alt

সম্পাদকীয়

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

: রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের জঙ্গল পাইরাংয়ের দমদমার পাহাড়ে গত বুধবার একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা প্রথমে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হলেও, এখন তা একটি নৃশংস হত্যাকা- হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বন বিভাগের প্রাথমিক দাবি ছিল, হাতিটি বয়সজনিত কারণে মারা গেছে। কিন্তু ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে ভয়াবহ সত্যÑহাতিটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে, এবং এর দাঁত ও পায়ের নখ কেটে নেয়া হয়েছে।

গত ১০ বছরে বাঁশখালীতে অন্তত ১৬টি হাতির মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে। খাদ্যে বিষক্রিয়া, বৈদ্যুতিক ফাঁদ, পাহাড় থেকে পড়ে যাওয়া, রোগাক্রান্ত হওয়াÑ নানা কারণে এই মৃত্যুগুলো ঘটেছে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাটি সংঘবদ্ধ পাচারকারীদের দ্বারা পরিকল্পিত হত্যাকা- হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, হাতিটির বয়স ছিল মাত্র ছয়-সাত বছর, অথচ প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল ৬০-৭০ বছর। এই ভুল তথ্য প্রকাশ ও পরবর্তী সমালোচনা বন বিভাগের দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

বাঁশখালীর কালীপুর ও জলদি রেঞ্জের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল একসময় বন্য হাতির নিরাপদ আবাসস্থল ছিল। কিন্তু বন ধ্বংস, অবৈধ দখল, এবং মানুষের বসতি বৃদ্ধির কারণে হাতিরা তাদের প্রাকৃতিক আবাস হারাচ্ছে। ফলে, তারা মানুষের বসতির কাছাকাছি চলে আসছে, যা মানুষ-হাতির সংঘাত বাড়াচ্ছে। এই সংঘাতের ফলশ্রুতিতে হাতিরা প্রাণ হারাচ্ছেÑ কখনো দুর্ঘটনায়, কখনো পরিকল্পিতভাবে।

বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের এবং দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫-১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে, শুধু মামলা দায়েরই যথেষ্ট নয়। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, বন বিভাগের অভ্যন্তরীণ ত্রুটিগুলোÑ যেমন ভুল তথ্য প্রকাশ বা ঘটনার গুরুত্ব বোঝার ব্যর্থতাÑ সংশোধন করা প্রয়োজন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার ও পাচার প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

বালু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা জরুরি

হিমাগার সংকট : কৃষকের দুর্ভোগ আর কতদিন?

স্বাধীনতা দিবস : একাত্তরের স্বপ্ন পুনর্জাগরণের প্রত্যয়

আজ সেই কালরাত্রি

হাওরের বুকে সড়ক : উন্নয়ন না ধ্বংস?

সুন্দরবনে আবার অগ্নিকাণ্ড

চাল-সয়াবিনের দামে অস্থিরতা, সবজিতে স্বস্তি

সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে

কড়াই বিলের গাছ কাটা প্রকৃতির প্রতি অবহেলা

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাস্তবতা ও সম্ভাবনার দ্বন্দ্ব

অস্থির চালের বাজারে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা

রমজানের নামে নিগ্রহ : কারা এই ‘নৈতিকতার ঠিকাদার’?

সেতু নির্মাণে গাফিলতি : জনদুর্ভোগের শেষ কোথায়?

ধর্ষণ, মব ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা : শুধু যেন কথার কথা না হয়

tab

সম্পাদকীয়

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

রোববার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নের জঙ্গল পাইরাংয়ের দমদমার পাহাড়ে গত বুধবার একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা প্রথমে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হলেও, এখন তা একটি নৃশংস হত্যাকা- হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। বন বিভাগের প্রাথমিক দাবি ছিল, হাতিটি বয়সজনিত কারণে মারা গেছে। কিন্তু ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে ভয়াবহ সত্যÑহাতিটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে, এবং এর দাঁত ও পায়ের নখ কেটে নেয়া হয়েছে।

গত ১০ বছরে বাঁশখালীতে অন্তত ১৬টি হাতির মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে। খাদ্যে বিষক্রিয়া, বৈদ্যুতিক ফাঁদ, পাহাড় থেকে পড়ে যাওয়া, রোগাক্রান্ত হওয়াÑ নানা কারণে এই মৃত্যুগুলো ঘটেছে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাটি সংঘবদ্ধ পাচারকারীদের দ্বারা পরিকল্পিত হত্যাকা- হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, হাতিটির বয়স ছিল মাত্র ছয়-সাত বছর, অথচ প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল ৬০-৭০ বছর। এই ভুল তথ্য প্রকাশ ও পরবর্তী সমালোচনা বন বিভাগের দায়িত্বশীলতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

বাঁশখালীর কালীপুর ও জলদি রেঞ্জের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল একসময় বন্য হাতির নিরাপদ আবাসস্থল ছিল। কিন্তু বন ধ্বংস, অবৈধ দখল, এবং মানুষের বসতি বৃদ্ধির কারণে হাতিরা তাদের প্রাকৃতিক আবাস হারাচ্ছে। ফলে, তারা মানুষের বসতির কাছাকাছি চলে আসছে, যা মানুষ-হাতির সংঘাত বাড়াচ্ছে। এই সংঘাতের ফলশ্রুতিতে হাতিরা প্রাণ হারাচ্ছেÑ কখনো দুর্ঘটনায়, কখনো পরিকল্পিতভাবে।

বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের এবং দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫-১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে, শুধু মামলা দায়েরই যথেষ্ট নয়। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি, বন বিভাগের অভ্যন্তরীণ ত্রুটিগুলোÑ যেমন ভুল তথ্য প্রকাশ বা ঘটনার গুরুত্ব বোঝার ব্যর্থতাÑ সংশোধন করা প্রয়োজন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে স্থানীয় জনগণের সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি বনাঞ্চল পুনরুদ্ধার ও পাচার প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

back to top