ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ইসরায়েলের চালানো বিমান ও ড্রোন হামলায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইএনএন শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শুধু সেনাপ্রধানই নন, ইসরায়েলি হামলায় ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন বলে জানায় ইরানের সরকারি গণমাধ্যম।
শুক্রবার ভোররাতে শুরু হওয়া এই হামলা ছিল ব্যাপক এবং পরিকল্পিত। ইসরায়েলি বাহিনী একই সময়ে তেহরান, নাতানজ, ইসফাহানসহ অন্তত আটটি শহরে আঘাত হানে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, সামরিক সদর দপ্তর ও বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে জানা গেছে, বাঘেরি রাজধানী তেহরানে এক সামরিক ভবনে অবস্থান করছিলেন, যেখানে সরাসরি বিমান হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
একই হামলায় নিহত হন আইআরজিসি প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও খাতাম আল-আনবিয়া সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশিদ।
এছাড়া নিহতদের তালিকায় রয়েছেন দুই খ্যাতনামা পরমাণুবিজ্ঞানী—ইসলামিক আজাদ ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ-মেহদি তাহরাঞ্চি এবং ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরাইদুন আব্বাসি।
ইসরায়েলি হামলায় তেহরানে কয়েকটি আবাসিক ভবনও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তারা নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করতে দেখেছেন।
এই ঘটনার পরপরই ইরান একে ‘যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য’ আখ্যা দিয়ে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী ও আইআরজিসির পক্ষ থেকে পাল্টা হামলার প্রস্তুতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা কাঠামোকে এক অজানা বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ইসরায়েলের চালানো বিমান ও ড্রোন হামলায় দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হয়েছেন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইএনএন শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শুধু সেনাপ্রধানই নন, ইসরায়েলি হামলায় ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ আরও কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন বলে জানায় ইরানের সরকারি গণমাধ্যম।
শুক্রবার ভোররাতে শুরু হওয়া এই হামলা ছিল ব্যাপক এবং পরিকল্পিত। ইসরায়েলি বাহিনী একই সময়ে তেহরান, নাতানজ, ইসফাহানসহ অন্তত আটটি শহরে আঘাত হানে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, সামরিক সদর দপ্তর ও বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে জানা গেছে, বাঘেরি রাজধানী তেহরানে এক সামরিক ভবনে অবস্থান করছিলেন, যেখানে সরাসরি বিমান হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তিনি ছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
একই হামলায় নিহত হন আইআরজিসি প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও খাতাম আল-আনবিয়া সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রশিদ।
এছাড়া নিহতদের তালিকায় রয়েছেন দুই খ্যাতনামা পরমাণুবিজ্ঞানী—ইসলামিক আজাদ ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ-মেহদি তাহরাঞ্চি এবং ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার সাবেক প্রধান ফেরাইদুন আব্বাসি।
ইসরায়েলি হামলায় তেহরানে কয়েকটি আবাসিক ভবনও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তারা নারী ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করতে দেখেছেন।
এই ঘটনার পরপরই ইরান একে ‘যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য’ আখ্যা দিয়ে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী ও আইআরজিসির পক্ষ থেকে পাল্টা হামলার প্রস্তুতির খবর পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা কাঠামোকে এক অজানা বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানিয়েছে।