ভারতের নতুন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন তামিলনাড়ুর বিজেপির সাবেক সভাপতি চন্দ্রপুরাম পোন্নুসামি রাধাকৃষ্ণান। শুক্রবার সকালে নয়া দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাকে শপথ পড়ান।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সদ্য বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, সাবেক উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, সাবেক রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকারি, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কার সিং ধামিসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ ও এনডিএ জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এনডিএ সমর্থিত প্রার্থী রাধাকৃষ্ণান বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডিকে ৪৫২-৩০০ ভোটে পরাজিত করেন। মোট ৭৮৭ জন এমপির মধ্যে ভোট দেন ৭৬৭ জন। তার মধ্যে ১৫টি ভোট বাতিল হয়। কাগজে-কলমে এনডিএর ভোট ছিল ৪২৭, তবে যুবজনা শ্রমিকা রিথু কংগ্রেস পার্টির ১১ জন আইনপ্রণেতা রাধাকৃষ্ণানকে সমর্থন দেন। এর বাইরে বিরোধী শিবির থেকেও তিনি আরও ১৪টি ভোট পান, যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাধাকৃষ্ণানের এই জয় অনেকটা অনুমিতই ছিল। তবে বিরোধী শিবির থেকে ভোট ফাঁস হওয়ায় এখন নিজেদের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস বাড়ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এর আগে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছর আগেই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান জগদীপ ধনখড়। তবে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, সরকারের সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি।
১৯৫৭ সালে তামিলনাড়ুতে জন্ম নেওয়া সিপি রাধাকৃষ্ণান কৈশোরেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস) যোগ দেন। পরে তিনি বিজেপির শীর্ষ পর্যায়ে উঠে আসেন এবং দীর্ঘদিন রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কোইমবাতোর আসন থেকে ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে লোকসভার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে তিনি মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও তেলেঙ্গানার গভর্নর এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারতের দ্বিতীয় শীর্ষ সাংবিধানিক পদধারী হিসেবে তিনি এখন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করবেন।
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভারতের নতুন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন তামিলনাড়ুর বিজেপির সাবেক সভাপতি চন্দ্রপুরাম পোন্নুসামি রাধাকৃষ্ণান। শুক্রবার সকালে নয়া দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তাকে শপথ পড়ান।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সদ্য বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, সাবেক উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, সাবেক রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকারি, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কার সিং ধামিসহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদ ও এনডিএ জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এনডিএ সমর্থিত প্রার্থী রাধাকৃষ্ণান বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের প্রার্থী সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি বি সুদর্শন রেড্ডিকে ৪৫২-৩০০ ভোটে পরাজিত করেন। মোট ৭৮৭ জন এমপির মধ্যে ভোট দেন ৭৬৭ জন। তার মধ্যে ১৫টি ভোট বাতিল হয়। কাগজে-কলমে এনডিএর ভোট ছিল ৪২৭, তবে যুবজনা শ্রমিকা রিথু কংগ্রেস পার্টির ১১ জন আইনপ্রণেতা রাধাকৃষ্ণানকে সমর্থন দেন। এর বাইরে বিরোধী শিবির থেকেও তিনি আরও ১৪টি ভোট পান, যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে।
রাধাকৃষ্ণানের এই জয় অনেকটা অনুমিতই ছিল। তবে বিরোধী শিবির থেকে ভোট ফাঁস হওয়ায় এখন নিজেদের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাস বাড়ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এর আগে স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই বছর আগেই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান জগদীপ ধনখড়। তবে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, সরকারের সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি।
১৯৫৭ সালে তামিলনাড়ুতে জন্ম নেওয়া সিপি রাধাকৃষ্ণান কৈশোরেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস) যোগ দেন। পরে তিনি বিজেপির শীর্ষ পর্যায়ে উঠে আসেন এবং দীর্ঘদিন রাজ্য সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কোইমবাতোর আসন থেকে ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে লোকসভার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে তিনি মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও তেলেঙ্গানার গভর্নর এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছেন। ভারতের দ্বিতীয় শীর্ষ সাংবিধানিক পদধারী হিসেবে তিনি এখন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করবেন।