কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ঢাকায় পাকিস্তানের হাই কমিশন এক বার্তায় জানায়, “অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২৭-২৮ তারিখে বাংলাদেশ সফর করতে পারছেন না। পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সফরের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হবে।”
কাশ্মীর পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বৈঠক করে। বৈঠকের পরে সংবাদ সম্মেলনে ইসহাক দার বলেন, কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় কর্মকর্তাদের তলব করেছে। এই পরিস্থিতিতে তার বাংলাদেশ ও কাবুল সফর বিলম্বিত করা হয়েছে।
প্রায় দেড় দশক পর গত ১৬ এপ্রিল ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সেই বৈঠকে অংশ নেয়। তার সফরের সময়ই ইসহাক দারের ঢাকা সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছিল।
তবে এর মধ্যে কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারতের তীব্র প্রতিক্রিয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই হামলার দায় স্বীকার করে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের একটি সংগঠন, যা পাকিস্তান-ভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা।
এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত সার্ক ভিসা স্কিমের অধীনে পাকিস্তানিদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেয়, ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে সময় নির্ধারণ করে এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থল সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
জবাবে পাকিস্তানও ভিসা ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিত করার পাশাপাশি আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ইসহাক দারের ঢাকা সফর স্থগিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও আঞ্চলিক রাজনীতির নানা ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক ছিল স্তিমিত। তবে শেখ হাসিনার শাসনামলের অবসান ও মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক ও গভীর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, অতীতের টানাপোড়েন পেরিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘স্বাভাবিক সম্পর্ক’ চায় বর্তমান সরকার। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মধ্যে বৈঠকেও সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ঢাকায় পাকিস্তানের হাই কমিশন এক বার্তায় জানায়, “অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২৭-২৮ তারিখে বাংলাদেশ সফর করতে পারছেন না। পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে সফরের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হবে।”
কাশ্মীর পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল বৈঠক করে। বৈঠকের পরে সংবাদ সম্মেলনে ইসহাক দার বলেন, কাশ্মীরে হামলার ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় কর্মকর্তাদের তলব করেছে। এই পরিস্থিতিতে তার বাংলাদেশ ও কাবুল সফর বিলম্বিত করা হয়েছে।
প্রায় দেড় দশক পর গত ১৬ এপ্রিল ঢাকায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সেই বৈঠকে অংশ নেয়। তার সফরের সময়ই ইসহাক দারের ঢাকা সফরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছিল।
তবে এর মধ্যে কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারতের তীব্র প্রতিক্রিয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই হামলার দায় স্বীকার করে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের একটি সংগঠন, যা পাকিস্তান-ভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা।
এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত সার্ক ভিসা স্কিমের অধীনে পাকিস্তানিদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেয়, ভারতে অবস্থানরত পাকিস্তানিদের ফিরে যেতে সময় নির্ধারণ করে এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থল সীমান্ত বন্ধ করার পাশাপাশি ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
জবাবে পাকিস্তানও ভিসা ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিত করার পাশাপাশি আকাশসীমা বন্ধ করে দেয়। এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ইসহাক দারের ঢাকা সফর স্থগিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও আঞ্চলিক রাজনীতির নানা ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক ছিল স্তিমিত। তবে শেখ হাসিনার শাসনামলের অবসান ও মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক ও গভীর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, অতীতের টানাপোড়েন পেরিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘স্বাভাবিক সম্পর্ক’ চায় বর্তমান সরকার। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের মধ্যে বৈঠকেও সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।