মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে তৃতীয় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে আফগানিস্তান। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার দুই শতাধিক। আহত হয়েছেন অন্তত ৩ হাজার ৬০০ জন। বিধ্বস্ত গ্রাম, গৃহহীন মানুষের দীর্ঘশ্বাস আর সীমিত সহায়তায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে আফগানিস্তানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে নতুন ভূমিকম্প। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্স জানিয়েছে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২, তবে বিবিসি বলছে ৫ দশমিক ৬। কেন্দ্রস্থল ছিল নানগারহার প্রদেশের সীমান্তবর্তী শিওয়া জেলায়। কয়েক দিন আগেই কুনার ও নানগারহারে আঘাত হানা ভূমিকম্পগুলো বহু গ্রাম মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ধসে পড়েছে অন্তত ৬ হাজার ৭০০ বাড়িঘর। প্রাথমিক হিসাবে প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কুনারের কিছু গ্রামে মোট বাসিন্দাদের দুই-তৃতীয়াংশ হতাহত হয়েছেন, আর সেসব এলাকার ৯৮ শতাংশ বাড়ি পুরোপুরি বা আংশিক বিধ্বস্ত। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে সময় ফুরিয়ে আসায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।
বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো এখন আশ্রয়হীন। নিজ হাতে গর্ত খুঁড়ে স্বজনদের দাফন করছেন অনেকেই। একদিকে খাবার ও চিকিৎসার সংকট, অন্যদিকে তীব্র ঠান্ডা ও দুর্গম ভূপ্রকৃতি উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমকে কঠিন করে তুলেছে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে মানবিক সহায়তার চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, তাদের হাতে মজুদ খাদ্যসামগ্রী রয়েছে মাত্র চার সপ্তাহের জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী সচল রাখতে প্রয়োজন অন্তত ৩০ লাখ ডলার।
তালেবান প্রশাসন ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য কাতর অনুরোধ জানিয়েছে। তবে নারীদের ওপর বিধিনিষেধ, বিদেশি সাহায্যে কাটছাঁট ও কড়াকড়ির কারণে দেশটি আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান জ্যাকোপো ক্যারিডি সতর্ক করে বলেছেন, “এটি শুধু তাৎক্ষণিক নয়, দীর্ঘমেয়াদে আফগানদের টিকে থাকার জন্যও দাতাদের এগিয়ে আসতে হবে। এই ভূমিকম্প যেন এক কঠিন সতর্কবার্তা হয়, আফগানিস্তানকে একা ফেলে রাখা যাবে না।”
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে তৃতীয় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে আফগানিস্তান। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার দুই শতাধিক। আহত হয়েছেন অন্তত ৩ হাজার ৬০০ জন। বিধ্বস্ত গ্রাম, গৃহহীন মানুষের দীর্ঘশ্বাস আর সীমিত সহায়তায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটি।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫৬ মিনিটে আফগানিস্তানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে নতুন ভূমিকম্প। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্স জানিয়েছে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২, তবে বিবিসি বলছে ৫ দশমিক ৬। কেন্দ্রস্থল ছিল নানগারহার প্রদেশের সীমান্তবর্তী শিওয়া জেলায়। কয়েক দিন আগেই কুনার ও নানগারহারে আঘাত হানা ভূমিকম্পগুলো বহু গ্রাম মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ধসে পড়েছে অন্তত ৬ হাজার ৭০০ বাড়িঘর। প্রাথমিক হিসাবে প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কুনারের কিছু গ্রামে মোট বাসিন্দাদের দুই-তৃতীয়াংশ হতাহত হয়েছেন, আর সেসব এলাকার ৯৮ শতাংশ বাড়ি পুরোপুরি বা আংশিক বিধ্বস্ত। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারে সময় ফুরিয়ে আসায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।
বেঁচে যাওয়া মানুষগুলো এখন আশ্রয়হীন। নিজ হাতে গর্ত খুঁড়ে স্বজনদের দাফন করছেন অনেকেই। একদিকে খাবার ও চিকিৎসার সংকট, অন্যদিকে তীব্র ঠান্ডা ও দুর্গম ভূপ্রকৃতি উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমকে কঠিন করে তুলেছে।
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে মানবিক সহায়তার চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, তাদের হাতে মজুদ খাদ্যসামগ্রী রয়েছে মাত্র চার সপ্তাহের জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী সচল রাখতে প্রয়োজন অন্তত ৩০ লাখ ডলার।
তালেবান প্রশাসন ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য কাতর অনুরোধ জানিয়েছে। তবে নারীদের ওপর বিধিনিষেধ, বিদেশি সাহায্যে কাটছাঁট ও কড়াকড়ির কারণে দেশটি আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের প্রধান জ্যাকোপো ক্যারিডি সতর্ক করে বলেছেন, “এটি শুধু তাৎক্ষণিক নয়, দীর্ঘমেয়াদে আফগানদের টিকে থাকার জন্যও দাতাদের এগিয়ে আসতে হবে। এই ভূমিকম্প যেন এক কঠিন সতর্কবার্তা হয়, আফগানিস্তানকে একা ফেলে রাখা যাবে না।”