্ক বসিয়েছেন, যাদের মধ্যে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো দীর্ঘদিনের বাণিজ্যসঙ্গী রয়েছে। চীনের ওপর তিনি কর বসিয়েছেন ৩৪ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ২০ শতাংশ। এগুলো কার্যকর হবে আগামীকাল, অর্থাৎ বুধবার থেকে।
গত কয়েকদিনে এ রকম আরও যেসব ব্যবসায়ী ও ধনকুবের ট্রাম্পের সমালোচনায় যুক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন জেপি মরগ্যানের প্রধান নির্বাহী জেমি ডিমন। সোমবার তিনি লিখেছেন, শুল্ক বৃদ্ধি বিশ্বে মূল্যস্ফীতি, মন্দা, এবং বিশ্বব্যাপী আমেরিকার অবস্থান দুর্বল করে দেয়ার হুমকি তৈরি করেছে।
তিনি তার প্রতিষ্ঠানের অংশীদারদের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে বলেছেন, সম্প্রতি আরোপিত শুল্ক মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে, যার ফলে অনেকেই এখন মন্দার আশঙ্কা করছেন।
তিনি আরও বলেন, এর ফলে মন্দা হোক বা না হোক, অর্থনীতির গতি যে কমে আসবে, তা বলাই যায়।
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডুকেইনের প্রতিষ্ঠাতা আরেক বিলিয়নিয়ার স্ট্যানলি ড্রাকেনমিলার লিখেছেন, তিনি ১০ শতাংশের ওপরে শুল্ক সমর্থন করেন না।
আরেকজন, বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ফিশারের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান কেন ফিশার বলেন, গত বুধবার ট্রাম্প শুল্ক চড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে দেখতে গেলে তা অপদার্থতা, ভুল, গোয়ার্তুমি, চরম ধরনের মূর্খতা। এর মাধ্যমে যেটি কোনো সমস্যা নয়, সেটিকে সমস্যা বানানো হলো।
তিনি আরও বলেন, আমি পুরোপুরি সঠিক হব কিনা জানি না, তবে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ দুর্বল ও অকার্যকর হয়ে পড়বে।
ফিশার বলেন, আমি সাধারণত প্রেসিডেন্টের কাজকর্ম নিয়ে কিছু বলি না, কিন্তু শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প যা করছে তা এতটাই অগ্রহণযোগ্য যে তা নিয়ে কিছু না বলে পারা গেল না।
এমনকি এই তালিকায় ইলন মাস্কও ঢুকে গেছেন। বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এই মুহূর্তে। তিনি রোববার ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ভিডিও বৈঠকে বলেছেন, তিনি আসলে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে শূন্য শুল্কের নীতি প্রত্যাশা করেছিলেন।
এমনকি এই তালিকায় ইলন মাস্কও ঢুকে গেছেন। বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী, ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মানুষ এই মুহূর্তে। গত রোববার ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ভিডিও বৈঠকে তিনি বলেন, আসলে আমি উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে শূন্য শুল্কের নীতি প্রত্যাশা করেছিলাম।
ইলন মাস্ক-কেন ফিশার-বিল আকম্যান-স্ট্যানলি ড্রাকেনমিলার
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সব শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সমর্থন পেয়ে আসছিলেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, অভূতপূর্ব শুল্ক আরোপের ঘটনার পর, বিশেষ করে তার প্রভাবে শেয়ারবাজারের পতনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অনেককেই এখন সমালোচনা করতে দেখা যাচ্ছে।
এদের একজন বিল আকম্যান, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতাকে সমর্থন দেয়া শতকোটি ডলারের অধিকারী এই বিনিয়োগকারী বলছেন, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারমাণবিক যুদ্ধের শামিল।
গত বুধবারও ট্রাম্প বলেছেন, যে দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি বেশি, তাদের ওপর আরও বেশি পাল্টা শুল্ক বসাবেন তিনি।
এক্সে আকম্যান লিখেছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বিনিয়োগ থমকে যাবে, ভোক্তাদের ব্যয় বন্ধ হয়ে যাবে।
তার ওপর, এর ফলে বাকি বিশ্বে আমাদের সুনাম মারাত্মক ক্ষতি হবে, যা কাটিয়ে উঠতে আমাদের বহু বছর ও দশকও লাগতে পারে।
আকম্যানের পোস্টটি এখন পর্যন্ত ১ কোটির বেশি মানুষ দেখেছে।
পোস্টে আকম্যান আরও লিখেছেন, আমরা এখন স্বেচ্ছাকৃত অর্থনৈতিক মন্দার দিকে হাঁটছি এবং ভবিষ্যতে কীভাবে আমরা রক্ষা পাবো, তা নিয়ে এখনই আমাদের ভাবা উচিত।
তার সংশয়, ‘সেই অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে কারাইবা আমাদের এখানে বিনিয়োগ করতে আসবে?’
