বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগ
টানা দুই দিনের বিক্ষোভ আর সহিংসতার মধ্যে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তার পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কয়েকটি সোশাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে দুদিন আগে কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভের সূচনা করেছিল একেবারে তরুণ ‘জেন-জি’ প্রজন্ম। আর সেই বিক্ষোভও প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য করলো।
ওলির পথ ধরে প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পুডেলও পদত্যাগ করতে পারেন বলে একাধিক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
নেপালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী প্রধান আর রাষ্ট্রপতি সরকার প্রধান। তাই রাষ্ট্রপতি পদত্যাগেই সরকারের পতন ঘটবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের পর নেপালেও প্রবল গণবিক্ষোভে সরকারপতনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হল।
কাঠমান্ডু পোস্ট লিখেছে, দৃঢ়চেতা অবস্থান ও জাতীয়তাবাদী নীতির জন্য পরিচিত কেপি শর্মা ওলি। তিনি স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় বসেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত অস্থিরতা এবং কর্তৃত্ববাদী চর্চার অভিযোগ নিয়ে দায়িত্ব ছাড়লেন।
নিবন্ধনহীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়ায় রাগান্বিত জেন-জি বিক্ষোভকারীরা সোমবার কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায়। তারা দুর্নীতি এবং ব্যবস্থার সংকট নিয়েও প্রশ্ন তুলে।
বিক্ষোভ পরে সহিংসতায় রূপ নেয়। পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থীসহ ১৯ জন প্রাণ হারান। আর তারপরই আন্দোলন সরকারবিরোধী রূপ নেয়। সরকার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুললেও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ মূল দাবিতে পরিণত হয়। বিভিন্ন দল এমনকি ওলির মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যও এই দাবিতে সংহতি জানান।
এর আগে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা নেপালের পার্লামেন্ট ভবন ও একাধিক রাজনীতিকের বাড়িতে ও দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেয়। বিক্ষোভ কাঠমান্ডু এবং বড় বড় শহরের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছিল।
বিক্ষোভকারীরা একের পর এক মন্ত্রী ও রাজনীতিকের বাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর শুরু করলে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সেনাবাহিনী সব মন্ত্রী ও বড় বড় দলের শীর্ষ নেতাদের তাদের বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট থেকে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া শুরু করে। তাদেরকে অজ্ঞাত সেনাঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার জেন-জি বিক্ষোভকারীরা নেপালের সচিবালয় সিংহ দুর্বার প্রাঙ্গণেও ঢুকে পড়ে।
নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে গত বছরের জুলাইয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন কমিউনিস্ট নেতা ওলি। এর আগে ২০১৫-১৬, ২০১৮-২১ ও পরে ২০২১ সালে একবার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
বিক্ষোভের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগ
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
টানা দুই দিনের বিক্ষোভ আর সহিংসতার মধ্যে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তার পদত্যাগের খবর নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
কয়েকটি সোশাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে দুদিন আগে কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভের সূচনা করেছিল একেবারে তরুণ ‘জেন-জি’ প্রজন্ম। আর সেই বিক্ষোভও প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য করলো।
ওলির পথ ধরে প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পুডেলও পদত্যাগ করতে পারেন বলে একাধিক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
নেপালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী প্রধান আর রাষ্ট্রপতি সরকার প্রধান। তাই রাষ্ট্রপতি পদত্যাগেই সরকারের পতন ঘটবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের পর নেপালেও প্রবল গণবিক্ষোভে সরকারপতনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হল।
কাঠমান্ডু পোস্ট লিখেছে, দৃঢ়চেতা অবস্থান ও জাতীয়তাবাদী নীতির জন্য পরিচিত কেপি শর্মা ওলি। তিনি স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় বসেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত অস্থিরতা এবং কর্তৃত্ববাদী চর্চার অভিযোগ নিয়ে দায়িত্ব ছাড়লেন।
নিবন্ধনহীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়ায় রাগান্বিত জেন-জি বিক্ষোভকারীরা সোমবার কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায়। তারা দুর্নীতি এবং ব্যবস্থার সংকট নিয়েও প্রশ্ন তুলে।
বিক্ষোভ পরে সহিংসতায় রূপ নেয়। পুলিশের গুলিতে শিক্ষার্থীসহ ১৯ জন প্রাণ হারান। আর তারপরই আন্দোলন সরকারবিরোধী রূপ নেয়। সরকার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুললেও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ মূল দাবিতে পরিণত হয়। বিভিন্ন দল এমনকি ওলির মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যও এই দাবিতে সংহতি জানান।
এর আগে মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীরা নেপালের পার্লামেন্ট ভবন ও একাধিক রাজনীতিকের বাড়িতে ও দলীয় কার্যালয়ে আগুন দেয়। বিক্ষোভ কাঠমান্ডু এবং বড় বড় শহরের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছিল।
বিক্ষোভকারীরা একের পর এক মন্ত্রী ও রাজনীতিকের বাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর শুরু করলে মঙ্গলবার দুপুর থেকে সেনাবাহিনী সব মন্ত্রী ও বড় বড় দলের শীর্ষ নেতাদের তাদের বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট থেকে হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া শুরু করে। তাদেরকে অজ্ঞাত সেনাঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার জেন-জি বিক্ষোভকারীরা নেপালের সচিবালয় সিংহ দুর্বার প্রাঙ্গণেও ঢুকে পড়ে।
নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে গত বছরের জুলাইয়ে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন কমিউনিস্ট নেতা ওলি। এর আগে ২০১৫-১৬, ২০১৮-২১ ও পরে ২০২১ সালে একবার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।