চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে এবং পানামা খালের উপর নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ মঙ্গলবার পানামা সফর করেন এবং পানামা সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকের পর তিনি ঘোষণা দেন, “চীনকে এই খাল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।”
এটি কয়েক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রথম পানামা সফর। সফরে হেগসেথ বলেন, “পানামা খাল চীন তৈরি করেনি, পরিচালনাও করে না। আমরা একসঙ্গে চীনের প্রভাব থেকে খালটিকে মুক্ত করব এবং এটি সব দেশের জন্য নিরাপদ ও সহজলভ্য রাখব।”
বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই জলপথ দিয়ে বছরে প্রায় ২৭০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য পরিবহন করে যুক্তরাষ্ট্র। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। খালের দৈনিক চলাচল করা জাহাজের দুই-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রের।
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পরই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পানামা খাল নিয়ে সরব হন। তিনি অভিযোগ তোলেন, খাল দিয়ে চলাচলকারী মার্কিন জাহাজ থেকে অন্যায়ভাবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে এবং চীন খালে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ পানামার হাতে তুলে দিলেও ট্রাম্প বরাবরই সেই সিদ্ধান্তকে ‘খারাপ চুক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি খাল পুনরুদ্ধারের হুঁশিয়ারিও দেন। এমনকি সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও নাকচ করেননি।
পানামা সফরে হেগসেথ কূটনৈতিক ভাষায় চীনা প্রভাব মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরলেও তার বার্তায় কৌশলগত দৃঢ়তা স্পষ্ট ছিল। তিনি পানামার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেন এবং ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারে খাল পরিদর্শন করেন।
পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোর সঙ্গে বৈঠকে খালের নিরাপত্তা, চীনের প্রভাব ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পানামার সম্পর্ক সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ হয়েছে। পানামা গত ফেব্রুয়ারিতে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আগত অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতে এশিয়ায় কোনো সামরিক সংঘাত হলে পানামা খাল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। খালের উপর চীনের যে কোনো ধরনের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর গতিশীলতা এবং সরবরাহ চেইনে হুমকি হতে পারে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ বলেন, “বাস্তবেই হোক বা ধারণাগতভাবে, চীন এই খালের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। কিন্তু সেটা আমাদের চোখের সামনে ঘটতে দেওয়া হবে না।”
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে এবং পানামা খালের উপর নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ মঙ্গলবার পানামা সফর করেন এবং পানামা সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকের পর তিনি ঘোষণা দেন, “চীনকে এই খাল অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।”
এটি কয়েক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রথম পানামা সফর। সফরে হেগসেথ বলেন, “পানামা খাল চীন তৈরি করেনি, পরিচালনাও করে না। আমরা একসঙ্গে চীনের প্রভাব থেকে খালটিকে মুক্ত করব এবং এটি সব দেশের জন্য নিরাপদ ও সহজলভ্য রাখব।”
বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত এই জলপথ দিয়ে বছরে প্রায় ২৭০ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য পরিবহন করে যুক্তরাষ্ট্র। এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রুট। খালের দৈনিক চলাচল করা জাহাজের দুই-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রের।
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পরই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পানামা খাল নিয়ে সরব হন। তিনি অভিযোগ তোলেন, খাল দিয়ে চলাচলকারী মার্কিন জাহাজ থেকে অন্যায়ভাবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে এবং চীন খালে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।
১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ পানামার হাতে তুলে দিলেও ট্রাম্প বরাবরই সেই সিদ্ধান্তকে ‘খারাপ চুক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি খাল পুনরুদ্ধারের হুঁশিয়ারিও দেন। এমনকি সামরিক হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাও নাকচ করেননি।
পানামা সফরে হেগসেথ কূটনৈতিক ভাষায় চীনা প্রভাব মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরলেও তার বার্তায় কৌশলগত দৃঢ়তা স্পষ্ট ছিল। তিনি পানামার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নেন এবং ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারে খাল পরিদর্শন করেন।
পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোর সঙ্গে বৈঠকে খালের নিরাপত্তা, চীনের প্রভাব ও আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পানামার সম্পর্ক সম্প্রতি ঘনিষ্ঠ হয়েছে। পানামা গত ফেব্রুয়ারিতে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় এবং দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আগত অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভবিষ্যতে এশিয়ায় কোনো সামরিক সংঘাত হলে পানামা খাল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। খালের উপর চীনের যে কোনো ধরনের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর গতিশীলতা এবং সরবরাহ চেইনে হুমকি হতে পারে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ বলেন, “বাস্তবেই হোক বা ধারণাগতভাবে, চীন এই খালের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। কিন্তু সেটা আমাদের চোখের সামনে ঘটতে দেওয়া হবে না।”