নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকি ফাইল ছবি: রয়টার্স
নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। শুক্রবার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয় এবং রাতেই তিনি শপথ নেন।
৭৩ বছর বয়সী কারকি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতির জন্য তিনি আলোচিত ছিলেন। রাজনৈতিক অতীত না থাকায় আন্দোলনরত তরুণদের মধ্যে তাঁর নাম গ্রহণযোগ্যতা পায়।
প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের মুখে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন। প্রথম দিনের সংঘর্ষেই ১৯ জন নিহত হন। পরবর্তী কয়েক দিনে সহিংসতায় মোট ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপাল পুলিশ। আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৩০০ জন।
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবন, মন্ত্রীদের বাসভবনসহ নানা স্থানে আগুন দেয়। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পর নেপালের বিভিন্ন কারাগারেও বিদ্রোহ শুরু হয়। এ সময় প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ কয়েদি পালিয়ে যায়, যাদের মধ্যে ১২ হাজারের বেশি এখনো পলাতক।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নেয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী রাজনৈতিক সমাধান খোঁজে। এর অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হন সুশীলা কারকি।
বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের পর বর্তমান পার্লামেন্ট ভেঙে নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবেন।
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকি ফাইল ছবি: রয়টার্স
শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নেপালের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। শুক্রবার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয় এবং রাতেই তিনি শপথ নেন।
৭৩ বছর বয়সী কারকি নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন। বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতির জন্য তিনি আলোচিত ছিলেন। রাজনৈতিক অতীত না থাকায় আন্দোলনরত তরুণদের মধ্যে তাঁর নাম গ্রহণযোগ্যতা পায়।
প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের মুখে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন। প্রথম দিনের সংঘর্ষেই ১৯ জন নিহত হন। পরবর্তী কয়েক দিনে সহিংসতায় মোট ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপাল পুলিশ। আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৩০০ জন।
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবন, মন্ত্রীদের বাসভবনসহ নানা স্থানে আগুন দেয়। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পর নেপালের বিভিন্ন কারাগারেও বিদ্রোহ শুরু হয়। এ সময় প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ কয়েদি পালিয়ে যায়, যাদের মধ্যে ১২ হাজারের বেশি এখনো পলাতক।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নেয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী রাজনৈতিক সমাধান খোঁজে। এর অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হন সুশীলা কারকি।
বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা গ্রহণের পর বর্তমান পার্লামেন্ট ভেঙে নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করবেন।