ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে একটি রূপরেখা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এ উদ্যোগ পশ্চিম তীরকে কার্যত দ্বিখণ্ডিত করে দেবে এবং ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথ কার্যত অসম্ভব করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার, (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ জেরুজালেমের পূর্বে অবস্থিত ইসরায়েলি বসতি মা’আলে আদুমিমে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নেতানিয়াহু। সে সময় তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে যাচ্ছি যে ফিলিস্তিন বলে কোনো রাষ্ট্র থাকবে না। এই ভূমি আমাদেরই।’
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘আমরা এই শহরের জনসংখ্যা দ্বিগুণ করব।’
জেরুজালেমের পূর্বে প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় অবস্থিত এ বসতি ‘ইস্ট ১’ বা ‘ই ওয়ান’ নামে পরিচিত।
উন্নয়ন পরিকল্পনাটির আওতায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের জন্য নতুন করে ৩ হাজার ৪০০ নতুন বাড়ি নির্মাণের কথা আছে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে ওই এলাকায় ছড়িয়ে থাকা হাজারো ইসরায়েলি বসতির মধ্যে সংযোগ তৈরি হবে। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে পশ্চিম তীরের বড় অংশ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনিদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। শহরটিকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন তাঁরা।
১৯৬৭ সাল থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে গড়ে ওঠা ইসরায়েলি সব বসতিকেই আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় অবৈধ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
জর্ডানের রাজধানী আম্মান থেকে আল–জাজিরার প্রতিনিধি হামদাহ সালহুত বলেন, আল–জাজিরার জন্য পশ্চিম তীর ও ইসরায়েল থেকে সংবাদ সংগ্রহ নিষিদ্ধ করেছে ইসরায়েল। তিনি আরও বলেন, ওই সম্প্রসারণ পরিকল্পনা অত্যন্ত বিতর্কিত। কারণ, এর ফলে পশ্চিম তীরের সঙ্গে পূর্ব জেরুজালেমের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এ ছাড়া এর কারণে ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের যেকোনো সম্ভাবনা ভেস্তে যাবে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ শুক্রবার বলেছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনই এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি। তিনি মনে করেন, দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান ‘অনিবার্য’।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন রুদেইনাহ। তিনি অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহু ‘পুরো অঞ্চলকে বিপদের দিকে ঠেলছেন’। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের ১৪৯টি সদস্যদেশ ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যারা এখনো স্বীকৃতি দেয়নি, তাদের অবিলম্বে তা করার আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অধিকৃত পশ্চিম তীরে একটি বসতি সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি প্রকল্পটি বাস্তবায়নে একটি রূপরেখা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
এ উদ্যোগ পশ্চিম তীরকে কার্যত দ্বিখণ্ডিত করে দেবে এবং ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পথ কার্যত অসম্ভব করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার, (১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ জেরুজালেমের পূর্বে অবস্থিত ইসরায়েলি বসতি মা’আলে আদুমিমে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নেতানিয়াহু। সে সময় তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে যাচ্ছি যে ফিলিস্তিন বলে কোনো রাষ্ট্র থাকবে না। এই ভূমি আমাদেরই।’
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘আমরা এই শহরের জনসংখ্যা দ্বিগুণ করব।’
জেরুজালেমের পূর্বে প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকায় অবস্থিত এ বসতি ‘ইস্ট ১’ বা ‘ই ওয়ান’ নামে পরিচিত।
উন্নয়ন পরিকল্পনাটির আওতায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের জন্য নতুন করে ৩ হাজার ৪০০ নতুন বাড়ি নির্মাণের কথা আছে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে ওই এলাকায় ছড়িয়ে থাকা হাজারো ইসরায়েলি বসতির মধ্যে সংযোগ তৈরি হবে। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে পশ্চিম তীরের বড় অংশ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনিদের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। শহরটিকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করেন তাঁরা।
১৯৬৭ সাল থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে গড়ে ওঠা ইসরায়েলি সব বসতিকেই আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় অবৈধ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
জর্ডানের রাজধানী আম্মান থেকে আল–জাজিরার প্রতিনিধি হামদাহ সালহুত বলেন, আল–জাজিরার জন্য পশ্চিম তীর ও ইসরায়েল থেকে সংবাদ সংগ্রহ নিষিদ্ধ করেছে ইসরায়েল। তিনি আরও বলেন, ওই সম্প্রসারণ পরিকল্পনা অত্যন্ত বিতর্কিত। কারণ, এর ফলে পশ্চিম তীরের সঙ্গে পূর্ব জেরুজালেমের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এ ছাড়া এর কারণে ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের যেকোনো সম্ভাবনা ভেস্তে যাবে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনাহ শুক্রবার বলেছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনই এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি। তিনি মনে করেন, দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান ‘অনিবার্য’।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন রুদেইনাহ। তিনি অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহু ‘পুরো অঞ্চলকে বিপদের দিকে ঠেলছেন’। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের ১৪৯টি সদস্যদেশ ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যারা এখনো স্বীকৃতি দেয়নি, তাদের অবিলম্বে তা করার আহ্বান জানান তিনি।