নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে নেপালে চলমান রাজনৈতিক সংকটের আপাত সমাধান হলো বলে আশা করা হচ্ছে।
সুশীলা কারকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন। তাঁর সঙ্গে তিন সদস্যের একটি মন্ত্রিপরিষদ দায়িত্ব পালন করবে বলে নেপালভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান টাইমস জানিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারা নতুন সরকারের মন্ত্রী হবেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীরা শপথ গ্রহণের আগপর্যন্ত সুশীলাই সব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার কিছুক্ষণ পর পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করেছেন সুশীলা কারকি।
তরুণদের বিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করার পর দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট চলছিল। সংকট সমাধানে বিক্ষোভকারী তরুণদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল ও সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল। শনিবার, (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) আলোচনায় মতৈক্য হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কারকির নাম ঘোষণা করে প্রেসিডেন্টের দপ্তর। বলা হয়, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সংবিধান সমুন্নত রাখতে এবং জাতীয় ঐক্য এগিয়ে নিতে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুশীলা কারকিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পাওদেল।
এরপর গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত নয়টার পরে নেপালের রাষ্ট্রপতির বাসভবন শীতল নিবাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুশীলা। প্রেসিডেন্ট পাওদেল তাঁকে শপথ পড়ান। ওই অনুষ্ঠানে নেপালের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা ও বিদেশি কূটনীতিকেরা অংশ নেন।
৭৩ বছর বয়সী সুশীলা হিমালয় কন্যাখ্যাত দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন। দেশটির প্রথম প্রধান নারী বিচারপতিও ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় এক বছর তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণু’ অবস্থান নিয়ে আলোচিত ছিলেন তিনি। ওই অবস্থানের কারণেই এখন সরকার প্রধান হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন বিক্ষোভকারী তরুণেরা।
গত মঙ্গলবার কে পি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল ‘হামি নেপাল’ নামের একটি সংগঠন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সুশীলা শপথ নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সংগঠনটি এক পোস্টে লিখেছে, ‘আমরা এটা করে দেখিয়েছি।’ একই সঙ্গে তারা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, ‘যাঁরা এই মুহূর্তের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের জীবনকে সম্মান জানাও।’ সুশীলার শপথ গ্রহণের পর জেন-জি বিক্ষোভকারী অমৃতা বান বলেন, ‘এটি বিজয়ের মুহূর্তৃঅবশেষে ক্ষমতার শূন্যতা শেষ হয়েছে।’
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। গতকাল শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে নেপালে চলমান রাজনৈতিক সংকটের আপাত সমাধান হলো বলে আশা করা হচ্ছে।
সুশীলা কারকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিয়ে আগামী ছয় মাসের মধ্যে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন। তাঁর সঙ্গে তিন সদস্যের একটি মন্ত্রিপরিষদ দায়িত্ব পালন করবে বলে নেপালভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান টাইমস জানিয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারা নতুন সরকারের মন্ত্রী হবেন, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রীরা শপথ গ্রহণের আগপর্যন্ত সুশীলাই সব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার কিছুক্ষণ পর পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করেছেন সুশীলা কারকি।
তরুণদের বিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি পদত্যাগ করার পর দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট চলছিল। সংকট সমাধানে বিক্ষোভকারী তরুণদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওদেল ও সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল। শনিবার, (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) আলোচনায় মতৈক্য হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুশীলা কারকির নাম ঘোষণা করে প্রেসিডেন্টের দপ্তর। বলা হয়, রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে সংবিধান সমুন্নত রাখতে এবং জাতীয় ঐক্য এগিয়ে নিতে সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুশীলা কারকিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পাওদেল।
এরপর গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত নয়টার পরে নেপালের রাষ্ট্রপতির বাসভবন শীতল নিবাসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুশীলা। প্রেসিডেন্ট পাওদেল তাঁকে শপথ পড়ান। ওই অনুষ্ঠানে নেপালের ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি, সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা ও বিদেশি কূটনীতিকেরা অংশ নেন।
৭৩ বছর বয়সী সুশীলা হিমালয় কন্যাখ্যাত দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন। দেশটির প্রথম প্রধান নারী বিচারপতিও ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় এক বছর তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণু’ অবস্থান নিয়ে আলোচিত ছিলেন তিনি। ওই অবস্থানের কারণেই এখন সরকার প্রধান হিসেবে তাঁর নাম প্রস্তাব করেন বিক্ষোভকারী তরুণেরা।
গত মঙ্গলবার কে পি শর্মা অলির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল ‘হামি নেপাল’ নামের একটি সংগঠন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে সুশীলা শপথ নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে সংগঠনটি এক পোস্টে লিখেছে, ‘আমরা এটা করে দেখিয়েছি।’ একই সঙ্গে তারা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, ‘যাঁরা এই মুহূর্তের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাঁদের জীবনকে সম্মান জানাও।’ সুশীলার শপথ গ্রহণের পর জেন-জি বিক্ষোভকারী অমৃতা বান বলেন, ‘এটি বিজয়ের মুহূর্তৃঅবশেষে ক্ষমতার শূন্যতা শেষ হয়েছে।’