ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
গতকাল এই তথ্য জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব গণমাধ্যম ইরনা।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওআইসি ইসরায়েলের শাসকগোষ্ঠীকে ‘জায়নবাদি’ বলে অভিহিত করে এবং ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানায়। পাশাপাশি, বিবৃতিতে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং ইরানের জনগণ ও সরকারের প্রতি সমর্থন ও একাত্মতা প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতির একটি কপি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে জমা দিয়েছে ওআইসির পর্যবেক্ষক কার্যালয়। এটি জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক নথি হিসেবে প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
ওআইসির সদস্য দেশগুলো ইরান জাতি ও দেশটির সরকারের সঙ্গে পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ইরানের নিজ ভূখণ্ডে বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় দেশটির নাগরিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি, জেনেবুঝে শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য নির্মিত পরমাণু অবকাঠামোর ওপরও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের এসব পদক্ষেপের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলো।
বিবৃতি মতে, এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ইসরায়েল স্পষ্ট করেছে, আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতিকে তারা পুরোপুরি উপেক্ষা করছে। এতে জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতি ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়েছে। শুক্রবার ইরানে বড় আকারে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। জানায়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে রাশ টেনে ধরার জন্যই এই হামলা। ওই হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও প্রথম সারির পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। পাশাপাশি বড় আকারে অবকাঠামোগত ক্ষতির শিকারও হয় দেশটি। হামলার প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মাধ্যমে পাল্টা হামলা শুরু করে তেহরান।
টানা পাঁচ দিন ধরে চলমান সংঘাতে গতকাল পর্যন্ত ইরানে ২২৪ জন নিহত ও এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
আর ইসরায়েলে ২৪ জন নিহত ও প্রায় ৫৯২ জন আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি লেবানন, ইয়েমেন ও সিরিয়াতেও বিচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়েছে দেশটি। এর সঙ্গে ইরান-ইসরায়েলের এই সংঘাত যোগ হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মত দিয়েছেন।
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
গতকাল এই তথ্য জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব গণমাধ্যম ইরনা।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওআইসি ইসরায়েলের শাসকগোষ্ঠীকে ‘জায়নবাদি’ বলে অভিহিত করে এবং ইরান ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানায়। পাশাপাশি, বিবৃতিতে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং ইরানের জনগণ ও সরকারের প্রতি সমর্থন ও একাত্মতা প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতির একটি কপি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে জমা দিয়েছে ওআইসির পর্যবেক্ষক কার্যালয়। এটি জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক নথি হিসেবে প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছে।
ওআইসির সদস্য দেশগুলো ইরান জাতি ও দেশটির সরকারের সঙ্গে পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ইরানের নিজ ভূখণ্ডে বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় দেশটির নাগরিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি, জেনেবুঝে শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য নির্মিত পরমাণু অবকাঠামোর ওপরও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের এসব পদক্ষেপের প্রতি তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্রগুলো।
বিবৃতি মতে, এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ইসরায়েল স্পষ্ট করেছে, আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতিকে তারা পুরোপুরি উপেক্ষা করছে। এতে জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইনের মূলনীতি ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়েছে। শুক্রবার ইরানে বড় আকারে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। জানায়, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে রাশ টেনে ধরার জন্যই এই হামলা। ওই হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও প্রথম সারির পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। পাশাপাশি বড় আকারে অবকাঠামোগত ক্ষতির শিকারও হয় দেশটি। হামলার প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মাধ্যমে পাল্টা হামলা শুরু করে তেহরান।
টানা পাঁচ দিন ধরে চলমান সংঘাতে গতকাল পর্যন্ত ইরানে ২২৪ জন নিহত ও এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
আর ইসরায়েলে ২৪ জন নিহত ও প্রায় ৫৯২ জন আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। পাশাপাশি লেবানন, ইয়েমেন ও সিরিয়াতেও বিচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়েছে দেশটি। এর সঙ্গে ইরান-ইসরায়েলের এই সংঘাত যোগ হয়ে মধ্যপ্রাচ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মত দিয়েছেন।