ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জাতিসংঘের একটি তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে যুদ্ধ চলার পর এটিকে একটি ‘বৈশিষ্ট্য সূচক মুর্হূর্ত’ বলে বর্ণনা করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। বিবিসি জানিয়েছে, একটি নতুন প্রতিবেদনে জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সংজ্ঞায়িত পাঁচটি গণহত্যার মধ্যে চারটি সংঘটিত হয়েছে বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।
এগুলো হল একটি গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা, তাদের গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করা, ইচ্ছাকৃতভাবে গোষ্ঠীটিকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি তৈরি করা ও শিশু জন্মরোধ করা। ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলে তদন্তের জন্য জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশনের চেয়ারপারসন নাভি পিল্লাই মঙ্গলবার জাতিসংঘের তদন্তের এই ঘোষণাটি দিয়েছেন বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।
ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ইসরায়েলি নেতাদের উদ্ধৃতি, ইসরায়েলি বাহিনীর আচরণের ধরন গণহত্যার অভিপ্রায়ের প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকালে পিল্লাই বলেছেন, “আমরা প্রেসিডেন্টকে (ইজহাক হারজোগ), প্রধানমন্ত্রী (বেনিয়ামিন) নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে (ইয়োভ গালান্ট) তাদের বিবৃতির ও দেওয়া আদেশের ভিত্তিতে শনাক্ত করেছি।
“কারণ এই তিন ব্যক্তি রাষ্ট্রটির প্রতিনিধি আর আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রকেই দায়ী বলে ধরা হয়। তাই আমরা বলছি, ইসরায়েল রাষ্ট্র এই গণহত্যা সংঘটিত করেছে।”
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমিশন দেখেছে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দেওয়া বিবৃতির পাশাপাশি ‘পরিস্থিতিগত প্রমাণ’ও আছে যেগুলো গণহত্যা অভিপ্রায় খুঁজে পাওয়ার দিকে নিয়ে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “কমিশন সিদ্ধান্তে এসেছে যে ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ ও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর গাজা ভূখ-ের ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি অথবা আংশিকভাবে ধ্বংস করার গণহত্যার অভিপ্রায় আছে।”
জাতিসংঘের জেনিভা দপ্তরে নিয়োজিত ইসরায়েলি স্থায়ী প্রতিনিধি ড্যানিয়েল মেরন তদন্ত প্রতিবেদনটিতে যেসব তথ্য উঠে এসেছে সেগুলো প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেদনটিতে ‘কলঙ্কজনক’, ‘মিথ্যা’ ও একটি ‘মানহানিকর কটুক্তি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ ব্যক্তিকে হত্যা করে। আরও আড়াই শ জনের বেশি মানুষকে বন্দি করে ইসরায়েল থেকে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচার ও নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনও চলছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতিসংঘের একটি তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে যুদ্ধ চলার পর এটিকে একটি ‘বৈশিষ্ট্য সূচক মুর্হূর্ত’ বলে বর্ণনা করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। বিবিসি জানিয়েছে, একটি নতুন প্রতিবেদনে জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন জানিয়েছে, ২০২৩ সালে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে সংজ্ঞায়িত পাঁচটি গণহত্যার মধ্যে চারটি সংঘটিত হয়েছে বলে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।
এগুলো হল একটি গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা, তাদের গুরুতর শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করা, ইচ্ছাকৃতভাবে গোষ্ঠীটিকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে পরিস্থিতি তৈরি করা ও শিশু জন্মরোধ করা। ফিলিস্তিনের অধিকৃত অঞ্চলে তদন্তের জন্য জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশনের চেয়ারপারসন নাভি পিল্লাই মঙ্গলবার জাতিসংঘের তদন্তের এই ঘোষণাটি দিয়েছেন বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।
ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ইসরায়েলি নেতাদের উদ্ধৃতি, ইসরায়েলি বাহিনীর আচরণের ধরন গণহত্যার অভিপ্রায়ের প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকালে পিল্লাই বলেছেন, “আমরা প্রেসিডেন্টকে (ইজহাক হারজোগ), প্রধানমন্ত্রী (বেনিয়ামিন) নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে (ইয়োভ গালান্ট) তাদের বিবৃতির ও দেওয়া আদেশের ভিত্তিতে শনাক্ত করেছি।
“কারণ এই তিন ব্যক্তি রাষ্ট্রটির প্রতিনিধি আর আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রকেই দায়ী বলে ধরা হয়। তাই আমরা বলছি, ইসরায়েল রাষ্ট্র এই গণহত্যা সংঘটিত করেছে।”
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমিশন দেখেছে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দেওয়া বিবৃতির পাশাপাশি ‘পরিস্থিতিগত প্রমাণ’ও আছে যেগুলো গণহত্যা অভিপ্রায় খুঁজে পাওয়ার দিকে নিয়ে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “কমিশন সিদ্ধান্তে এসেছে যে ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ ও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর গাজা ভূখ-ের ফিলিস্তিনিদের পুরোপুরি অথবা আংশিকভাবে ধ্বংস করার গণহত্যার অভিপ্রায় আছে।”
জাতিসংঘের জেনিভা দপ্তরে নিয়োজিত ইসরায়েলি স্থায়ী প্রতিনিধি ড্যানিয়েল মেরন তদন্ত প্রতিবেদনটিতে যেসব তথ্য উঠে এসেছে সেগুলো প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবেদনটিতে ‘কলঙ্কজনক’, ‘মিথ্যা’ ও একটি ‘মানহানিকর কটুক্তি’ বলে উল্লেখ করেছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ ব্যক্তিকে হত্যা করে। আরও আড়াই শ জনের বেশি মানুষকে বন্দি করে ইসরায়েল থেকে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিশোধ নিতে ওই দিন থেকেই গাজায় নির্বিচার ও নৃশংস হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা এখনও চলছে।