গত শুক্রবার গাজার সবচেয়ে উঁচু ভবন মুশতাহা টাওয়ার গুড়িয়ে দেয় ইসরায়েল -এএফপি
ক্ষুধা-অপুষ্টিতে গাজার শিশুদের ওজন ভয়ানক কমে যাচ্ছে। শিশু আলি আবু আজরার ওজন এখন হওয়ার কথা ছিল ১৩ কেজি। এখন তার ওজন মাত্র তিন কেজি। ১৮ মাস বয়সী আলি তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। সে ইসরায়েলের সৃষ্ট কৃত্রিম দুর্ভিক্ষের মধ্যে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ভর্তি শিশুটি দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টির শিকার। এ কারণে তার শরীরের চর্বি এবং পেশি টিস্যু কমে গেছে। যার ফলে তার ত্বক হাড়ের সঙ্গে লেগে আছে।
তার মা আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, তাঁর ছেলে আলি দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, ফুসকুড়ি, ঘনঘন জ্বর, খিঁচুনি এবং তীব্র ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভুগছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তার ওজন এক কেজি কমে গেছে। দুধ নেই, ওষুধ নেই। প্রতিদিন পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিতে তার জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। গাজার হাসপাতালের কয়েক ডজন শিশু একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি।
আলজাজিরা জানায়, ফিলিস্তিনের গাজা এখন আতঙ্ক, মৃত্যু ও দাফনের শহরে পরিণত হয়েছে। নারী-শিশুদের জন্য শহরটি এখন শঙ্কাজনক স্থানে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলার মুখে বাসিন্দারা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ জানিয়েছে, এই শহর এখন শিশুদের জন্য অসম্ভব আতঙ্কের।
সর্বশেষ হামলায় শহরের বিভিন্ন স্থানে সাত শিশু নিহত হয়েছে। বাসিন্দারা জেইতুন, সাবরা, তুফাহ এবং শেজাইয়ায় ভারী বোমাবর্ষণের খবর পেয়েছেন। গাজা শহরের চারটি বড় ভবন ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা গাজা শহরের ৪০ শতাংশ ভূখ- দখল করেছি। হামাসের শাসন ভেঙে ফেলে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে চাই।’
গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার বাহিনীর হামলায় অন্তত ১১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শুক্রবার ৫০ জন নিহত হয়। গত ২৩ মাসে হামলায় নিহতদের অন্তত ৩০ শতাংশ শিশু। প্রতিদিন গড়ে ২৮ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৪ হাজার ২৩১ জন নিহত ও এক লাখ ৬১ হাজার ৫৮৩ জন আহত হয়েছে।
সাত শিশুকে হারিয়ে ‘হৃদয়’ বিগলিত গাজাবাসীর: বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ইসরায়েল গাজা শহরের বেশ কয়েকটি অস্থায়ী তাঁবু, অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক এবং আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাত শিশুও রয়েছে। হামলায় মাহা আফানার ছেলে-মেয়ে দুজনেরই প্রাণ গেছে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি আমার ছেলের খোঁজ করতে গিয়ে দেখি, সে পড়ে আছে, তার নাক দিয়ে ও মাথার পেছন থেকে রক্ত ??ঝরছে। তারপর আমি আমার দ্বিতীয় সন্তান– আমার মেয়ে নূরকে দেখতে পাই। তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত রক্তে ভেজা ছিল।’
‘নরকের দরজা খুলে যাচ্ছে’ : ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, গাজায় ‘নরকের দরজা’ খুলে যাচ্ছে। কারণ সেনাবাহিনী গাজা শহরের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে প্রধান উঁচু টাওয়ার ধ্বংস করেছে। ভবনটির নাম মুশতাহা টাওয়ার। শহরের পশ্চিম দিকে অবস্থিত এটি ১২ তলা ভবন। তারা ঘোষণা করেছে, অভিযান তীব্রতর করার পাশাপাশি আরও বহুতল ভবন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে। কাটজের মন্তব্য গাজা সিটিতে বোমাবর্ষণ অভিযানের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত ভয়াবহ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। কারণ মারাত্মক বিমান হামলার নতুন পর্যায় শুরু হয়েছে, যা মূলত গাজা সিটির উঁচু টাওয়ারগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এরকম শত শত ভবন রয়েছে।
