একটি হাসিমাখা সেলফি। বিমানে বসে আছেন এক ডাক্তার দম্পতি ও তাদের তিন শিশু সন্তান। নতুন জীবনের শুরু—লন্ডনে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিমানে উঠেছেন তারা। কিন্তু সেই স্বপ্ন রয়ে গেল আকাশেই। মাত্র ৩২ সেকেন্ডেই সব ছাই হয়ে গেল।
আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়ন করা এয়ার ইন্ডিয়া ১৭১ ফ্লাইটটি উড়তেই পারেনি। আকাশে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়, বিমানটি উচ্চতা হারায় এবং দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আছড়ে পড়ে—একটি ভয়াবহ অগ্নিগোলায় পরিণত হয় পুরো বিমান।
এই দুর্ঘটনায় ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে ২৪১ জনই মারা যান।
তাদেরই মধ্যে ছিলেন রাজস্থানের বাসিন্দা, চিকিৎসক কমি ভ্যাশ ও তাঁর স্বামী ডাক্তার প্রতীক জোশি, এবং তাদের তিন শিশু সন্তান—৫ বছর বয়সী যমজ ভাই নাকুল ও প্রাদ্যুত, আর ৮ বছর বয়সী মেয়ে মিরায়া।
সেলফিটি তুলেছিলেন ড. প্রতীক নিজেই। হাস্যোজ্জ্বল মুখে কমি ও প্রতীক একপাশে বসা, অপর পাশে তাদের তিন সন্তান। শিশুরাও ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে একরাশ আনন্দ নিয়ে হাসছে।
ডা. কমি ভ্যাশ উদয়পুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল, প্যাসিফিক হাসপাতালে কাজ করতেন। সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে দেন, কারণ তিনি স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছিলেন। ডাক্তার প্রতীক জোশি আগেই লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন, আর এবার পরিবারকে নিতে কয়েকদিন আগে রাজস্থানে ফিরেছিলেন।
প্রতীকের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, “দুই দিন আগে সে এসে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিল। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা মিলে বিমানবন্দরে বিদায় দিতে গিয়েছিল।”
ডা. কমির ভাই প্রবুদ্ধ জানান, কমি ও প্রতীকের বিয়ে হয়েছিল ১০ বছর আগে। প্রতীকের বাবা একজন খ্যাতনামা রেডিওলজিস্ট এবং কমির বাবা পিডব্লিউডিতে অফিসার ছিলেন।
বিমানের কারিগরি ত্রুটির বর্ণনা
বিমান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উড্ডয়নের সময়ই দেখা দেয় ইঞ্জিন সমস্যার। বিমানের প্রয়োজনীয় থ্রাস্ট তৈরি হয়নি বলে মনে করছেন সাবেক পাইলট ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনগর।
তিনি বলেন, “টেকঅফ ঠিকঠাক হলেও গিয়ার তোলার আগেই বিমান নিচে নামতে শুরু করে—এটা ইঞ্জিনের পাওয়ার লস বা লিফট কমে যাওয়ার কারণেই হতে পারে।”
এই ভয়ংকর দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত ব্যক্তি ৪০ বছর বয়সী ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান যাত্রী বিষ্ণু কুমার রমেশ, যিনি ছুটি কাটিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরছিলেন।
বিমানের ধ্বংসস্তূপে হয়তো হারিয়ে গেছে সেই সেলফি তোলা ফোনটি। হয়তো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিন্তু ছবিটির হাসিমাখা মুখগুলো—একটি পরিবারের আনন্দ, ভালোবাসা, এবং শেষ মুহূর্তের স্মৃতি।
সূত্র: এনডিটিভি
---
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
একটি হাসিমাখা সেলফি। বিমানে বসে আছেন এক ডাক্তার দম্পতি ও তাদের তিন শিশু সন্তান। নতুন জীবনের শুরু—লন্ডনে যাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বিমানে উঠেছেন তারা। কিন্তু সেই স্বপ্ন রয়ে গেল আকাশেই। মাত্র ৩২ সেকেন্ডেই সব ছাই হয়ে গেল।
আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়ন করা এয়ার ইন্ডিয়া ১৭১ ফ্লাইটটি উড়তেই পারেনি। আকাশে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়, বিমানটি উচ্চতা হারায় এবং দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আছড়ে পড়ে—একটি ভয়াবহ অগ্নিগোলায় পরিণত হয় পুরো বিমান।
এই দুর্ঘটনায় ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে ২৪১ জনই মারা যান।
তাদেরই মধ্যে ছিলেন রাজস্থানের বাসিন্দা, চিকিৎসক কমি ভ্যাশ ও তাঁর স্বামী ডাক্তার প্রতীক জোশি, এবং তাদের তিন শিশু সন্তান—৫ বছর বয়সী যমজ ভাই নাকুল ও প্রাদ্যুত, আর ৮ বছর বয়সী মেয়ে মিরায়া।
সেলফিটি তুলেছিলেন ড. প্রতীক নিজেই। হাস্যোজ্জ্বল মুখে কমি ও প্রতীক একপাশে বসা, অপর পাশে তাদের তিন সন্তান। শিশুরাও ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে একরাশ আনন্দ নিয়ে হাসছে।
ডা. কমি ভ্যাশ উদয়পুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল, প্যাসিফিক হাসপাতালে কাজ করতেন। সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে দেন, কারণ তিনি স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছিলেন। ডাক্তার প্রতীক জোশি আগেই লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন, আর এবার পরিবারকে নিতে কয়েকদিন আগে রাজস্থানে ফিরেছিলেন।
প্রতীকের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, “দুই দিন আগে সে এসে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিল। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা মিলে বিমানবন্দরে বিদায় দিতে গিয়েছিল।”
ডা. কমির ভাই প্রবুদ্ধ জানান, কমি ও প্রতীকের বিয়ে হয়েছিল ১০ বছর আগে। প্রতীকের বাবা একজন খ্যাতনামা রেডিওলজিস্ট এবং কমির বাবা পিডব্লিউডিতে অফিসার ছিলেন।
বিমানের কারিগরি ত্রুটির বর্ণনা
বিমান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উড্ডয়নের সময়ই দেখা দেয় ইঞ্জিন সমস্যার। বিমানের প্রয়োজনীয় থ্রাস্ট তৈরি হয়নি বলে মনে করছেন সাবেক পাইলট ক্যাপ্টেন সৌরভ ভাটনগর।
তিনি বলেন, “টেকঅফ ঠিকঠাক হলেও গিয়ার তোলার আগেই বিমান নিচে নামতে শুরু করে—এটা ইঞ্জিনের পাওয়ার লস বা লিফট কমে যাওয়ার কারণেই হতে পারে।”
এই ভয়ংকর দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত ব্যক্তি ৪০ বছর বয়সী ব্রিটিশ-ইন্ডিয়ান যাত্রী বিষ্ণু কুমার রমেশ, যিনি ছুটি কাটিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরছিলেন।
বিমানের ধ্বংসস্তূপে হয়তো হারিয়ে গেছে সেই সেলফি তোলা ফোনটি। হয়তো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিন্তু ছবিটির হাসিমাখা মুখগুলো—একটি পরিবারের আনন্দ, ভালোবাসা, এবং শেষ মুহূর্তের স্মৃতি।
সূত্র: এনডিটিভি
---