সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে তরুণদের বিক্ষোভে রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় নেপালি কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট শের বাহাদুর দেউবার বাসভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির বাসভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ‘দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট’ জানিয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত এক মন্ত্রী জানান, বিক্ষোভে ১৯ জন নিহত ও অন্তত ৪০০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় নৈতিক দায় স্বীকার করেই পদত্যাগ করেছেন রমেশ লেখক। তিনি ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে রমেশ লেখক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আজকের বিক্ষোভে বহু প্রাণহানি ঘটেছে। তার নৈতিক দায় আমারই। নৈতিকতার খাতিরে আমি পদে থাকতে চাই না।”
ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্সসহ বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার পর থেকেই নেপালে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পরবর্তীতে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা মোটরসাইকেলে আগুন দেয়, ব্যারিকেড ভাঙে এবং পার্লামেন্ট ভবনের দিকে অগ্রসর হয়।
কাঠমান্ডুর সিভিল হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা রঞ্জনা নেপাল জানান, আহতদের ভিড়ে জরুরি বিভাগে চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সহিংসতার জেরে সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতির বাসভবন ও সিংহদরবারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে তরুণদের বিক্ষোভে রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক পদত্যাগ করেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় নেপালি কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট শের বাহাদুর দেউবার বাসভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির বাসভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম ‘দ্য কাঠমান্ডু পোস্ট’ জানিয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত এক মন্ত্রী জানান, বিক্ষোভে ১৯ জন নিহত ও অন্তত ৪০০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় নৈতিক দায় স্বীকার করেই পদত্যাগ করেছেন রমেশ লেখক। তিনি ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে রমেশ লেখক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আজকের বিক্ষোভে বহু প্রাণহানি ঘটেছে। তার নৈতিক দায় আমারই। নৈতিকতার খাতিরে আমি পদে থাকতে চাই না।”
ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্সসহ বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার পর থেকেই নেপালে বিক্ষোভ শুরু হয়, যা পরবর্তীতে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা মোটরসাইকেলে আগুন দেয়, ব্যারিকেড ভাঙে এবং পার্লামেন্ট ভবনের দিকে অগ্রসর হয়।
কাঠমান্ডুর সিভিল হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা রঞ্জনা নেপাল জানান, আহতদের ভিড়ে জরুরি বিভাগে চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সহিংসতার জেরে সংসদ ভবন, রাষ্ট্রপতির বাসভবন ও সিংহদরবারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।