সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার দখল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য জেলেনস্কিই দায়ী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ স্যোসালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধের জন্য শান্তি চুক্তি আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছিল। কিন্তু ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে এই যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করবেন। এর আগে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির একটি রোডম্যাপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এটি দুই পক্ষকেই একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে বাধ্য করবে। ভ্যান্স আরও জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয়কেই কিছু কিছু অঞ্চল ছাড়তে হবে। তবে কার কোন ভূখ-কে ছাড় দিতে হবে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু জানায়নি মার্কিন প্রশাসন।
ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে প্রশাসন স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছে কিনা হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের করা এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যে কোনো প্রকারে তিনি এই চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সমাপ্তি চান। তার ভাষায়, আমার কোনো পক্ষ নাই। আমি শুধু এর একটি সমাধান চাই।
এদিকে ইউক্রেন বহুদিন বলে আসছে যে ২০১৪ সালে রাশিয়া অবৈধভাবে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপদ্বীপ ক্রিমিয়া দখল করে এবং এ বিষয়ে তারা আপসহীন।
জেলেনস্কি বারবার জানিয়েছেন, তার দেশ কিছুতেই ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দাবি ছাড়বে না। তিনি বলেন, এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। এটি আমাদের সংবিধানের পরিপন্থি। এক সময় ইউক্রেনের দখলে থাকা ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দেওয়া জেলেনস্কির পক্ষে রাজনৈতিকভাবে এমনিতেই সম্ভব না। পাশাপাশি এটি বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নীতিমালারও পরিপন্থি। আন্তর্জাতিক আইনে জোর দিয়ে বলা আছে, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কোনো দেশ তার সীমান্ত পরিবর্তন করতে পারবে না। সে হিসাবে ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার দখলদারিত্বকে আইনগত স্বীকৃতি দেওয়া অসম্ভব। এদিকে ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে (২৪ এপ্রিল) কিয়েভে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে নয়জন নিহত এবং ৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। গত তিন বছর ধরে চলা সংঘাতের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে একটি।
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার দখল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, শান্তি আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য জেলেনস্কিই দায়ী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ স্যোসালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন যে, রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধের জন্য শান্তি চুক্তি আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছিল। কিন্তু ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে এই যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করবেন। এর আগে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির একটি রোডম্যাপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এটি দুই পক্ষকেই একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে বাধ্য করবে। ভ্যান্স আরও জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেন—উভয়কেই কিছু কিছু অঞ্চল ছাড়তে হবে। তবে কার কোন ভূখ-কে ছাড় দিতে হবে, সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু জানায়নি মার্কিন প্রশাসন।
ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে প্রশাসন স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছে কিনা হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের করা এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যে কোনো প্রকারে তিনি এই চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সমাপ্তি চান। তার ভাষায়, আমার কোনো পক্ষ নাই। আমি শুধু এর একটি সমাধান চাই।
এদিকে ইউক্রেন বহুদিন বলে আসছে যে ২০১৪ সালে রাশিয়া অবৈধভাবে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপদ্বীপ ক্রিমিয়া দখল করে এবং এ বিষয়ে তারা আপসহীন।
জেলেনস্কি বারবার জানিয়েছেন, তার দেশ কিছুতেই ক্রিমিয়া উপদ্বীপের দাবি ছাড়বে না। তিনি বলেন, এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। এটি আমাদের সংবিধানের পরিপন্থি। এক সময় ইউক্রেনের দখলে থাকা ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণকে স্বীকৃতি দেওয়া জেলেনস্কির পক্ষে রাজনৈতিকভাবে এমনিতেই সম্ভব না। পাশাপাশি এটি বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নীতিমালারও পরিপন্থি। আন্তর্জাতিক আইনে জোর দিয়ে বলা আছে, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কোনো দেশ তার সীমান্ত পরিবর্তন করতে পারবে না। সে হিসাবে ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার দখলদারিত্বকে আইনগত স্বীকৃতি দেওয়া অসম্ভব। এদিকে ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে (২৪ এপ্রিল) কিয়েভে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে নয়জন নিহত এবং ৬০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। গত তিন বছর ধরে চলা সংঘাতের মধ্যে এটি ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাগুলোর মধ্যে একটি।