সৌদি আরব ও পাকিস্তান যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করেছে, যেখানে এক দেশের ওপর হামলাকে অপর দেশের ওপরও আক্রমণ হিসেবে গণ্য করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বুধবার সৌদি সফরে থাকা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বৈঠকের পর এ চুক্তি ঘোষণা করা হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়াবে এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ইসলামাবাদ ও রিয়াদের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা সহযোগিতা এবার আনুষ্ঠানিক রূপ পেল।
চুক্তিকে দীর্ঘ আলোচনার ফসল আখ্যা দিয়ে সৌদি আরব জানিয়েছে, এটি সাম্প্রতিক কোনো সংঘাতকে কেন্দ্র করে নয়। তবে চুক্তির আওতায় পাকিস্তান সৌদি আরবকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে পারে কিনা—সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেছেন, সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে দিল্লি আগে থেকেই অবগত ছিল। তিনি জানান, নয়াদিল্লি এ চুক্তির কৌশলগত ও নিরাপত্তাজনিত প্রভাব পর্যবেক্ষণ করবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ফ্রন্টে নজরদারি চালাবে।
চলতি বছর কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধ হওয়ার প্রেক্ষাপটে নতুন এ চুক্তি নয়া দিল্লির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে সৌদি আরব স্পষ্ট করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ইচ্ছা তাদের রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সৌদি আরব ও পাকিস্তান যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করেছে, যেখানে এক দেশের ওপর হামলাকে অপর দেশের ওপরও আক্রমণ হিসেবে গণ্য করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বুধবার সৌদি সফরে থাকা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের বৈঠকের পর এ চুক্তি ঘোষণা করা হয়।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়াবে এবং আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। ইসলামাবাদ ও রিয়াদের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা সহযোগিতা এবার আনুষ্ঠানিক রূপ পেল।
চুক্তিকে দীর্ঘ আলোচনার ফসল আখ্যা দিয়ে সৌদি আরব জানিয়েছে, এটি সাম্প্রতিক কোনো সংঘাতকে কেন্দ্র করে নয়। তবে চুক্তির আওতায় পাকিস্তান সৌদি আরবকে পারমাণবিক অস্ত্র দিতে পারে কিনা—সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেছেন, সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে দিল্লি আগে থেকেই অবগত ছিল। তিনি জানান, নয়াদিল্লি এ চুক্তির কৌশলগত ও নিরাপত্তাজনিত প্রভাব পর্যবেক্ষণ করবে এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ফ্রন্টে নজরদারি চালাবে।
চলতি বছর কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধ হওয়ার প্রেক্ষাপটে নতুন এ চুক্তি নয়া দিল্লির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে সৌদি আরব স্পষ্ট করেছে, পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ইচ্ছা তাদের রয়েছে।