যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প লন্ডনে বলেছেন, আমরা বাগরাম ঘাঁটিটা ফেরত চাই। তিনি জোর দিয়েছেন, বাগরাম ঘাঁটির অবস্থান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি চীনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির স্থানের কাছ থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে। তবে বিমানঘাঁটি পুনরুদ্ধারে ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, লন্ডন সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। ট্রাম্প আগেও পানামা খাল থেকে গ্রিনল্যান্ড পর্যন্ত নানা ভূখ- ও স্থাপনা অধিগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বাগরামের প্রতিও তিনি বহু বছর ধরে আগ্রহ দেখিয়ে আসছেন।
তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, কোনো না কোনোভাবে তালেবানের সম্মতিতে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আবার ঘাঁটিটি দখল করতে পারে। তবে এই সমঝোতার ধরন কী হবে, তা পরিষ্কার নয়।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাকির জালাল বলেন, আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রকে একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে, আলোচনা করবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি কোনো অংশেই থাকবে না’। তিনি আরও বলেন, কাবুল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রস্তুত, তবে তা হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে।
কাবুল শহরের ঠিক উত্তরে অবস্থিত বাগরাম ঘাঁটিই দুই দশকব্যাপী মার্কিন দখলদারত্বের সময় তাদের সামরিক কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র ছিল। কুখ্যাত একটি কারাগারও সেখানে ছিল, যেখানে বহু মানুষকে বছরের পর বছর ধরে কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে’ অনেক বন্দিকে নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের শিকার হতে হয়েছে। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার এবং আফগান সরকারের পতনের পর তালেবান ঘাঁটিটি দখল করে নেয়।
বাগরাম ফিরে পেতে ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সামরিকভাবে ঘাঁটিটি দখলের কোনো পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। তবে ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টায় বড় ধরনের উদ্যোগের প্রয়োজন পড়বে। বাগরাম দখলে নিতে এবং ধরে রাখতে হাজার হাজার মার্কিন সেনার প্রয়োজন হবে। ঘাঁটিটি মেরামত করতেও বহু অর্থের দরকার।
মার্কিন ওই কর্মকর্তার মতে, আফগানিস্তান একটি স্থলবেষ্টিত দেশ। সেখানে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা এই ঘাঁটিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহও জটিল হবে। এ ছাড়া ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আশপাশের এলাকা নিরাপদ করতে এবং মার্কিন বাহিনীর ওপর রকেট হামলা ঠেকাতে বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রয়োজন পড়বে। তাই বাস্তবিক অর্থে কীভাবে এটি সম্ভব হবে, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি।
শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প লন্ডনে বলেছেন, আমরা বাগরাম ঘাঁটিটা ফেরত চাই। তিনি জোর দিয়েছেন, বাগরাম ঘাঁটির অবস্থান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি চীনের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির স্থানের কাছ থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে। তবে বিমানঘাঁটি পুনরুদ্ধারে ট্রাম্পের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, লন্ডন সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। ট্রাম্প আগেও পানামা খাল থেকে গ্রিনল্যান্ড পর্যন্ত নানা ভূখ- ও স্থাপনা অধিগ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বাগরামের প্রতিও তিনি বহু বছর ধরে আগ্রহ দেখিয়ে আসছেন।
তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, কোনো না কোনোভাবে তালেবানের সম্মতিতে যুক্তরাষ্ট্র হয়তো আবার ঘাঁটিটি দখল করতে পারে। তবে এই সমঝোতার ধরন কী হবে, তা পরিষ্কার নয়।
এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাকির জালাল বলেন, আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রকে একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে, আলোচনা করবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি কোনো অংশেই থাকবে না’। তিনি আরও বলেন, কাবুল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রস্তুত, তবে তা হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে।
কাবুল শহরের ঠিক উত্তরে অবস্থিত বাগরাম ঘাঁটিই দুই দশকব্যাপী মার্কিন দখলদারত্বের সময় তাদের সামরিক কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র ছিল। কুখ্যাত একটি কারাগারও সেখানে ছিল, যেখানে বহু মানুষকে বছরের পর বছর ধরে কোনো অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই আটকে রাখা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে’ অনেক বন্দিকে নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের শিকার হতে হয়েছে। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাহার এবং আফগান সরকারের পতনের পর তালেবান ঘাঁটিটি দখল করে নেয়।
বাগরাম ফিরে পেতে ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, সামরিকভাবে ঘাঁটিটি দখলের কোনো পরিকল্পনা নেই যুক্তরাষ্ট্রের। তবে ঘাঁটিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টায় বড় ধরনের উদ্যোগের প্রয়োজন পড়বে। বাগরাম দখলে নিতে এবং ধরে রাখতে হাজার হাজার মার্কিন সেনার প্রয়োজন হবে। ঘাঁটিটি মেরামত করতেও বহু অর্থের দরকার।
মার্কিন ওই কর্মকর্তার মতে, আফগানিস্তান একটি স্থলবেষ্টিত দেশ। সেখানে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা এই ঘাঁটিতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহও জটিল হবে। এ ছাড়া ঘাঁটিটি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আশপাশের এলাকা নিরাপদ করতে এবং মার্কিন বাহিনীর ওপর রকেট হামলা ঠেকাতে বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রয়োজন পড়বে। তাই বাস্তবিক অর্থে কীভাবে এটি সম্ভব হবে, তা নিয়ে সন্দিহান তিনি।