গাজায় নতুন করে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। হামলা থেকে নিজেদের রক্ষায় আবার নিরাপদ স্থানের খোঁজে ছুটছেন গাজার বাসিন্দারা
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজা সিটিতে মঙ্গলবার শুরু হওয়া স্থল অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং আরও অনেক অপরাধের প্রমাণ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওদিকে, গাজায় ইসলায়েলের রাতভর ভারি বিমান হামলার পর সেখানকার পরিস্থিতিতে দ্রুত আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা “গাজা সিটির বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় বিশেষ ও জরুরি আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ” চায়।
বিবৃতিতে চলমান যুদ্ধ থামাতে আন্তর্জাতিক কূটনীতির ব্যর্থতাকে “সন্দেহজনক ও অন্যায্য” আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনাকে ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় বর্ণনা করেছে “বেসামরিকদের সরাসরি নিশানা করা, যা গাজা সিটিকে গণকবরে পরিণত করছে।”
ওদিকে, জেনিভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমি কেবল তাদের কথা চিন্তা করছি যারা নারী, অপুষ্টিতে ভোগা শিশু, চলাফেরায় অক্ষম মানুষ তাদের কথা। তারা যদি আবার এভাবে আক্রমণের শিকার হয় তাহলে তা কী দাঁড়াবে?
“তাই আমাকে বলতেই হচ্ছে যে, এর প্রতিক্রিয়ায় একটা কথাই বলা যায়, তা হচ্ছে এই হত্যাকা- বন্ধ করুন।”
তুর্ক আরও বলেন, “ফিলিস্তিনিরা, ইসরায়েলিরা সবাই শান্তির জন্য গলা ফাটাচ্ছে। প্রত্যেকেই এর শেষ চায়। আর আমরা যা দেখতে পাচ্ছি সেটি বাড়াবাড়ি, যেটি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
“আমি অকারণে গাজা ধ্বংস বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানাচ্ছি।”
তীব্র বিমান হামলার পর আবার স্থল অভিযান
সপ্তাহব্যাপী তীব্র বিমান হামলার পর গাজা সিটিতে স্থল অভিযানের মূল পর্যায় শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। রাতভর ভারি বোমা হামলা হওয়ার কথা জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার এই অভিযানের ঘোষণা দিয়ে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কার্টজ এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন ‘গাজা জ্বলছে।’ নগরীর ওপর আকাশ, সমুদ্র ও স্থল তিন দিক দিয়ে আক্রমণ চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বিকট বিস্ফোরণ দেখার কথা জানিয়েছেন। বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। তারা মঙ্গলবারের বোমা হামলাকে গাজায় দুইবছরের যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক বলে বর্ণনা করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এর কর্মকর্তারা বলেছেন, স্থলসেনারা গাজা সিটির
অনেক ভেতরে প্রবেশ করছে। কেন্দ্রস্থলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তারা। আগামী দিনগুলোতে সেনা সংখ্যা আরও বাড়বে।
গাজা সিটিতে ৩ হাজার হামাস যোদ্ধা রয়েছে বলে বিশ্বাস আইডিএফ এর। তাদেরকে মোকাবেলায় এই বাড়তি সেনা নামানো হবে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সকালের দিকে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন। এর নিহতদের বেশিরভাগই গাজা সিটির।
সেখানে ইসরায়েলের বিমান হামলা চলার পাশাপাশি কয়েকটি স্থানে ইসরায়েলি ট্যাংক ঢুকে পড়ার খবর জানিয়েছে বাসিন্দারা। তাদের অনেকেই পালিয়ে যাচ্ছেন, যদিও তাদের নিরাপদে যাওয়ার মতো কোনও জায়গা নেই।
গাজার সবচেয়ে বড় এই শহরে এখনো কয়েক লাখ বাসিন্দা অবস্থান করছেন, যেখানে ইতোমধ্যে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে অভিযানটি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, গাজা সিটি হামাসের শেষ কয়েকটি শক্ত ঘাঁটির একটি।
ইসরায়েল নতুন করে গাজা সিটির বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ফিলিস্তিনিরা দক্ষিণ এবং পশ্চিমের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে যতদিন প্রয়োজন ততদিন সেনারা গাজা সিটিতে অভিযান চালাবে।
তিনি আরও বলেন, সেনারা অভিযান দ্রুত শেষ করতে চায় এবং জিম্মি ও বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
গাজায় নতুন করে স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। হামলা থেকে নিজেদের রক্ষায় আবার নিরাপদ স্থানের খোঁজে ছুটছেন গাজার বাসিন্দারা
মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক ইসরায়েলকে অবিলম্বে গাজা সিটিতে মঙ্গলবার শুরু হওয়া স্থল অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং আরও অনেক অপরাধের প্রমাণ বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওদিকে, গাজায় ইসলায়েলের রাতভর ভারি বিমান হামলার পর সেখানকার পরিস্থিতিতে দ্রুত আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা “গাজা সিটির বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় বিশেষ ও জরুরি আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ” চায়।
বিবৃতিতে চলমান যুদ্ধ থামাতে আন্তর্জাতিক কূটনীতির ব্যর্থতাকে “সন্দেহজনক ও অন্যায্য” আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনাকে ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় বর্ণনা করেছে “বেসামরিকদের সরাসরি নিশানা করা, যা গাজা সিটিকে গণকবরে পরিণত করছে।”
ওদিকে, জেনিভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমি কেবল তাদের কথা চিন্তা করছি যারা নারী, অপুষ্টিতে ভোগা শিশু, চলাফেরায় অক্ষম মানুষ তাদের কথা। তারা যদি আবার এভাবে আক্রমণের শিকার হয় তাহলে তা কী দাঁড়াবে?
