মায়ানমারের মান্দালয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে দেশটির উদ্ধারকর্মীরা -এএফপি
গত মাসে মায়ানমারে হয়ে যাওয়া ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প দেশটির জন্য ছিল এক বড় ধাক্কা। প্রাকৃতিক এ বিপর্যয়ে মারা গেছেন কয়েক হাজার মানুষ। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ধ্বংস হয়ে গেছে ঘরবাড়ি, সেতু, মন্দিরসহ আরও অনেক স্থাপনা। কিন্তু এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছায়ায় মায়ানমারের দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের সংকট আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ভূমিকম্পের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে সাগাইং শহর ও এর আশপাশের এলাকায়। ভূমিকম্পের কারণে সেখানে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ত্রাণ ও সহায়তায় নেমেছে বিদ্রোহীরা। কিন্তু সেনাবাহিনী এ সুযোগে আরও এলাকা দখলের চেষ্টা করছে। গত বৃহস্পতিবার ব্যাংককে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম মায়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠকে ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানান। কিন্তু তা উপেক্ষা করে হামলা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। গত কয়েক দিনে এসব হামলায় প্রাণ গেছে অন্তত ২৬ জনের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পে সেনাবাহিনীর অস্ত্র উৎপাদন কারখানাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ফাঁকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করছে। বিশেষ করে আরাকান আর্মি এখন রাখাইন ছাড়িয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বাহিনীগুলোর শক্তিমত্তা এখন এত বেশি, তারা চাইলে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তবে শুধু অস্ত্র বা বাহিনীই নয়, মানুষের সমর্থনও এখন বড় একটা বিষয় হয়ে উঠেছে। ভূমিকম্পের পর সেনাবাহিনী যখন মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, তখন বিদ্রোহীরা ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে মন দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করছে। এদিকে, সেনা শাসকদের মধ্যে কুসংস্কারও বড় প্রভাব ফেলছে। অনেকেই ভূমিকম্পকে ‘ঈশ্বরের শাস্তি’ হিসেবে দেখছেন।
সব মিলিয়ে মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি এখন জটিল রূপ নিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভূমিকম্পে সেনাবাহিনীর ভিত নড়ে গেছে, বিদ্রোহীরা আত্মবিশ্বাসী, আর সাধারণ মানুষ এখন বিচার করছে কে আসলে তাদের পাশে আছে। তবে এটুকু নিশ্চিত, ভূমিকম্প শুধু মায়ানমারের মাটিই নয়, রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কাঁপিয়ে দিয়েছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সাগাইং শহর এখনও সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তবে এর চারপাশের গ্রামাঞ্চলের অনেকাংশ বিদ্রোহী গোষ্ঠী শাসন করছে। যেমন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ); যারা বিদ্রোহী জোটের জাতীয় ঐক্য সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত। আত্মরক্ষামূলক অভিযান ছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে বিদ্রোহীদের সরকার। তবে সেখানে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় ঐক্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের পর মায়ানমার সেনাবাহিনীর বিমান হামলা ও কামানের গোলার আঘাতে গত ২৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত ৭২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় ১০ এপ্রিল আরও দুজন বেসামরিক নাগরিক মারা যান, যাদের একজন ১৩ বছরের এক কিশোরী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাগাইংভিত্তিক পিডিএফের এক যোদ্ধা জানান, কিছু বিদ্রোহী ইউনিট মায়ানমারের কেন্দ্রে ত্রাণ কার্যক্রমে মনোযোগ দিয়েছে। যদিও তাদের প্রতিপক্ষরা যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। এই নারী যোদ্ধা বলেন, “ভূমিকম্পের পর যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে সাগাইং-মোনওয়া সড়ক আরও নির্বিঘেœ ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী।” সাগাইংয়ে পিডিএফ বাহিনীর ধারণা, এ মাসে যুদ্ধবিরতি শেষ হলে সংঘর্ষ আরও তীব্র হবে।
