যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মেয়াদ শেষে দায়িত্ব ছাড়ার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বক্তৃতা দিয়েছেন। শিকাগোতে দেওয়া এ বক্তৃতায় তিনি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কল্যাণ নীতির কঠোর সমালোচনা করেন।
বক্তৃতায় বাইডেন বলেন, বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ‘কুড়াল চালিয়েছে’। যদিও তিনি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করেননি, তবে বলেন, “একশরও কম দিনের মধ্যে নতুন প্রশাসন এত ক্ষতি, এত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো।”
সামাজিক নিরাপত্তাকে ‘পবিত্র অঙ্গীকার’ আখ্যা দিয়ে বাইডেন বলেন, “সাধারণের জীবনে এই সামাজিক নিরাপত্তা যে কতখানি গুরুত্ব বহন করে তা আমরা জানি।”
অন্যদিকে, ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে জালিয়াতিপূর্ণ উল্লেখ করে এ খাত সংস্কার এবং সরকারের ব্যয় কমানোর কথা বলেছেন। ফেডারেল সরকারের ব্যয় হ্রাসে ট্রাম্পের গঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) নেতৃত্বে রয়েছেন মাস্ক।
বিবিসির বরাতে জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বছরে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া সংস্থার কর্মীসংখ্যা কমাতে চায়। ফেব্রুয়ারি থেকেই এসএসএ-তে ছাঁটাই শুরু হয়েছে, লক্ষ্য ৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা।
মাস্ক সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে ‘সর্বকালের সবচেয়ে বড় জালিয়াতি’ বলে মন্তব্য করেছেন। একইভাবে ট্রাম্পও অভিযোগ করেছেন যে, এ খাতের অর্থ অবৈধ অভিবাসীরাও পাচ্ছে। তবে তিনি বলেছেন, উপকারভোগীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমাবেন না।
মঙ্গলবার অবৈধ অভিবাসী ও ‘অন্যান্য অযোগ্য ব্যক্তিদের’ সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পাওয়া বন্ধে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প।
বাইডেনের বক্তৃতার আগে ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, “আইন মেনে চলা, করদাতা মার্কিন নাগরিক ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সুবিধা সুরক্ষায় প্রেসিডেন্ট নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তিনি সবসময় এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।”
পরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থা (এসএসএ) বাইডেনের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ বলে আখ্যায়িত করে। বর্তমানে এসএসএ পরিচালনায় রয়েছেন ট্রাম্পের মনোনীত এক কর্মকর্তা।
প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পর বাইডেন এতদিন নীরব থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে তিনি লস এঞ্জেলেসভিত্তিক ট্যালেন্ট সংস্থা ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট এজেন্সির (সিএএ) সঙ্গে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সংস্থাটি তার প্রতিনিধিত্ব করেছিল।
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মেয়াদ শেষে দায়িত্ব ছাড়ার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বক্তৃতা দিয়েছেন। শিকাগোতে দেওয়া এ বক্তৃতায় তিনি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কল্যাণ নীতির কঠোর সমালোচনা করেন।
বক্তৃতায় বাইডেন বলেন, বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ‘কুড়াল চালিয়েছে’। যদিও তিনি ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করেননি, তবে বলেন, “একশরও কম দিনের মধ্যে নতুন প্রশাসন এত ক্ষতি, এত ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো।”
সামাজিক নিরাপত্তাকে ‘পবিত্র অঙ্গীকার’ আখ্যা দিয়ে বাইডেন বলেন, “সাধারণের জীবনে এই সামাজিক নিরাপত্তা যে কতখানি গুরুত্ব বহন করে তা আমরা জানি।”
অন্যদিকে, ট্রাম্প ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে জালিয়াতিপূর্ণ উল্লেখ করে এ খাত সংস্কার এবং সরকারের ব্যয় কমানোর কথা বলেছেন। ফেডারেল সরকারের ব্যয় হ্রাসে ট্রাম্পের গঠিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) নেতৃত্বে রয়েছেন মাস্ক।
বিবিসির বরাতে জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বছরে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া সংস্থার কর্মীসংখ্যা কমাতে চায়। ফেব্রুয়ারি থেকেই এসএসএ-তে ছাঁটাই শুরু হয়েছে, লক্ষ্য ৭ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা।
মাস্ক সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে ‘সর্বকালের সবচেয়ে বড় জালিয়াতি’ বলে মন্তব্য করেছেন। একইভাবে ট্রাম্পও অভিযোগ করেছেন যে, এ খাতের অর্থ অবৈধ অভিবাসীরাও পাচ্ছে। তবে তিনি বলেছেন, উপকারভোগীদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমাবেন না।
মঙ্গলবার অবৈধ অভিবাসী ও ‘অন্যান্য অযোগ্য ব্যক্তিদের’ সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পাওয়া বন্ধে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প।
বাইডেনের বক্তৃতার আগে ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট বলেন, “আইন মেনে চলা, করদাতা মার্কিন নাগরিক ও বয়োজ্যেষ্ঠদের সুবিধা সুরক্ষায় প্রেসিডেন্ট নিশ্চয়তা দিয়েছেন। তিনি সবসময় এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।”
পরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থা (এসএসএ) বাইডেনের বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ বলে আখ্যায়িত করে। বর্তমানে এসএসএ পরিচালনায় রয়েছেন ট্রাম্পের মনোনীত এক কর্মকর্তা।
প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পর বাইডেন এতদিন নীরব থাকলেও ফেব্রুয়ারিতে তিনি লস এঞ্জেলেসভিত্তিক ট্যালেন্ট সংস্থা ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট এজেন্সির (সিএএ) সঙ্গে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সংস্থাটি তার প্রতিনিধিত্ব করেছিল।