মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন একটি বাজেট প্রস্তাব বিবেচনা করছে, যার অধীনে ‘জাতিসংঘ এবং নেটোর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য প্রায় সমস্ত তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হবে’। কর্মকর্তা এবং একটি অভ্যন্তরীণ নথির উদ্ধৃতি দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, এই উদ্যোগটি এমন একটি পরিকল্পনার অংশ, যার মাধ্যমে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বাজেট প্রায় ৫০% কমানো হবে।
এতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, পররাষ্ট্র দপ্তরের সব শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় হ্রাস এবং মানবিক সহায়তা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্মসূচির তহবিল ৫০% এরও বেশি বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই পরিকল্পনার সঙ্গে একমত কি না, তা স্পষ্ট নয়। সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রস্তাবটি নিশ্চিত করা হয়েছে, তবে অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসে জমা দেওয়ার আগে এটিকে একাধিক দফা পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
তবে একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বাজেট রূপরেখাকে ব্যয়-কমানোর লক্ষ্যে ‘আক্রমণাত্মক’ বলে অভিহিত করেছেন বলে জানা গেছে। নেটোর তহবিল হ্রাসের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক ব্লকের প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন নেটোকে ‘যুদ্ধ চালানোর হাতিয়ার’ হিসেবে দেখে না, বরং একটি ‘প্রতিরোধক’ হিসেবে দেখে।
তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই, দেশগুলো আসলে নেটোর লক্ষ্য পূরণ করতে পারে, যা একটি প্রতিরোধক। এটি যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য বা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করার জন্য নয়। নেটো এমন কিছু সত্তার সমষ্টি হওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল, যারা খারাপ কাজ করা থেকে বিরত রাখবে। ট্রাম্প প্রশাসন বারবার নেটো সদস্য দেশগুলোকে জোটের জন্য প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর জন্য চাপ দিয়েছে। যুক্তি দিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ‘এই বোঝার একটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ অংশ বহন করছে’।
গত সোমবার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্থায়ী নিরাপত্তার আওতাভুক্ত’ থাকতে পারে না। তিনি যুক্তি দেন, বর্তমান পরিস্থিতি আমেরিকা বা ইউরোপীয় দেশগুলোর কোনোটিরই উপকারে আসবে না।
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন একটি বাজেট প্রস্তাব বিবেচনা করছে, যার অধীনে ‘জাতিসংঘ এবং নেটোর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য প্রায় সমস্ত তহবিল বন্ধ করে দেওয়া হবে’। কর্মকর্তা এবং একটি অভ্যন্তরীণ নথির উদ্ধৃতি দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, এই উদ্যোগটি এমন একটি পরিকল্পনার অংশ, যার মাধ্যমে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বাজেট প্রায় ৫০% কমানো হবে।
এতে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, পররাষ্ট্র দপ্তরের সব শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় হ্রাস এবং মানবিক সহায়তা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্মসূচির তহবিল ৫০% এরও বেশি বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই পরিকল্পনার সঙ্গে একমত কি না, তা স্পষ্ট নয়। সূত্রগুলো জানিয়েছে, প্রস্তাবটি নিশ্চিত করা হয়েছে, তবে অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসে জমা দেওয়ার আগে এটিকে একাধিক দফা পর্যালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
তবে একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা বাজেট রূপরেখাকে ব্যয়-কমানোর লক্ষ্যে ‘আক্রমণাত্মক’ বলে অভিহিত করেছেন বলে জানা গেছে। নেটোর তহবিল হ্রাসের পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক ব্লকের প্রতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন নেটোকে ‘যুদ্ধ চালানোর হাতিয়ার’ হিসেবে দেখে না, বরং একটি ‘প্রতিরোধক’ হিসেবে দেখে।
তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত করতে চাই, দেশগুলো আসলে নেটোর লক্ষ্য পূরণ করতে পারে, যা একটি প্রতিরোধক। এটি যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য বা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করার জন্য নয়। নেটো এমন কিছু সত্তার সমষ্টি হওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল, যারা খারাপ কাজ করা থেকে বিরত রাখবে। ট্রাম্প প্রশাসন বারবার নেটো সদস্য দেশগুলোকে জোটের জন্য প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর জন্য চাপ দিয়েছে। যুক্তি দিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ‘এই বোঝার একটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ অংশ বহন করছে’।
গত সোমবার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, ইউরোপ যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্থায়ী নিরাপত্তার আওতাভুক্ত’ থাকতে পারে না। তিনি যুক্তি দেন, বর্তমান পরিস্থিতি আমেরিকা বা ইউরোপীয় দেশগুলোর কোনোটিরই উপকারে আসবে না।