তিন ফিলিস্তিনি সংস্থার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ দেওয়ায় তিন ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজা যুদ্ধ ও ইসরায়েলের দখলদারির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) তদন্তে সহযোগিতা করার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা। সংস্থাগুলো হলো– রামাল্লাভিত্তিক আল-হক, গাজা নগরভিত্তিক প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস (পিসিএইচআর) ও আল-মিজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস। বৃহস্পতিবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সংস্থাগুলোর নাম যুক্ত করা হয়।
এদিক, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পশ্চিম গাজা শহরের একটি বহুতল আবাসিক ভবনে বোমা হামলা চালিয়ে এটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ‘মুশতা টাওয়ার’ নামে ভবনটি উপত্যকার সবচেয়ে উঁচু হিসেবে পরিচিত, যেখানে শত শত বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ভবনটিতে বেশ কয়েকবার আঘাত হানে ইসরায়েলি বোমা, যার ফলে মুহুর্তের মধ্যেই এটি মাটিতে ধসে পড়ে এবং এলাকাজুড়ে ধোঁয়া ও ধূলার বিরাট কু-লী দেখা যায়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ভবনটিতে হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, ভবনটির বেজমেন্টে হামাসের অবকাঠামো ছিল। এ কারণে এটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তবে মুশতা টাওয়ারের ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষ ইসরায়েলের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ‘ভবনটি কোনও সামরিক বা নিরাপত্তা স্থাপনা ছিল না এবং এটি কেবল বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। ভবনটির সমস্ত মেঝে উন্মুক্ত ছিল, কোনও হালকা বা ভারী অস্ত্র ছিল না।
এদিকে, ভবনটির বাসিন্দারাও ইসরায়েলি দাবিতে হতবাক হয়েছেন। মুশতা টাওয়ারের বাসিন্দা ওবাদাহ সাইফুদ্দিন বলেন, ‘আমার আর কোন বাড়ি নেই। আমাদের চোখের সামনেই যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে, আমাদের অপরাধ কী?” আরেক বাসিন্দা নিদাল আবু আলী বলেন, ‘ আমাদের বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর আমি আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে টাওয়ারে আশ্রয় নিয়েছিলাম, কিন্তু ইসরায়েল গাজায় কোনও নিরাপদ স্থান রাখেনি।’
গত শুক্রবার গাজার সবচেয়ে উঁচু ভবন মুশতাহা টাওয়ার গুড়িয়ে দেয় ইসরায়েল -এএফপি
রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ক্ষুধা-অপুষ্টিতে গাজার শিশুদের ওজন ভয়ানক কমে যাচ্ছে। শিশু আলি আবু আজরার ওজন এখন হওয়ার কথা ছিল ১৩ কেজি। এখন তার ওজন মাত্র তিন কেজি। ১৮ মাস বয়সী আলি তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। সে ইসরায়েলের সৃষ্ট কৃত্রিম দুর্ভিক্ষের মধ্যে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে ভর্তি শিশুটি দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টির শিকার। এ কারণে তার শরীরের চর্বি এবং পেশি টিস্যু কমে গেছে। যার ফলে তার ত্বক হাড়ের সঙ্গে লেগে আছে।
তার মা আনাদোলু এজেন্সিকে জানান, তাঁর ছেলে আলি দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, ফুসকুড়ি, ঘনঘন জ্বর, খিঁচুনি এবং তীব্র ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে ভুগছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তার ওজন এক কেজি কমে গেছে। দুধ নেই, ওষুধ নেই। প্রতিদিন পানিশূন্যতা ও অপুষ্টিতে তার জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। গাজার হাসপাতালের কয়েক ডজন শিশু একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি।
আলজাজিরা জানায়, ফিলিস্তিনের গাজা এখন আতঙ্ক, মৃত্যু ও দাফনের শহরে পরিণত হয়েছে। নারী-শিশুদের জন্য শহরটি এখন শঙ্কাজনক স্থানে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলার মুখে বাসিন্দারা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ জানিয়েছে, এই শহর এখন শিশুদের জন্য অসম্ভব আতঙ্কের।
সর্বশেষ হামলায় শহরের বিভিন্ন স্থানে সাত শিশু নিহত হয়েছে। বাসিন্দারা জেইতুন, সাবরা, তুফাহ এবং শেজাইয়ায় ভারী বোমাবর্ষণের খবর পেয়েছেন। গাজা শহরের চারটি বড় ভবন ধ্বংস হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা গাজা শহরের ৪০ শতাংশ ভূখ- দখল করেছি। হামাসের শাসন ভেঙে ফেলে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে চাই।’
গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার বাহিনীর হামলায় অন্তত ১১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শুক্রবার ৫০ জন নিহত হয়। গত ২৩ মাসে হামলায় নিহতদের অন্তত ৩০ শতাংশ শিশু। প্রতিদিন গড়ে ২৮ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৪ হাজার ২৩১ জন নিহত ও এক লাখ ৬১ হাজার ৫৮৩ জন আহত হয়েছে।
সাত শিশুকে হারিয়ে ‘হৃদয়’ বিগলিত গাজাবাসীর: বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ইসরায়েল গাজা শহরের বেশ কয়েকটি অস্থায়ী তাঁবু, অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক এবং আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাত শিশুও রয়েছে। হামলায় মাহা আফানার ছেলে-মেয়ে দুজনেরই প্রাণ গেছে। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি আমার ছেলের খোঁজ করতে গিয়ে দেখি, সে পড়ে আছে, তার নাক দিয়ে ও মাথার পেছন থেকে রক্ত ??ঝরছে। তারপর আমি আমার দ্বিতীয় সন্তান– আমার মেয়ে নূরকে দেখতে পাই। তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত রক্তে ভেজা ছিল।’
‘নরকের দরজা খুলে যাচ্ছে’ : ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, গাজায় ‘নরকের দরজা’ খুলে যাচ্ছে। কারণ সেনাবাহিনী গাজা শহরের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে প্রধান উঁচু টাওয়ার ধ্বংস করেছে। ভবনটির নাম মুশতাহা টাওয়ার। শহরের পশ্চিম দিকে অবস্থিত এটি ১২ তলা ভবন। তারা ঘোষণা করেছে, অভিযান তীব্রতর করার পাশাপাশি আরও বহুতল ভবন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হবে। কাটজের মন্তব্য গাজা সিটিতে বোমাবর্ষণ অভিযানের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত ভয়াবহ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। কারণ মারাত্মক বিমান হামলার নতুন পর্যায় শুরু হয়েছে, যা মূলত গাজা সিটির উঁচু টাওয়ারগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাবে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এরকম শত শত ভবন রয়েছে।
তিন ফিলিস্তিনি সংস্থার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ দেওয়ায় তিন ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গাজা যুদ্ধ ও ইসরায়েলের দখলদারির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) তদন্তে সহযোগিতা করার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা। সংস্থাগুলো হলো– রামাল্লাভিত্তিক আল-হক, গাজা নগরভিত্তিক প্যালেস্টিনিয়ান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস (পিসিএইচআর) ও আল-মিজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস। বৃহস্পতিবার মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় সংস্থাগুলোর নাম যুক্ত করা হয়।
এদিক, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পশ্চিম গাজা শহরের একটি বহুতল আবাসিক ভবনে বোমা হামলা চালিয়ে এটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ‘মুশতা টাওয়ার’ নামে ভবনটি উপত্যকার সবচেয়ে উঁচু হিসেবে পরিচিত, যেখানে শত শত বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ভবনটিতে বেশ কয়েকবার আঘাত হানে ইসরায়েলি বোমা, যার ফলে মুহুর্তের মধ্যেই এটি মাটিতে ধসে পড়ে এবং এলাকাজুড়ে ধোঁয়া ও ধূলার বিরাট কু-লী দেখা যায়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ভবনটিতে হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, ভবনটির বেজমেন্টে হামাসের অবকাঠামো ছিল। এ কারণে এটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। তবে মুশতা টাওয়ারের ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষ ইসরায়েলের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে: ‘ভবনটি কোনও সামরিক বা নিরাপত্তা স্থাপনা ছিল না এবং এটি কেবল বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। ভবনটির সমস্ত মেঝে উন্মুক্ত ছিল, কোনও হালকা বা ভারী অস্ত্র ছিল না।
এদিকে, ভবনটির বাসিন্দারাও ইসরায়েলি দাবিতে হতবাক হয়েছেন। মুশতা টাওয়ারের বাসিন্দা ওবাদাহ সাইফুদ্দিন বলেন, ‘আমার আর কোন বাড়ি নেই। আমাদের চোখের সামনেই যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে, আমাদের অপরাধ কী?” আরেক বাসিন্দা নিদাল আবু আলী বলেন, ‘ আমাদের বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর আমি আমার পরিবারের সবাইকে নিয়ে টাওয়ারে আশ্রয় নিয়েছিলাম, কিন্তু ইসরায়েল গাজায় কোনও নিরাপদ স্থান রাখেনি।’