উপসংহারে তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সারা বিশ্বের ব্যবসায়ীদের আস্থা হারাচ্ছেন।
ট্রাম্প তার দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে অন্য দেশের জন্য ভিত্তি শুল্ক আরোপ করেছেন ১০ শতাংশ করে। তা কার্যকর হচ্ছে গত শনিবার থেকে। অনেক দেশের ওপর তিনি আরও উচ্চহারের শুল্ক বসিয়েছেন, যাদের মধ্যে চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো দীর্ঘদিনের বাণিজ্যসঙ্গী রয়েছে। চীনের ওপর তিনি কর বসিয়েছেন ৩৪ শতাংশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ২০ শতাংশ। এগুলো কার্যকর হবে আগামীকাল, অর্থাৎ বুধবার থেকে।
গত কয়েকদিনে এ রকম আরও যেসব ব্যবসায়ী ও ধনকুবের ট্রাম্পের সমালোচনায় যুক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন জেপি মরগ্যানের প্রধান নির্বাহী জেমি ডিমন। সোমবার তিনি লিখেছেন, শুল্ক বৃদ্ধি বিশ্বে মূল্যস্ফীতি, মন্দা, এবং বিশ্বব্যাপী আমেরিকার অবস্থান দুর্বল করে দেয়ার হুমকি তৈরি করেছে।
তিনি তার প্রতিষ্ঠানের অংশীদারদের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিতে বলেছেন, সম্প্রতি আরোপিত শুল্ক মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে, যার ফলে অনেকেই এখন মন্দার আশঙ্কা করছেন।
তিনি আরও বলেন, এর ফলে মন্দা হোক বা না হোক, অর্থনীতির গতি যে কমে আসবে, তা বলাই যায়।
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডুকেইনের প্রতিষ্ঠাতা আরেক বিলিয়নিয়ার স্ট্যানলি ড্রাকেনমিলার লিখেছেন, তিনি ১০ শতাংশের ওপরে শুল্ক সমর্থন করেন না।
আরেকজন, বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ফিশারের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান কেন ফিশার বলেন, গত বুধবার ট্রাম্প শুল্ক চড়ানোর যে ঘোষণা দিয়েছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে দেখতে গেলে তা অপদার্থতা, ভুল, গোয়ার্তুমি, চরম ধরনের মূর্খতা। এর মাধ্যমে যেটি কোনো সমস্যা নয়, সেটিকে সমস্যা বানানো হলো।
তিনি আরও বলেন, আমি পুরোপুরি সঠিক হব কিনা জানি না, তবে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ দুর্বল ও অকার্যকর হয়ে পড়বে।
ফিশার বলেন, আমি সাধারণত প্রেসিডেন্টের কাজকর্ম নিয়ে কিছু বলি না, কিন্তু শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প যা করছে তা এতটাই অগ্রহণযোগ্য যে তা নিয়ে কিছু না বলে পারা গেল না।
এমনকি এই তালিকায় ইলন মাস্কও ঢুকে গেছেন। বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এই মুহূর্তে। তিনি রোববার ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ভিডিও বৈঠকে বলেছেন, তিনি আসলে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে শূন্য শুল্কের নীতি প্রত্যাশা করেছিলেন।
এমনকি এই তালিকায় ইলন মাস্কও ঢুকে গেছেন। বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী, ট্রাম্পের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মানুষ এই মুহূর্তে। গত রোববার ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি ভিডিও বৈঠকে তিনি বলেন, আসলে আমি উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে শূন্য শুল্কের নীতি প্রত্যাশা করেছিলাম।