ফিলিপাইনে সাম্প্রতিক এক বিক্ষোভের ছবি
ফিলিপাইনের অনেক মানুষ এখন ভয়াবহ বন্যার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন।
সরকারি স্কুল শিক্ষিকা ক্রিসা টোলেন্টিনো প্রতিদিন পানিতে ডুবে থাকা রাস্তায় প্যাডেল বোটে করে স্কুলে যান। চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে যেতেও তাকে একইভাবে যেতে হয়। তিনি বলেন, “সারা বছরে মাত্র দুই মাস শুকনো রাস্তা দেখতে পাই।”
এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিতে জনজীবন ভেঙে পড়েছে। রাস্তাগুলো নদীর মতো হয়ে গেছে, মানুষ ঘরে আটকে আছে। পানি থেকে ছড়ানো লেপ্টোস্পাইরোসিস নামে একটি মারাত্মক রোগও ছড়িয়ে পড়েছে।
টোলেন্টিনো বলেন, “আমি নিয়মিত কর দিই। কিন্তু শুনি সেই টাকা দুর্নীতিতে নষ্ট হচ্ছে। এটা খুবই কষ্টের।”
শুধু তিনিই নন, ফিলিপাইনজুড়ে লাখ লাখ মানুষ জানতে চাইছে - সরকার এত টাকা খরচ করেও কেন বন্যা ঠেকাতে পারছে না?
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়া
টিকটক, ফেসবুক ও এক্সে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তারা বলছে, সরকার কোটি কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে, কিন্তু অনেক প্রকল্প কাগজেই থেকে গেছে।
রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ “বংবং” মার্কোস জুনিয়র একবার এক বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, সেটা বাস্তবে নেইই। পরে জানা যায়, বরাদ্দকৃত টাকার ৭০%-এর বেশি দুর্নীতিতে নষ্ট হয়েছে। একজন হাউস স্পিকার পদত্যাগ করেছেন, আর এক সিনেট নেতা পদচ্যুত হয়েছেন। মানুষ এআই দিয়ে ভিডিও বানিয়ে রাজনীতিবিদদের কুমির রূপে দেখাচ্ছে, কারণ তারা মনে করে এরা লোভী।
নেপো বেবি নিয়ে ক্ষোভ
ধনী রাজনীতিবিদ ও ঠিকাদারদের ছেলেমেয়েরা বিলাসী জীবন যাপন করছে—এই নিয়ে ফিলিপিনোরা বিরক্ত।
তাদের কেউ কেউ ডিজাইনার জামা-কাপড়, দামি ব্যাগ ও গাড়ির ছবি পোস্ট করছেন। অনেকে বলছেন, “এই বিলাসিতা আমাদের করের টাকায় চলছে।”
এর জবাবে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ব্যঙ্গ করছেন, কেউ কেউ কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দিয়েছেন বা একেবারেই প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করেছেন।
বড় বিক্ষোভের প্রস্তুতি
২১ সেপ্টেম্বর - যেদিন ১৯৭২ সালে ফার্দিনান্দ মার্কোস (বর্তমান প্রেসিডেন্টের বাবা) সামরিক আইন জারি করেছিলেন - সেদিন বড় দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের আয়োজন হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বংবং মার্কোস বলেন, “আমি যদি প্রেসিডেন্ট না হতাম, তাহলে আমিও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতাম। তবে প্রতিবাদ হোক শান্তিপূর্ণ।”
তিনি দুর্নীতির জন্য আগের সরকার ও ঠিকাদারদের দোষারোপ করেন এবং বলেন, “তাদের লজ্জা করা উচিত।”
ফিলিপাইনে সাম্প্রতিক এক বিক্ষোভের ছবি
বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ফিলিপাইনের অনেক মানুষ এখন ভয়াবহ বন্যার মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন।
সরকারি স্কুল শিক্ষিকা ক্রিসা টোলেন্টিনো প্রতিদিন পানিতে ডুবে থাকা রাস্তায় প্যাডেল বোটে করে স্কুলে যান। চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে যেতেও তাকে একইভাবে যেতে হয়। তিনি বলেন, “সারা বছরে মাত্র দুই মাস শুকনো রাস্তা দেখতে পাই।”
এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিতে জনজীবন ভেঙে পড়েছে। রাস্তাগুলো নদীর মতো হয়ে গেছে, মানুষ ঘরে আটকে আছে। পানি থেকে ছড়ানো লেপ্টোস্পাইরোসিস নামে একটি মারাত্মক রোগও ছড়িয়ে পড়েছে।
টোলেন্টিনো বলেন, “আমি নিয়মিত কর দিই। কিন্তু শুনি সেই টাকা দুর্নীতিতে নষ্ট হচ্ছে। এটা খুবই কষ্টের।”
শুধু তিনিই নন, ফিলিপাইনজুড়ে লাখ লাখ মানুষ জানতে চাইছে - সরকার এত টাকা খরচ করেও কেন বন্যা ঠেকাতে পারছে না?
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে সোশ্যাল মিডিয়া
টিকটক, ফেসবুক ও এক্সে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তারা বলছে, সরকার কোটি কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে, কিন্তু অনেক প্রকল্প কাগজেই থেকে গেছে।
রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ “বংবং” মার্কোস জুনিয়র একবার এক বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে দেখেন, সেটা বাস্তবে নেইই। পরে জানা যায়, বরাদ্দকৃত টাকার ৭০%-এর বেশি দুর্নীতিতে নষ্ট হয়েছে। একজন হাউস স্পিকার পদত্যাগ করেছেন, আর এক সিনেট নেতা পদচ্যুত হয়েছেন। মানুষ এআই দিয়ে ভিডিও বানিয়ে রাজনীতিবিদদের কুমির রূপে দেখাচ্ছে, কারণ তারা মনে করে এরা লোভী।
নেপো বেবি নিয়ে ক্ষোভ
ধনী রাজনীতিবিদ ও ঠিকাদারদের ছেলেমেয়েরা বিলাসী জীবন যাপন করছে—এই নিয়ে ফিলিপিনোরা বিরক্ত।
তাদের কেউ কেউ ডিজাইনার জামা-কাপড়, দামি ব্যাগ ও গাড়ির ছবি পোস্ট করছেন। অনেকে বলছেন, “এই বিলাসিতা আমাদের করের টাকায় চলছে।”
এর জবাবে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ব্যঙ্গ করছেন, কেউ কেউ কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দিয়েছেন বা একেবারেই প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করেছেন।
বড় বিক্ষোভের প্রস্তুতি
২১ সেপ্টেম্বর - যেদিন ১৯৭২ সালে ফার্দিনান্দ মার্কোস (বর্তমান প্রেসিডেন্টের বাবা) সামরিক আইন জারি করেছিলেন - সেদিন বড় দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের আয়োজন হচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বংবং মার্কোস বলেন, “আমি যদি প্রেসিডেন্ট না হতাম, তাহলে আমিও রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতাম। তবে প্রতিবাদ হোক শান্তিপূর্ণ।”
তিনি দুর্নীতির জন্য আগের সরকার ও ঠিকাদারদের দোষারোপ করেন এবং বলেন, “তাদের লজ্জা করা উচিত।”