নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। রাজধানী কাঠমান্ডুর রাস্তায় নামা তরুণদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত শহরে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন নেপাল সরকার ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। এর মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্স, রেডিট, লিংকডইন, পিনটারেস্ট ও সিগন্যালের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। শুধু টিকটকসহ পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম বিধিনিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে, কারণ তারা সরকারের নতুন নিয়ম মেনে নিবন্ধন করেছে। আদালতের আদেশে দেওয়া সাত দিনের সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন না করায় অন্যগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়।
ছবি: গেটি ইমেজেসনিষেধাজ্ঞার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধে। ব্যবসা ও পর্যটন খাতের ক্ষতি, প্রবাসে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ তীব্র হয়। অনলাইনে #NepoKid এবং #NepoBabies হ্যাশট্যাগে ক্ষোভ ঝরাতে থাকা তরুণেরা সোমবার কাঠমান্ডুর রাজপথে সমবেত হন।
ছবি: গেটি ইমেজেস‘হামি নেপাল’ নামে একটি সংগঠন বিক্ষোভের আয়োজন করে। আয়োজকেরা শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম পরে ও বই হাতে অংশ নিতে আহ্বান জানান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই বিক্ষোভের রুট ও নিরাপত্তা নির্দেশনা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয় যখন বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনের দিকে এগিয়ে যেতে চান। পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস, জলকামান ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ব্যারিকেড ভাঙে।
ছবি: গেটি ইমেজেসকাঠমান্ডুর সিভিল হাসপাতাল জানায়, আহত বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে জরুরি বিভাগে চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরকার বলছে, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, ভুয়া খবর ও সাইবার অপরাধ ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ। তবে নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসহ বিভিন্ন সংগঠন সতর্ক করেছে, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বিপজ্জনক নজির।
প্রধানমন্ত্রী অলি সমালোচকদের উদ্দেশে বলেছেন, “দেশকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা সহ্য করা হবে না। কিছু ব্যক্তির কাজ হারানোর চেয়ে দেশের স্বাধীনতা বড়।”
তবে সমালোচকেরা মনে করছেন, নেপালের গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গুরুতর হুমকির মুখে পড়ছে। এর আগে ২০২৩ সালে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগে নয় মাস টিকটক নিষিদ্ধ ছিল। পরে নিবন্ধন সম্পন্ন করলে তাদের কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়।
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ভয়াবহ সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। রাজধানী কাঠমান্ডুর রাস্তায় নামা তরুণদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ৭০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত শহরে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন নেপাল সরকার ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মেসেজিং অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। এর মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্স, রেডিট, লিংকডইন, পিনটারেস্ট ও সিগন্যালের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। শুধু টিকটকসহ পাঁচটি প্ল্যাটফর্ম বিধিনিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে, কারণ তারা সরকারের নতুন নিয়ম মেনে নিবন্ধন করেছে। আদালতের আদেশে দেওয়া সাত দিনের সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন না করায় অন্যগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়।
ছবি: গেটি ইমেজেসনিষেধাজ্ঞার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধে। ব্যবসা ও পর্যটন খাতের ক্ষতি, প্রবাসে থাকা স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদ তীব্র হয়। অনলাইনে #NepoKid এবং #NepoBabies হ্যাশট্যাগে ক্ষোভ ঝরাতে থাকা তরুণেরা সোমবার কাঠমান্ডুর রাজপথে সমবেত হন।
ছবি: গেটি ইমেজেস‘হামি নেপাল’ নামে একটি সংগঠন বিক্ষোভের আয়োজন করে। আয়োজকেরা শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্ম পরে ও বই হাতে অংশ নিতে আহ্বান জানান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই বিক্ষোভের রুট ও নিরাপত্তা নির্দেশনা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রথমে শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয় যখন বিক্ষোভকারীরা পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনের দিকে এগিয়ে যেতে চান। পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস, জলকামান ও রাবার বুলেট ব্যবহার করে। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ব্যারিকেড ভাঙে।
ছবি: গেটি ইমেজেসকাঠমান্ডুর সিভিল হাসপাতাল জানায়, আহত বিক্ষোভকারীদের ভিড়ে জরুরি বিভাগে চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরকার বলছে, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, ভুয়া খবর ও সাইবার অপরাধ ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ। তবে নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক মহল একে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে। কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসহ বিভিন্ন সংগঠন সতর্ক করেছে, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য বিপজ্জনক নজির।
প্রধানমন্ত্রী অলি সমালোচকদের উদ্দেশে বলেছেন, “দেশকে ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা সহ্য করা হবে না। কিছু ব্যক্তির কাজ হারানোর চেয়ে দেশের স্বাধীনতা বড়।”
তবে সমালোচকেরা মনে করছেন, নেপালের গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা গুরুতর হুমকির মুখে পড়ছে। এর আগে ২০২৩ সালে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের অভিযোগে নয় মাস টিকটক নিষিদ্ধ ছিল। পরে নিবন্ধন সম্পন্ন করলে তাদের কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়।