মেটা বলছে, এটি কার্যত শুল্ক আরোপের শামিল
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অ্যাপল ও মেটাকে মোট ৮০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে ইউরোপীয় কমিশন। এর মধ্যে অ্যাপলকে দিতে হবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে দিতে হবে প্রায় ২৩০ মিলিয়ন ডলার।
ইউরোপীয় কমিশন ইইউর নির্বাহী শাখা, এবং এই জরিমানাই ডিজিটাল মার্কেটস আইনের অধীনে প্রথম বড় ধরনের প্রয়োগ। এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো যখন বৈশ্বিক বাণিজ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ ও উত্তেজনা বাড়ছে।
মেটা এই জরিমানাকে কার্যত “শুল্ক” বলে অভিহিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করেই ইইউ এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মেটার চীফ গ্লোবাল অফিসার জোয়েল ক্যাপলান বলেন, “ইইউ স্পষ্টভাবে সফল মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। এটা শুধু জরিমানার বিষয় নয়, তারা আমাদের বাধ্য করছে আমাদের সেবার মান কমাতে, যা
মূলত আমাদের ব্যবসায়িক মডেলের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।”
ইইউর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রাহকরা অর্থ প্রদান না করে যে সেবা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পায়, বাস্তবে সেই মানের সেবা তারা পাচ্ছে না — এই অভিযোগেই অ্যাপল ও মেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে মেটা পাল্টা দাবি করেছে, “আমরা ইতিমধ্যে ইইউর চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছি। তবুও, কোনো পরিষ্কার কারণ ছাড়াই আমাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা হয়েছে।”
ইউরোপীয় কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা না হলে, প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে।
এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানকে আরও জোরালো করেছে। তিনি সম্প্রতি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে কোণঠাসা করতেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে।”
এর আগেও ট্রাম্প ইউরোপ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। চলতি মাসের শুরুতে তার উপদেষ্টা পিটার নাভারো মন্তব্য করেন, “ইইউ তাদের আইন ব্যবহার করে আমেরিকার বড় বড় কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায়।”
মেটা বলছে, এটি কার্যত শুল্ক আরোপের শামিল
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে অ্যাপল ও মেটাকে মোট ৮০০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেছে ইউরোপীয় কমিশন। এর মধ্যে অ্যাপলকে দিতে হবে ৫০০ মিলিয়ন ডলার এবং ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে দিতে হবে প্রায় ২৩০ মিলিয়ন ডলার।
ইউরোপীয় কমিশন ইইউর নির্বাহী শাখা, এবং এই জরিমানাই ডিজিটাল মার্কেটস আইনের অধীনে প্রথম বড় ধরনের প্রয়োগ। এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো যখন বৈশ্বিক বাণিজ্যে পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপ ও উত্তেজনা বাড়ছে।
মেটা এই জরিমানাকে কার্যত “শুল্ক” বলে অভিহিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করেই ইইউ এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মেটার চীফ গ্লোবাল অফিসার জোয়েল ক্যাপলান বলেন, “ইইউ স্পষ্টভাবে সফল মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। এটা শুধু জরিমানার বিষয় নয়, তারা আমাদের বাধ্য করছে আমাদের সেবার মান কমাতে, যা
মূলত আমাদের ব্যবসায়িক মডেলের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।”
ইইউর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রাহকরা অর্থ প্রদান না করে যে সেবা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পায়, বাস্তবে সেই মানের সেবা তারা পাচ্ছে না — এই অভিযোগেই অ্যাপল ও মেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে মেটা পাল্টা দাবি করেছে, “আমরা ইতিমধ্যে ইইউর চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছি। তবুও, কোনো পরিষ্কার কারণ ছাড়াই আমাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা হয়েছে।”
ইউরোপীয় কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে জরিমানা পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা না হলে, প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক আয়ের ১০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত জরিমানার মুখে পড়তে হতে পারে।
এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানকে আরও জোরালো করেছে। তিনি সম্প্রতি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে কোণঠাসা করতেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠিত হয়েছে।”
এর আগেও ট্রাম্প ইউরোপ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। চলতি মাসের শুরুতে তার উপদেষ্টা পিটার নাভারো মন্তব্য করেন, “ইইউ তাদের আইন ব্যবহার করে আমেরিকার বড় বড় কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায়।”