ওই নারী যোদ্ধা বলেন, “পিডিএফ এখানে সেনাবাহিনীর চেয়ে বেশি শক্তি সঞ্চয় করছে। আর জাতীয় ঐক্য সরকার এখন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আগের চেয়ে আরও কার্যকরভাবে সমন্বয় করছে।” আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক অ্যান্থনি ডেভিসের ধারণা, ভূমিকম্প সেনাবাহিনীর কৌশলগত উদ্দেশ্য থেকে মনোযোগ সরাবে না। তাছাড়া বেশিরভাগ সেনাই ত্রাণ কাজে অংশ না নিয়ে তাদের ক্যাম্পে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী ত্রাণ কাজের জন্য বিরতি নিচ্ছে না। তারা আকাশ থেকে আক্রমণ অব্যাহত রাখবে এবং যেখানে সম্ভব, পিডিএফকে দুর্বল করতে স্থলপথে আক্রমণ চালাবে।
“তবে রাখাইন রাজ্য, যেটি ভূমিকম্প থেকে বলতে গেলে অক্ষতই রয়েছে, এখনও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র,” বলেন তিনি। রাখাইনে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিত্তে এবং কিউকফিউ অঞ্চলের চারপাশে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ওই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইন রয়েছে, যা মায়ানমার থেকে চীন পর্যন্ত গ্যাস পরিবহন করে।
ডেভিস বলেন, “আরাকান আর্মি মায়ানমারের পশ্চিমাঞ্চল থেকে দেশটির কেন্দ্রস্থল মাগবি, বাগো ও ইয়াওয়েদি অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।
“তারা হলো সেই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, যারা এই সংঘর্ষকে একদিকে বা অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রভাবিত করতে পারে।” আনুমানিক ৪০ হাজার সৈন্যের আরাকান আর্মির জান্তার বাহিনীকে পরাজিত করার প্রমাণিত ইতিহাস রয়েছে। মায়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যের এক বিদ্রোহী কমান্ডার বলেন, “ভূমিকম্প মায়ানমারের শরণার্থী সম্প্রদায়ের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যারা আগে থেকেই যুদ্ধের ভার বহন করে চলেছে। “যে পক্ষ জনগণের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী, তারাই জনসমর্থন অর্জন করতে পারবে এবং সামনের লড়াইয়ে জয়ী হবে।” মায়ানমারের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সেনাবাহিনী এখন আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে রয়েছে।
মায়ানমারের মান্দালয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে দেশটির উদ্ধারকর্মীরা -এএফপি
সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
গত মাসে মায়ানমারে হয়ে যাওয়া ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প দেশটির জন্য ছিল এক বড় ধাক্কা। প্রাকৃতিক এ বিপর্যয়ে মারা গেছেন কয়েক হাজার মানুষ। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ধ্বংস হয়ে গেছে ঘরবাড়ি, সেতু, মন্দিরসহ আরও অনেক স্থাপনা। কিন্তু এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছায়ায় মায়ানমারের দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের সংকট আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
ভূমিকম্পের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে সাগাইং শহর ও এর আশপাশের এলাকায়। ভূমিকম্পের কারণে সেখানে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ত্রাণ ও সহায়তায় নেমেছে বিদ্রোহীরা। কিন্তু সেনাবাহিনী এ সুযোগে আরও এলাকা দখলের চেষ্টা করছে। গত বৃহস্পতিবার ব্যাংককে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম মায়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠকে ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানান। কিন্তু তা উপেক্ষা করে হামলা চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। গত কয়েক দিনে এসব হামলায় প্রাণ গেছে অন্তত ২৬ জনের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পে সেনাবাহিনীর অস্ত্র উৎপাদন কারখানাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ফাঁকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করছে। বিশেষ করে আরাকান আর্মি এখন রাখাইন ছাড়িয়ে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই বাহিনীগুলোর শক্তিমত্তা এখন এত বেশি, তারা চাইলে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তবে শুধু অস্ত্র বা বাহিনীই নয়, মানুষের সমর্থনও এখন বড় একটা বিষয় হয়ে উঠেছে। ভূমিকম্পের পর সেনাবাহিনী যখন মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, তখন বিদ্রোহীরা ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে মন দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করছে। এদিকে, সেনা শাসকদের মধ্যে কুসংস্কারও বড় প্রভাব ফেলছে। অনেকেই ভূমিকম্পকে ‘ঈশ্বরের শাস্তি’ হিসেবে দেখছেন।