“তাই আমাকে বলতেই হচ্ছে যে, এর প্রতিক্রিয়ায় একটা কথাই বলা যায়, তা হচ্ছে এই হত্যাকা- বন্ধ করুন।”
তুর্ক আরও বলেন, “ফিলিস্তিনিরা, ইসরায়েলিরা সবাই শান্তির জন্য গলা ফাটাচ্ছে। প্রত্যেকেই এর শেষ চায়। আর আমরা যা দেখতে পাচ্ছি সেটি বাড়াবাড়ি, যেটি কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
“আমি অকারণে গাজা ধ্বংস বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানাচ্ছি।”
তীব্র বিমান হামলার পর আবার স্থল অভিযান
সপ্তাহব্যাপী তীব্র বিমান হামলার পর গাজা সিটিতে স্থল অভিযানের মূল পর্যায় শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। রাতভর ভারি বোমা হামলা হওয়ার কথা জানিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার এই অভিযানের ঘোষণা দিয়ে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কার্টজ এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন ‘গাজা জ্বলছে।’ নগরীর ওপর আকাশ, সমুদ্র ও স্থল তিন দিক দিয়ে আক্রমণ চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বিকট বিস্ফোরণ দেখার কথা জানিয়েছেন। বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। তারা মঙ্গলবারের বোমা হামলাকে গাজায় দুইবছরের যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক বলে বর্ণনা করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এর কর্মকর্তারা বলেছেন, স্থলসেনারা গাজা সিটির
অনেক ভেতরে প্রবেশ করছে। কেন্দ্রস্থলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তারা। আগামী দিনগুলোতে সেনা সংখ্যা আরও বাড়বে।
গাজা সিটিতে ৩ হাজার হামাস যোদ্ধা রয়েছে বলে বিশ্বাস আইডিএফ এর। তাদেরকে মোকাবেলায় এই বাড়তি সেনা নামানো হবে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সকালের দিকে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন। এর নিহতদের বেশিরভাগই গাজা সিটির।
সেখানে ইসরায়েলের বিমান হামলা চলার পাশাপাশি কয়েকটি স্থানে ইসরায়েলি ট্যাংক ঢুকে পড়ার খবর জানিয়েছে বাসিন্দারা। তাদের অনেকেই পালিয়ে যাচ্ছেন, যদিও তাদের নিরাপদে যাওয়ার মতো কোনও জায়গা নেই।
গাজার সবচেয়ে বড় এই শহরে এখনো কয়েক লাখ বাসিন্দা অবস্থান করছেন, যেখানে ইতোমধ্যে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে অভিযানটি এখন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, গাজা সিটি হামাসের শেষ কয়েকটি শক্ত ঘাঁটির একটি।
ইসরায়েল নতুন করে গাজা সিটির বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ফিলিস্তিনিরা দক্ষিণ এবং পশ্চিমের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলের এক সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে যতদিন প্রয়োজন ততদিন সেনারা গাজা সিটিতে অভিযান চালাবে।
তিনি আরও বলেন, সেনারা অভিযান দ্রুত শেষ করতে চায় এবং জিম্মি ও বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।