নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগামী ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি শপথ নেন। এরপরই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি। সেই ভিত্তিতেই নির্বাচন ঘোষণা আসে।
শপথ নিয়ে নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন সুশীলা কার্কি। তিনি ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সততা, ন্যায়বিচার ও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের জন্য পরিচিত কার্কি বিচারপতি থাকাকালে ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে জেলে পাঠানো থেকে শুরু করে সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়াতেও পিছপা হননি। যদিও তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, পরে জনমতের চাপে তা ভেস্তে যায়।
কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত আসে রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল এবং জেন-জি আন্দোলনকারীদের আলোচনার ভিত্তিতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের টানা তিন দিনের বিক্ষোভে কেপি শর্মা ওলি সরকারের পতনের পর এ পরিবর্তন ঘটে।
৭২ বছর বয়সী কার্কি এখন নেপালের রাজনৈতিক সংকটময় সময়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আগামী মার্চের নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার গুরুদায়িত্ব তার কাঁধে পড়েছে।
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগামী ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল। শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি শপথ নেন। এরপরই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন তিনি। সেই ভিত্তিতেই নির্বাচন ঘোষণা আসে।
শপথ নিয়ে নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন সুশীলা কার্কি। তিনি ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সততা, ন্যায়বিচার ও দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের জন্য পরিচিত কার্কি বিচারপতি থাকাকালে ক্ষমতাসীন মন্ত্রীকে জেলে পাঠানো থেকে শুরু করে সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়াতেও পিছপা হননি। যদিও তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, পরে জনমতের চাপে তা ভেস্তে যায়।
কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত আসে রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল এবং জেন-জি আন্দোলনকারীদের আলোচনার ভিত্তিতে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের টানা তিন দিনের বিক্ষোভে কেপি শর্মা ওলি সরকারের পতনের পর এ পরিবর্তন ঘটে।
৭২ বছর বয়সী কার্কি এখন নেপালের রাজনৈতিক সংকটময় সময়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আগামী মার্চের নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার গুরুদায়িত্ব তার কাঁধে পড়েছে।