সব মিলিয়ে মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতি এখন জটিল রূপ নিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভূমিকম্পে সেনাবাহিনীর ভিত নড়ে গেছে, বিদ্রোহীরা আত্মবিশ্বাসী, আর সাধারণ মানুষ এখন বিচার করছে কে আসলে তাদের পাশে আছে। তবে এটুকু নিশ্চিত, ভূমিকম্প শুধু মায়ানমারের মাটিই নয়, রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কাঁপিয়ে দিয়েছে।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত সাগাইং শহর এখনও সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। তবে এর চারপাশের গ্রামাঞ্চলের অনেকাংশ বিদ্রোহী গোষ্ঠী শাসন করছে। যেমন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ); যারা বিদ্রোহী জোটের জাতীয় ঐক্য সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত। আত্মরক্ষামূলক অভিযান ছাড়া ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে বিদ্রোহীদের সরকার। তবে সেখানে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় ঐক্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের পর মায়ানমার সেনাবাহিনীর বিমান হামলা ও কামানের গোলার আঘাতে গত ২৮ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত ৭২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় ১০ এপ্রিল আরও দুজন বেসামরিক নাগরিক মারা যান, যাদের একজন ১৩ বছরের এক কিশোরী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাগাইংভিত্তিক পিডিএফের এক যোদ্ধা জানান, কিছু বিদ্রোহী ইউনিট মায়ানমারের কেন্দ্রে ত্রাণ কার্যক্রমে মনোযোগ দিয়েছে। যদিও তাদের প্রতিপক্ষরা যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। এই নারী যোদ্ধা বলেন, “ভূমিকম্পের পর যুদ্ধবিরতির সুযোগ নিয়ে সাগাইং-মোনওয়া সড়ক আরও নির্বিঘেœ ব্যবহার করছে সেনাবাহিনী।” সাগাইংয়ে পিডিএফ বাহিনীর ধারণা, এ মাসে যুদ্ধবিরতি শেষ হলে সংঘর্ষ আরও তীব্র হবে।
ওই নারী যোদ্ধা বলেন, “পিডিএফ এখানে সেনাবাহিনীর চেয়ে বেশি শক্তি সঞ্চয় করছে। আর জাতীয় ঐক্য সরকার এখন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আগের চেয়ে আরও কার্যকরভাবে সমন্বয় করছে।” আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক অ্যান্থনি ডেভিসের ধারণা, ভূমিকম্প সেনাবাহিনীর কৌশলগত উদ্দেশ্য থেকে মনোযোগ সরাবে না। তাছাড়া বেশিরভাগ সেনাই ত্রাণ কাজে অংশ না নিয়ে তাদের ক্যাম্পে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী ত্রাণ কাজের জন্য বিরতি নিচ্ছে না। তারা আকাশ থেকে আক্রমণ অব্যাহত রাখবে এবং যেখানে সম্ভব, পিডিএফকে দুর্বল করতে স্থলপথে আক্রমণ চালাবে।
“তবে রাখাইন রাজ্য, যেটি ভূমিকম্প থেকে বলতে গেলে অক্ষতই রয়েছে, এখনও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র,” বলেন তিনি। রাখাইনে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিত্তে এবং কিউকফিউ অঞ্চলের চারপাশে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ওই অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইন রয়েছে, যা মায়ানমার থেকে চীন পর্যন্ত গ্যাস পরিবহন করে।
ডেভিস বলেন, “আরাকান আর্মি মায়ানমারের পশ্চিমাঞ্চল থেকে দেশটির কেন্দ্রস্থল মাগবি, বাগো ও ইয়াওয়েদি অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।
“তারা হলো সেই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়, যারা এই সংঘর্ষকে একদিকে বা অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রভাবিত করতে পারে।” আনুমানিক ৪০ হাজার সৈন্যের আরাকান আর্মির জান্তার বাহিনীকে পরাজিত করার প্রমাণিত ইতিহাস রয়েছে। মায়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যের এক বিদ্রোহী কমান্ডার বলেন, “ভূমিকম্প মায়ানমারের শরণার্থী সম্প্রদায়ের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যারা আগে থেকেই যুদ্ধের ভার বহন করে চলেছে। “যে পক্ষ জনগণের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী, তারাই জনসমর্থন অর্জন করতে পারবে এবং সামনের লড়াইয়ে জয়ী হবে।” মায়ানমারের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সেনাবাহিনী এখন আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে রয়েছে।