জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আলি বাহরেনি জানিয়েছেন, যদি ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশ নেয়, তবে তেহরান এর উপযুক্ত জবাব দেবে। জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ইসরায়েলের বর্তমান কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সহযোগী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তিনি জানান, ইরান একটি ‘রেড লাইন’ নির্ধারণ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র সেটি অতিক্রম করলে প্রতিক্রিয়া আসবে। তবে কোন কোন পদক্ষেপকে ‘উসকানি’ হিসেবে গণ্য করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
শুক্রবার ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আচমকা হামলা চালানোর পর ছয়দিন ধরে দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তেল আবিবের দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে এ হামলা চালিয়েছে। তেহরান অবশ্য জানায়, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ এবং তারা অস্ত্র তৈরি করতে চায় না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করার আহ্বান জানান। বাহরেনি তার বক্তব্যকে “অযৌক্তিক ও বৈরি” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ইরান এ ধরনের মন্তব্যকে উপেক্ষা করতে পারে না।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করাসহ বিভিন্ন উপায়ে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে বলে তিন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বাহরেনি বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, প্রয়োজন হলে জবাব দেব।”
এদিকে ইরানের সাবেক অর্থমন্ত্রী এহসান খান্দুজি হরমুজ প্রণালীতে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যেন ইরানিদের অনুমতি ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এ জলসীমা দিয়ে কোনো জাহাজ চলাচল করতে না পারে। তার প্রস্তাব অনুযায়ী, এই নীতি ১০০ দিনের জন্য কার্যকর করা উচিত, তবে এটি ব্যক্তিগত মতামত নাকি সরকারের পরিকল্পনার অংশ—তা স্পষ্ট নয়।
ইরান এর আগেও হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি দিলেও তা কখনো বাস্তবায়ন করেনি। খান্দুজি বলেছেন, “এই নীতি কার্যকর করতে বিলম্ব হলে দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে।” এ বিষয়ে তেহরানের তেল ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, হরমুজ প্রণালী সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জন্য প্রধান রপ্তানি পথ। প্রতিদিন বিশ্বের ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ—প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ব্যারেল—এই সংকীর্ণ প্রণালী দিয়ে যায়। যার সবচেয়ে সরু অংশ মাত্র ৩৩ কিলোমিটার চওড়া।
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত আলি বাহরেনি জানিয়েছেন, যদি ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশ নেয়, তবে তেহরান এর উপযুক্ত জবাব দেবে। জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ইসরায়েলের বর্তমান কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সহযোগী হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তিনি জানান, ইরান একটি ‘রেড লাইন’ নির্ধারণ করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র সেটি অতিক্রম করলে প্রতিক্রিয়া আসবে। তবে কোন কোন পদক্ষেপকে ‘উসকানি’ হিসেবে গণ্য করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
শুক্রবার ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আচমকা হামলা চালানোর পর ছয়দিন ধরে দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তেল আবিবের দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে এ হামলা চালিয়েছে। তেহরান অবশ্য জানায়, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ এবং তারা অস্ত্র তৈরি করতে চায় না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’ করার আহ্বান জানান। বাহরেনি তার বক্তব্যকে “অযৌক্তিক ও বৈরি” বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ইরান এ ধরনের মন্তব্যকে উপেক্ষা করতে পারে না।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করাসহ বিভিন্ন উপায়ে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে বলে তিন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বাহরেনি বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, প্রয়োজন হলে জবাব দেব।”
এদিকে ইরানের সাবেক অর্থমন্ত্রী এহসান খান্দুজি হরমুজ প্রণালীতে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যেন ইরানিদের অনুমতি ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এ জলসীমা দিয়ে কোনো জাহাজ চলাচল করতে না পারে। তার প্রস্তাব অনুযায়ী, এই নীতি ১০০ দিনের জন্য কার্যকর করা উচিত, তবে এটি ব্যক্তিগত মতামত নাকি সরকারের পরিকল্পনার অংশ—তা স্পষ্ট নয়।
ইরান এর আগেও হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকি দিলেও তা কখনো বাস্তবায়ন করেনি। খান্দুজি বলেছেন, “এই নীতি কার্যকর করতে বিলম্ব হলে দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে।” এ বিষয়ে তেহরানের তেল ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি।
উল্লেখ্য, হরমুজ প্রণালী সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ উপসাগরীয় তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জন্য প্রধান রপ্তানি পথ। প্রতিদিন বিশ্বের ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ—প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ব্যারেল—এই সংকীর্ণ প্রণালী দিয়ে যায়। যার সবচেয়ে সরু অংশ মাত্র ৩৩ কিলোমিটার চওড়া।