দিল্লি সরকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ করার যে পরিকল্পনা করছে, তা শহরের গ্যাস ব্যবসায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকেই মনে করছেন, দিল্লির এই সিদ্ধান্ত অন্য রাজ্যগুলোকেও একই পথে যেতে উৎসাহিত করতে পারে। এতে পুরো দেশের গ্যাস নেটওয়ার্কে করা বড় বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। নতুন ইলেকট্রিক যানবাহন নীতির খসড়ায় বলা হয়েছে, আগামী ১৫ আগস্ট থেকে দিল্লিতে নতুন কোনো সিএনজি অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না।
একই সঙ্গে, যেসব সিএনজি অটোর বয়স ১০ বছর হয়ে গেছে, সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন আর নবায়ন করা হবে না যদি না সেগুলো ব্যাটারিচালিত অটোতে রূপান্তর করা হয়। শহরে এখন প্রায় ৯০ হাজার অটো চলছে। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বয়স ১০ বছর বা তার কাছাকাছি। ফলে এগুলোর রেজিস্ট্রেশন বন্ধ হলে গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
একটি পরিবহন কম্পানির কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন ব্যাটারিচালিত অটো কিনতে অনেক টাকা লাগে। পুরনো অটো রূপান্তরের জন্য এখনো ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই। চার্জিংয়ের জায়গাও অনেক কম।’ শহরে গ্যাস ব্যবসার একটি বড় অংশ আসে সিএনজি বিক্রি থেকে, যা মূলত অটোরিকশাগুলোর মাধ্যমে হয়। বাকি অংশ যায় পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি, হোটেল বা কারখানায়।
আরো এক গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকার আগে বলেছিল প্রাকৃতিক গ্যাস হবে এক ধরনের ‘পরিবর্তনকালীন জ্বালানি’। তাই কোম্পানিগুলো শহর গ্যাস লাইসেন্স নিতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে।’ সরকার এখন পর্যন্ত ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭৩৩টি জেলায় শহর গ্যাস নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে। মোট ৩০৭টি এলাকার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা আরও একটি বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। সরকার এখন ১৯৫টি কমপ্রেসড বায়োগ্যাস প্লান্ট বানাচ্ছে, যেখানে ২.৫ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বেসরকারি কোম্পানিগুলো এগিয়ে না আসায় এই কাজ রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলোকেই করতে হচ্ছে। একজন গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাকৃতিক গ্যাসকে ডিজেল বা পেট্রোলের সঙ্গে এক করে দেখা ঠিক না। কারণ ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জিংয়ের জন্য যে বিদ্যুৎ লাগে, তার ৭০ শতাংশই আসে কয়লা থেকে। তাই হঠাৎ করে পরিবর্তন না এনে ধীরে ধীরে এগোতে হবে।
সরকার চাইলে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এই পরিবর্তন দ্রুততর করতে পারে।’
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
দিল্লি সরকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিষিদ্ধ করার যে পরিকল্পনা করছে, তা শহরের গ্যাস ব্যবসায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। অনেকেই মনে করছেন, দিল্লির এই সিদ্ধান্ত অন্য রাজ্যগুলোকেও একই পথে যেতে উৎসাহিত করতে পারে। এতে পুরো দেশের গ্যাস নেটওয়ার্কে করা বড় বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়বে। নতুন ইলেকট্রিক যানবাহন নীতির খসড়ায় বলা হয়েছে, আগামী ১৫ আগস্ট থেকে দিল্লিতে নতুন কোনো সিএনজি অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না।
একই সঙ্গে, যেসব সিএনজি অটোর বয়স ১০ বছর হয়ে গেছে, সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন আর নবায়ন করা হবে না যদি না সেগুলো ব্যাটারিচালিত অটোতে রূপান্তর করা হয়। শহরে এখন প্রায় ৯০ হাজার অটো চলছে। এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বয়স ১০ বছর বা তার কাছাকাছি। ফলে এগুলোর রেজিস্ট্রেশন বন্ধ হলে গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।
একটি পরিবহন কম্পানির কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন ব্যাটারিচালিত অটো কিনতে অনেক টাকা লাগে। পুরনো অটো রূপান্তরের জন্য এখনো ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই। চার্জিংয়ের জায়গাও অনেক কম।’ শহরে গ্যাস ব্যবসার একটি বড় অংশ আসে সিএনজি বিক্রি থেকে, যা মূলত অটোরিকশাগুলোর মাধ্যমে হয়। বাকি অংশ যায় পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি, হোটেল বা কারখানায়।
আরো এক গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকার আগে বলেছিল প্রাকৃতিক গ্যাস হবে এক ধরনের ‘পরিবর্তনকালীন জ্বালানি’। তাই কোম্পানিগুলো শহর গ্যাস লাইসেন্স নিতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে।’ সরকার এখন পর্যন্ত ৩৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭৩৩টি জেলায় শহর গ্যাস নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে। মোট ৩০৭টি এলাকার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞা আরও একটি বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। সরকার এখন ১৯৫টি কমপ্রেসড বায়োগ্যাস প্লান্ট বানাচ্ছে, যেখানে ২.৫ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বেসরকারি কোম্পানিগুলো এগিয়ে না আসায় এই কাজ রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলোকেই করতে হচ্ছে। একজন গ্যাস কোম্পানির কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাকৃতিক গ্যাসকে ডিজেল বা পেট্রোলের সঙ্গে এক করে দেখা ঠিক না। কারণ ইলেকট্রিক গাড়ির চার্জিংয়ের জন্য যে বিদ্যুৎ লাগে, তার ৭০ শতাংশই আসে কয়লা থেকে। তাই হঠাৎ করে পরিবর্তন না এনে ধীরে ধীরে এগোতে হবে।
সরকার চাইলে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এই পরিবর্তন দ্রুততর করতে পারে।’