যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের শততম দিন প্রচারণার মতো বক্তব্য দিয়ে, নিজের সাফল্যের কথা তুলে ধরে এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের আক্রমণ করে উদযাপন করেছেন। মঙ্গলবার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ওয়ারেন শহরে এক সমাবেশ আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করেন ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা। সমাবেশে নিজের সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি তার ক্ষমতাকে ‘গভীর পরিবর্তন’ আনার জন্য ব্যবহার করছেন। তিনি একে ‘কা-জ্ঞানের বিপ্লব’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট পূর্বসূরি জো বাইডেনকে উপহাসের পাশাপাশি মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যানকে নতুন সমালোচনার লক্ষ্যস্থল করেছেন এবং তার ‘জনপ্রিয়তা হ্রাস’ পাচ্ছে আভাস দেয়া জরিপগুলো খারিজ করেছেন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনতে সফলতা দেখিয়েছেন কিন্তু তিনি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করায় মার্কিন অর্থনীতি একটি সম্ভাব্য রাজনৈতিক দুর্বলতার শিকার হচ্ছে।
ডেট্রয়েটের নিকটবর্তী শহর ওয়ারেনের সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র শুরু করেছি। আপনারা এখনও কিছুই দেখেননি।’ যুক্তরাষ্ট্রের মোটরগাড়ি শিল্পের এই কেন্দ্রে রাখা বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, মিডওয়েস্টান অঙ্গরাজ্যগুলোতে নতুন কারখানা খোলার জন্য মোটরগাড়ি কোম্পানিগুলো ‘লাইন ধরেছে’। ওই দিন এর আগে তার অর্থনৈতিক পরিকল্পনার একটি প্রধান অংশ বিদেশি গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা হ্রাস করেন। গাড়ির দাম বৃদ্ধির বিপদ নিয়ে মার্কিন গাড়ি নির্মাতাদের হুঁশিয়ারির পর তিনি এ পদক্ষেপ নেন।
সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, মতামত জরিপগুলোতে তার জনপ্রিয়তা পড়ে যাওয়ার যে ইঙ্গিতগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো ‘ভুয়া’। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘সত্যিকার জয়’ তারই হয়েছিল বলে আবার দাবি করেছেন তিনি। ওই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। গ্যালাপের জরিপ অনুযায়ী, ট্রাম্প দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রথম ১০০তম দিনের পর যার জনসমর্থন অর্ধেকেরও কম, ৪৪ শতাংশ।
কিন্তু রিপাবলিকান ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এখনও দৃঢ়ভাবে তার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। আর বিপরীত দিকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকেও জনসমর্থন পেতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটি (ডিএনসি) ট্রাম্পের মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনকে ‘বিশাল ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করেছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানির মূল্য ও মর্টগেজের হার হ্রাস পেয়েছে আর বিপরীতে বেকারত্বের হার কিছুটা বেড়েছে, ভোক্তারা চাপে পড়েছেন তার আরোপিত শুল্কের কারণে শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে।
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের শততম দিন প্রচারণার মতো বক্তব্য দিয়ে, নিজের সাফল্যের কথা তুলে ধরে এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের আক্রমণ করে উদযাপন করেছেন। মঙ্গলবার মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ওয়ারেন শহরে এক সমাবেশ আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করেন ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা। সমাবেশে নিজের সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি তার ক্ষমতাকে ‘গভীর পরিবর্তন’ আনার জন্য ব্যবহার করছেন। তিনি একে ‘কা-জ্ঞানের বিপ্লব’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট পূর্বসূরি জো বাইডেনকে উপহাসের পাশাপাশি মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যানকে নতুন সমালোচনার লক্ষ্যস্থল করেছেন এবং তার ‘জনপ্রিয়তা হ্রাস’ পাচ্ছে আভাস দেয়া জরিপগুলো খারিজ করেছেন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমিয়ে আনতে সফলতা দেখিয়েছেন কিন্তু তিনি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করায় মার্কিন অর্থনীতি একটি সম্ভাব্য রাজনৈতিক দুর্বলতার শিকার হচ্ছে।
ডেট্রয়েটের নিকটবর্তী শহর ওয়ারেনের সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আমরা মাত্র শুরু করেছি। আপনারা এখনও কিছুই দেখেননি।’ যুক্তরাষ্ট্রের মোটরগাড়ি শিল্পের এই কেন্দ্রে রাখা বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, মিডওয়েস্টান অঙ্গরাজ্যগুলোতে নতুন কারখানা খোলার জন্য মোটরগাড়ি কোম্পানিগুলো ‘লাইন ধরেছে’। ওই দিন এর আগে তার অর্থনৈতিক পরিকল্পনার একটি প্রধান অংশ বিদেশি গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানির ওপর আরোপিত শুল্ক কিছুটা হ্রাস করেন। গাড়ির দাম বৃদ্ধির বিপদ নিয়ে মার্কিন গাড়ি নির্মাতাদের হুঁশিয়ারির পর তিনি এ পদক্ষেপ নেন।
সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, মতামত জরিপগুলোতে তার জনপ্রিয়তা পড়ে যাওয়ার যে ইঙ্গিতগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো ‘ভুয়া’। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘সত্যিকার জয়’ তারই হয়েছিল বলে আবার দাবি করেছেন তিনি। ওই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেনের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। গ্যালাপের জরিপ অনুযায়ী, ট্রাম্প দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে একমাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রথম ১০০তম দিনের পর যার জনসমর্থন অর্ধেকেরও কম, ৪৪ শতাংশ।
কিন্তু রিপাবলিকান ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এখনও দৃঢ়ভাবে তার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। আর বিপরীত দিকে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকেও জনসমর্থন পেতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটি (ডিএনসি) ট্রাম্পের মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনকে ‘বিশাল ব্যর্থতা’ বলে অভিহিত করেছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানির মূল্য ও মর্টগেজের হার হ্রাস পেয়েছে আর বিপরীতে বেকারত্বের হার কিছুটা বেড়েছে, ভোক্তারা চাপে পড়েছেন তার আরোপিত শুল্কের কারণে শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে।