জেন জি’র দুই দিনের বিক্ষোভে নেপালের পর্যটন খাত চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ৮ থেকে ৯ সেপ্টেম্বরের এই আন্দোলনে হোটেল ভাঙচুর, যাতায়াত ব্যাহত হওয়া এবং ব্যাপক বুকিং বাতিলের কারণে আনুমানিক ২৫ বিলিয়ন বা ২,৫০০ কোটি রুপির ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) নেপালের ইংরেজি দৈনিক দ্য হিমালয়ান টাইমসের একটি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। পর্যটনের শীর্ষ মৌসুম শুরুর ঠিক আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকেরা শঙ্কিত হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী।
এদিকে, নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। দেশব্যাপী বহাল থাকা কারফিউ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে এ সুবাতাসের মধ্যেই নেপালের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউদেলের কাছে ভেঙে দেওয়া পার্লামেন্ট পুনর্বহালের জোর দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার বিবিসি এ খবর জানায়। নেপালি কংগ্রেস, সিপিএন-ইউএমএল ও মধ্যপন্থি মাওবাদীসহ প্রধান আটটি দল এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট অসাংবিধানিকভাবে কাজ করেছেন। নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশে গত শুক্রবার পাউদেল নেপালের প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেন। এটি আন্দোলনকারী জেন-জিদের অন্যতম দাবি ছিল। সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে গণবিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন অর্ধশতাধিক। পতন হয় কে পি শর্মা অলি সরকারের। বিক্ষোভকারী নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে গত শুক্রবার সুশীলা কার্কিকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শনিবার সংসদ পুনর্বহালের দাবিতে আটটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হুইপ সই করেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রেসিডেন্টের গৃহীত পদক্ষেপ অসাংবিধানিক। এটা নেপালের বিচার বিভাগের প্রতিষ্ঠিত নজিরেরও বিরুদ্ধে। দলগুলো বলছে, বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে আগামী ৫ মার্চ নতুন নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। এটা জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা হোক।
বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়, এতে যে সংকট থেকে সহজেই নেপালের উত্তরণ ঘটবে, এমনটা মনে করা কঠিন। তাঁর মন্ত্রিসভা একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। এর মধ্যে আছে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, পার্লামেন্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবন পুনর্র্নিমাণ, জেন-জি দাবি-দাওয়া। নেপালের একাংশের শঙ্কা, তাদের দেশে নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সাংবিধানিক শৃঙ্খলা লাইনচ্যুত হতে পারে।
হোটেল অ্যাসোসিয়েশন নেপালের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমপক্ষে দুই ডজনের বেশি হোটেল ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, রাজধানী কাঠমান্ডুর হিলটন হোটেল একাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতির পরিমাণ ৮ বিলিয়ন রুপিরও বেশি। শুধু কাঠমান্ডু নয়, পোখারা, ভৈরহাওয়া, বিরাটনগর এবং ধানগঢীসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই বড় ধরনের ধাক্কা সত্ত্বেও পর্যটন খাতের নীতিনির্ধারকেরা ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক রাজ জোশী বলেন, ‘পর্যটন খাত অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে। অতীতে ২০১৫ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্প কিংবা কোভিড-১৯ মহামারীর পরও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এবারও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।’ তিনি জানান যে, ইতিমধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে। অর্থনীতিবিদ ড. সামির খাতিওয়াড়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে, বিশ্ববাসীর কাছে নেপালের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে হবে। একইসঙ্গে দেশে আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং বর্তমানে নেপালে থাকা প্রায় ১৫ হাজার বিদেশি পর্যটকের নিরাপদ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
হোটেল অ্যাসোসিয়েশন নেপালের সভাপতি বিনায়ক শাহ মনে করেন যে, দেশের পর্যটন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে সব অংশীজনকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, ‘পর্যটন মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। এখনই সময় বিশ্বের কাছে নেপালের ইতিবাচক বার্তা পাঠানোর।’ ট্রেকিং এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল এবং মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনসহ অন্যান্য পর্যটন সংগঠনও ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। তাদের মতে, পর্যটকদের আস্থা ফিরিয়ে আনা ছাড়া দ্রুত পুনরুজ্জীবন সম্ভব নয়।
পাহাড়-পর্বত, হিমালয় ট্রেকিং, বৌদ্ধ ও হিন্দু ঐতিহ্য—সব মিলিয়ে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক নেপালে ভিড় করেন। এই খাত দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
শীর্ষ মৌসুম শুরুর ঠিক আগে এই বিপর্যয় দেশটির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এখন সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ, উদ্যোক্তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক প্রচারণার ওপরই নেপালের পর্যটন খাতের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
নেপালে সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার পর আগামী ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার দেশটির বিভিন্ন এলাকা থেকে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। সড়কে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের টহল থাকলেও কড়াকড়ি নেই। পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে। আলজাজিরা জানায়, কাঠমান্ডুতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে প্রশাসন। তবে কিছু স্পর্শকাতর এলাকা এখনও সংরক্ষিত আছে। কারফিউ তুলে নেওয়ায় সড়কে লোকজনের উপস্থিতি বেড়েছে।
রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জেন জি’র দুই দিনের বিক্ষোভে নেপালের পর্যটন খাত চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। ৮ থেকে ৯ সেপ্টেম্বরের এই আন্দোলনে হোটেল ভাঙচুর, যাতায়াত ব্যাহত হওয়া এবং ব্যাপক বুকিং বাতিলের কারণে আনুমানিক ২৫ বিলিয়ন বা ২,৫০০ কোটি রুপির ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) নেপালের ইংরেজি দৈনিক দ্য হিমালয়ান টাইমসের একটি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। পর্যটনের শীর্ষ মৌসুম শুরুর ঠিক আগে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় উদ্যোক্তা ও নীতিনির্ধারকেরা শঙ্কিত হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী।
এদিকে, নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। দেশব্যাপী বহাল থাকা কারফিউ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তবে এ সুবাতাসের মধ্যেই নেপালের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো দেশটির প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউদেলের কাছে ভেঙে দেওয়া পার্লামেন্ট পুনর্বহালের জোর দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার বিবিসি এ খবর জানায়। নেপালি কংগ্রেস, সিপিএন-ইউএমএল ও মধ্যপন্থি মাওবাদীসহ প্রধান আটটি দল এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট অসাংবিধানিকভাবে কাজ করেছেন। নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সুপারিশে গত শুক্রবার পাউদেল নেপালের প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেন। এটি আন্দোলনকারী জেন-জিদের অন্যতম দাবি ছিল। সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে গণবিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন অর্ধশতাধিক। পতন হয় কে পি শর্মা অলি সরকারের। বিক্ষোভকারী নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে গত শুক্রবার সুশীলা কার্কিকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শনিবার সংসদ পুনর্বহালের দাবিতে আটটি রাজনৈতিক দলের প্রধান হুইপ সই করেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রেসিডেন্টের গৃহীত পদক্ষেপ অসাংবিধানিক। এটা নেপালের বিচার বিভাগের প্রতিষ্ঠিত নজিরেরও বিরুদ্ধে। দলগুলো বলছে, বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে আগামী ৫ মার্চ নতুন নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। এটা জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা হোক।
বিবিসির বিশ্লেষণে বলা হয়, এতে যে সংকট থেকে সহজেই নেপালের উত্তরণ ঘটবে, এমনটা মনে করা কঠিন। তাঁর মন্ত্রিসভা একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। এর মধ্যে আছে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, পার্লামেন্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবন পুনর্র্নিমাণ, জেন-জি দাবি-দাওয়া। নেপালের একাংশের শঙ্কা, তাদের দেশে নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও সাংবিধানিক শৃঙ্খলা লাইনচ্যুত হতে পারে।
হোটেল অ্যাসোসিয়েশন নেপালের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমপক্ষে দুই ডজনের বেশি হোটেল ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, রাজধানী কাঠমান্ডুর হিলটন হোটেল একাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রতিষ্ঠানটির ক্ষতির পরিমাণ ৮ বিলিয়ন রুপিরও বেশি। শুধু কাঠমান্ডু নয়, পোখারা, ভৈরহাওয়া, বিরাটনগর এবং ধানগঢীসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই বড় ধরনের ধাক্কা সত্ত্বেও পর্যটন খাতের নীতিনির্ধারকেরা ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী। নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক রাজ জোশী বলেন, ‘পর্যটন খাত অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াবে। অতীতে ২০১৫ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্প কিংবা কোভিড-১৯ মহামারীর পরও আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। এবারও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।’ তিনি জানান যে, ইতিমধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে। অর্থনীতিবিদ ড. সামির খাতিওয়াড়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে, বিশ্ববাসীর কাছে নেপালের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে হবে। একইসঙ্গে দেশে আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা এবং বর্তমানে নেপালে থাকা প্রায় ১৫ হাজার বিদেশি পর্যটকের নিরাপদ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
হোটেল অ্যাসোসিয়েশন নেপালের সভাপতি বিনায়ক শাহ মনে করেন যে, দেশের পর্যটন খাতকে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে সব অংশীজনকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, ‘পর্যটন মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। এখনই সময় বিশ্বের কাছে নেপালের ইতিবাচক বার্তা পাঠানোর।’ ট্রেকিং এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল এবং মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনসহ অন্যান্য পর্যটন সংগঠনও ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। তাদের মতে, পর্যটকদের আস্থা ফিরিয়ে আনা ছাড়া দ্রুত পুনরুজ্জীবন সম্ভব নয়।
পাহাড়-পর্বত, হিমালয় ট্রেকিং, বৌদ্ধ ও হিন্দু ঐতিহ্য—সব মিলিয়ে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক নেপালে ভিড় করেন। এই খাত দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
শীর্ষ মৌসুম শুরুর ঠিক আগে এই বিপর্যয় দেশটির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এখন সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ, উদ্যোক্তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক প্রচারণার ওপরই নেপালের পর্যটন খাতের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
নেপালে সুশীলা কার্কি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার পর আগামী ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এ অবস্থায় গতকাল শনিবার দেশটির বিভিন্ন এলাকা থেকে কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। সড়কে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের টহল থাকলেও কড়াকড়ি নেই। পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে। আলজাজিরা জানায়, কাঠমান্ডুতে চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে প্রশাসন। তবে কিছু স্পর্শকাতর এলাকা এখনও সংরক্ষিত আছে। কারফিউ তুলে নেওয়ায় সড়কে লোকজনের উপস্থিতি বেড়েছে।